বিয়ের পর ভার্জিনিটি টেস্টে ফেল বউ, বিবাহ বিচ্ছেদ চাইল স্বামী

Slider ফুলজান বিবির বাংলা


ডেস্ক: মহারাষ্ট্রের কোলাপুর থেকে অবাক করা একটি ঘটনা প্রকাশ্যে এসেছে। মেয়েদের সুরক্ষা নিয়ে যেখানে তাবড় তাবড় লোকজন এত বুলি আওড়ায়, সেই দেশে এমন ঘটনা আজও ঘটতে পারে! যা ভেবে আঁতকে উঠছে একাংশ। দুই বোনের বিয়ে ভেঙেছে কারণ তাদের ভার্জিনিটি পরীক্ষার মুখোমুখি হতে হয়েছে। সেই পরীক্ষায় তারা ফেল করেতেই নৃশংস অত্যাচারের কথা প্রকাশ্যে আসে।

তাঁদের স্বামী পঞ্চায়েতে তালাকের জন্য অনুরোধ করে। দুর্ভাগ্যের বিষয় তাতে সম্মতি দেয় পঞ্চায়েত। এখন এই গোটা বিষয়টি সোশ্যাল মিডিয়ার দরবারে আসা মাত্রই আলোচনার বিষয় হয়ে উঠেছে। সম্প্রতি স্বামী, শাশুড়ী এবং জাত পঞ্চায়েতের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে।

দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসে প্রকাশিত একটি প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দুই বোনকে বিবাহ বিচ্ছেদের নির্দেশ দিয়েছিলেন দু’জনের স্বামী, তার শাশুড়ী ও পঞ্চায়েতের সদস্যরা। তাঁদের বিরুদ্ধে পুলিসে মামলা দায়ের করা হয়েছে।

মহারাষ্ট্র পুলিস অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধি এবং মহারাষ্ট্র সামাজিক বয়কট (প্রতিরোধ, নিষিদ্ধকরণ ও প্রতিরোধ) আইনের অধীনে মামলা করেছে।

শ্বশুর বাড়ির দুই বোনের অভিযোগ বিয়ের পরে দুজনকেই শ্বশুরবাড়ির ভার্জিনিটি টেস্টে আলাদা বেডরুমে নিয়ে যাওয়া হয়। কুমারীত্ব পরীক্ষা করা হয়। জানানো হয়, এটাই নাকি তাদের ঐতিহ্য। কুমারীত্ব পরীক্ষায় ব্যর্থ হয় স্ত্রী। এরপর অভিযোগ করা হয় তাঁদের বিয়ের আগেই অন্য কারও সঙ্গে দৈহিক সম্পর্ক ছিল।

এরপরে স্বামী-স্ত্রী উভয়ের মধ্যেই অশান্তি শুরু হয়। শ্বশুরবাড়িতে মারধর করা হয় তাঁদের ,বলে অভিযোগ। তার পরিবারের সদস্যদের কাছ থেকেও যৌতুকও চাওয়া হয়েছিল বলে জানা যাচ্ছে। যখন তা সম্ভব হয়নি, তখন বিবাহ থেকে বিচ্ছেদ পেতে পঞ্চায়েতে যান।

প্রসঙ্গত, রক্তপাত না হওয়া মানেই যে সে ভার্জিন নয়, এই ধারণা সম্পূর্ণ ভুল। মনে রাখবেন, যোনি মুখে হাইমেন নামক একটি আংশিক আবরণ থাকে। যা দৌড়, নাচ, ঝাঁপ বা অতিরিক্ত পরিশ্রমের কোনও কাজে সেটি এমনিই ছিঁড়ে যেতে পারে। তার জন্য যৌন মিলনের প্রয়োজন হয়না। প্রসঙ্গত, ভারতে ভার্জিনিটি টেস্ট বেআইনি

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *