করোনায় আরও ৩২ মৃত্যু, শনাক্ত ৬৯৮

Slider জাতীয়

দেশে করোনাভাইরাসে সংক্রমিত হয়ে মৃত্যু আগের দিনের তুলনায় বেড়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় (রোববার সকাল ৮টা থেকে সোমবার সকাল ৮টা) মারা গেছেন ৩২ জন। আগের দিন মৃত্যু হয়েছিল ২৫ জনের।

গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা সংক্রমণ শনাক্ত হয়েছে ৬৯৮ জনের। দেশে মোট শনাক্ত রোগীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৭ লাখ ৮০ হাজার ৮৫৭। দেশে করোনায় মোট মৃত্যুর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১২ হাজার ১৮১।

আজ সোমবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পাঠানো বুলেটিন থেকে এসব তথ্য জানা গেছে।

গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে করোনা থেকে সুস্থ হয়েছেন ১ হাজার ৫৮ জন। এ পর্যন্ত সুস্থ হয়েছেন ৭ লাখ ২৩ হাজার ৯৪ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় ১০ হাজার ৩৪৭টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। নমুনা পরীক্ষা বিবেচনায় শনাক্তের হার ৬ দশমিক ৭৫ শতাংশ। এই হার আগের দিনের তুলনায় কিছুটা বেশি। বুধবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পাঠানো বুলেটিনে আগের ২৪ ঘণ্টায় করোনা শনাক্তের হার ছিল ৬ দশমিক ৬৯।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মানদণ্ড অনুযায়ী, কোনো দেশে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আছে কি না, তা বুঝতে পারার একটি নির্দেশক হলো রোগী শনাক্তের হার। কোনো দেশে টানা অন্তত দুই সপ্তাহের বেশি সময় পরীক্ষার বিপরীতে রোগী শনাক্তের হার ৫ শতাংশের নিচে থাকলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আছে বলে ধরা যায়। প্রায় আড়াই মাস ধরে দেশে দৈনিক শনাক্তের হার ৫ শতাংশের বেশি থাকছে।

২০১৯ সালের ডিসেম্বরে চীনের উহানে প্রথম নতুন করোনাভাইরাসের সংক্রমণ দেখা দেয়। পরে তা সারা বিশ্বে ছড়িয়ে পড়ে। দেশে গত বছরের ৮ মার্চ প্রথম করোনা সংক্রমণ শনাক্ত হয়। তারপর ধীরে ধীরে বাড়তে থাকে সংক্রমণ। গত বছরের শেষ দিকে এসে সংক্রমণ কমতে থাকে।

এ বছরের মার্চ মাস থেকে করোনার সংক্রমণ আবার বেড়ে যায়। মার্চের প্রথমার্ধেই দৈনিক শনাক্ত রোগীর সংখ্যা হাজারের ওপরে চলে যায়। বাড়তে থাকে মৃত্যুর সংখ্যাও। গত ২৬ মার্চের বুলেটিনে আগের ২৪ ঘণ্টায় ৩৪ জনের মৃত্যু খবর দেওয়া হয়, সেখানে এক মাস পর ২৫ এপ্রিলের বুলেটিনে ১০১ জনের মৃত্যুর কথা জানায় সরকার।

করোনা সংক্রমণ ও এতে মৃত্যু বাড়তে থাকায় গত ৫ এপ্রিল থেকে দেশে মানুষের চলাচলে বিধি-নিষেধ আরোপ করা হয়, যা এখনো বহাল রয়েছে। এই বিধি-নিষেধে পরিস্থিতি কিছুটা নিয়ন্ত্রণে এসেছে। ধীরে ধীরে সংক্রমণ ও দৈনিক মৃত্যু কমেছে। তবে ঈদকেন্দ্রিক শপিং মল ও দোকানে মানুষের ভিড় এবং ঘরমুখো মানুষের ঢলের কারণে চলতি মে মাসের তৃতীয় সপ্তাহ থেকে আবার করোনার সংক্রমণ বেড়ে যেতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *