আর্জেন্টিনার বিপক্ষে হেরেও দ্বিতীয় রাউন্ডে নাইজেরিয়া

Slider খেলা গ্রাম বাংলা জাতীয় টপ নিউজ সারাবিশ্ব

f6f41c559503018cecffe8dd72d10b21-5

গ্রাম বাংলা ডেস্ক: ২০১০ সালের দুঃসহ স্মৃতি সঙ্গী করেই নাইজেরিয়ার বিপক্ষে মাঠে নেমেছিলেন লিওনেল মেসি। সেবার নাইজেরিয়ার রক্ষণভাগে বারবার আক্রমণ চালিয়েও গোলের দেখা পাননি আর্জেন্টাইন তারকা। তাঁর সব গোল প্রচেষ্টাই নস্যাত্ করে দিয়েছিলেন ভিনসেন্ট এনেইয়ামা। কিন্তু এবার আর মেসিকে আটকে রাখতে পারেননি নাইজেরিয়ার গোলরক্ষক। দুইটি গোল করে দলকে এনে দিয়েছেন ৩-২ ব্যবধানের জয়। ৬৩ মিনিটের মাথায় মাঠ না ছাড়লে হয়তো হ্যাটট্রিকটাও পেয়ে যেতে পারতেন আর্জেন্টাইন অধিনায়ক।

আর্জেন্টিনার বিপক্ষে হেরে গেলেও দ্বিতীয় রাউন্ডের টিকিট পেয়ে গেছে নাইজেরিয়া। এজন্য নাইজেরিয়ার সমর্থকেরা ধন্যবাদ দিতে পারেন বসনিয়াকে। প্রথম দুইটি ম্যাচ হেরে বিদায় নিশ্চিত হয়ে গেলেও আজ গ্রুপ পর্বের শেষ ম্যাচে ইরানকে ৩-১ গোলে হারিয়েছে বিশ্বকাপের এই নবাগত দলটি। তাদের এই জয়ের ফলেই আর্জেন্টিনার কাছে হেরেও দ্বিতীয় রাউন্ডে চলে গেছে নাইজেরিয়া। তিন ম্যাচ শেষে নাইজেরিয়ার সংগ্রহ ৪ পয়েন্ট। বসনিয়ার ৩ ও ইরানের ১। আর টানা তিনটি ম্যাচ জিতে গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হিসেবেই দ্বিতীয় রাউন্ডে পা রেখেছে আর্জেন্টিনা।

দারুণ উত্তেজনা ছড়িয়ে শুরু হয়েছিল আর্জেন্টিনা-নাইজেরিয়ার ম্যাচটি। শুরুতেই অ্যাঙ্গেল ডি মারিয়ার একটি শট ফিরে এসেছিল গোলপোস্টে লেগে। কিন্তু ফিরতি বলটাই নাইজেরিয়ার জালে জড়িয়ে দিতে কেনো ভুল করেননি আর্জেন্টিনার অধিনায়ক লিওনেল মেসি। ম্যাচের বয়স তখন মাত্র তিন মিনিট।
আর্জেন্টিনাকে অবশ্য খুব বেশিক্ষণ এগিয়ে থাকতে দেননি নাইজেরিয়ার স্ট্রাইকার আহমেদ মুসা। এক মিনিট পরেই দুর্দান্ত এক শটে বল জড়িয়েছেন আর্জেন্টিনার জালে। প্রথম পাঁচ মিনিটের মধ্যেই স্কোরলাইন ১-১। এমন ঘটনা বিশ্বকাপের ইতিহাসেই ঘটেছে প্রথমবারের মতো।

প্রথমার্ধে আরও কয়েকবার নাইজেরিয়ার রক্ষণভাগকে কঠিন পরীক্ষার মুখে ফেলেছেন আর্জেন্টিনার ফরোয়ার্ডরা। ২৯ মিনিটে ডি মারিয়ার দুরপাল্লার জোড়ালো শট রুখে দিয়েছেন ভিনসেন্ট এনেইয়ামা। ৪১ মিনিটে মেসির একটি ফ্রি-কিকও ফিরিয়ে দিয়েছিলেন নাইজেরিয়ার গোলরক্ষক। কিন্তু ৪৫ মিনিটের মাথায় মেসির আরেকটি দুর্দান্ত ফ্রি-কিক আর রুখতে পারেননি এনেইয়ামা। ২-১ ব্যবধানে এগিয়ে থেকে প্রথমার্ধ শেষ করেছে আর্জেন্টিনা।
প্রথমার্ধের মতো চমক ছিল দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেও। ৪৭ মিনিটে আবারও নাইজেরিয়াকে খেলায় ফিরিয়েছিলেন মুসা। স্কোরলাইন ২-২। তিন মিনিট পরেই আবার চালকের আসনে আর্জেন্টিনা। মেসির কর্নার কিক থেকে উড়ে আসা বলটা মার্কোস রোহোর হাঁটুতে লেগে জড়িয়ে যায় নাইজেরিয়ার জালে। এটাই ছিল ম্যাচের শেষ গোল। শেষপর্যন্ত এই ৩-২ ব্যবধানের জয় নিয়েই মাঠ ছেড়েছে আলেসান্দ্রো সাবেলার শিষ্যরা।

গ্রুপ পর্বের তিনটি ম্যাচেই আর্জেন্টিনার জয়েরই প্রধান কারিগর মেসি। প্রথম দুই ম্যাচের মতো আজও ম্যাচসেরার পুরস্কার উঠেছে আর্জেন্টিনার অধিনায়কের হাতে। বিশ্বকাপে দলের সেরা খেলোয়াড়টিতে স্বরুপে ফিরতে দেখে নিশ্চয়ই আশাবাদী হয়ে উঠেছে আর্জেন্টিনা শিবির। কিন্তু আক্রমণভাগের অপর দুই খেলোয়াড় সার্জিও আগুয়েরো ও অ্যাঙ্গেল ডি মারিয়ার কথা ভেবে কিছুটা দুশ্চিন্তাতেই পড়ে যেতে পারেন আর্জেন্টিনার সমর্থকেরা। আগুয়েরো প্রথম দুই ম্যাচেও খুব বেশি জ্বলে উঠতে পারেননি। আজ মাঠ ছেড়েছেন মাত্র ৩৮ মিনিটের মাথায়। ডি মারিয়া পুরো ম্যাচ খেললেও খুব বেশি আস্থা অর্জন করতে পারেননি। বেশ কয়েকবার তাঁর পা থেকে বল কেড়ে নিয়েছেন নাইজেরিয়ার খেলোয়াড়েরা। কয়েকবার বল হারিয়েছেন ভুল পাস দিয়েও।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *