ব্রাশ দিয়ে যাচ্ছে না দাঁতের হোলদে ভাব বা দাগ, জানুন কী করবেন

Slider লাইফস্টাইল

নিজস্ব প্রতিবেদন: হলদে ভাব কাটিয়ে দাঁত ফের উজ্জ্বল, ঝকঝকে সাদা করে তুলতে আধুনিক পদ্ধতির সাহায্য নেওয়া যেতেই পারে। কিন্তু একেবারে কম খরচে যদি দাঁতকে আগের অবস্থায় ফিরিয়ে আনতে চান, তাহলে আজ থেকেই এই ৫টি অব্যর্থ ঘরোয়া পদ্ধতি কাজে লাগিয়ে দেখতে পারেন। সপ্তাহ খানেকের মধ্যেই তফাৎ চোখে পড়বে।

কলার খোসা: কলার খোসার সাদা দিকটি নিয়মিত দাঁতে ঘোষলে দাঁতের হলদেটে ভাব দ্রুত কেটে যায়। তবে কলার খোসা দিয়ে দাঁত ঘষার পর অবশ্যই হলকা গরম জল দিয়ে ভাল করে কুলকুচি করে নিতে হবে।

তুলসি পাতা: তুলসি পাতা দাঁতের স্বাস্থ্যের পক্ষে বেশ উপকারী। বেশি করে তুলসি পাতা নিয়ে সেগুলিকে রোদে শুকিয়ে নিতে হবে। পাতাগুলি একেবারে শুকিয়ে গেলে সেগুলিকে গুঁড়ো করে যে কোনও টুথপেস্ট মিশিয়ে নিয়মিত ব্রাশ করলে দাঁতের হলুদ ভাব একেবারে চলে যায়। সেই সঙ্গে দাঁতে বিভিন্ন রোগের প্রকোপও হ্রাস পায়।

নুন: দাঁতকে পরিষ্কার রাখতে বহু যুগ ধরেই নুনের ব্যবহার হয়ে আসছে। কারণ, নুন দাঁতের পুষ্টির ঘাটতি দূর করার পাশপাশি দাঁতের সৈন্দর্য বৃদ্ধিতেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। তাই দাঁতের হলদে ভাব কাটানোর ক্ষেত্রে নুনকে কাজে লাগানোর পরামর্শ দেন বিশেষজ্ঞরাও। এ ক্ষেত্রে রোজ সকালে চারকোলের (কাঠকয়লা) সঙ্গে নুন মিশিয়ে সেই মিশ্রণ দিয়ে দাঁত মাজতে হবে। কয়েক সপ্তাহ এই মিশ্রণ দিয়ে দাঁত মাজলেই দাঁতের হলদে ভাব অনেকটা কমে যাবে।

কমলা লেবুর খোসা: দাঁতের সৌন্দর্য ফেরাতে কমলা লেবুর খোসা দারুন কার্যকরী। রোজ রাতে সামান্য কমলা লেবুর খোসা নিয়ে দাঁতে একটু সময় নিয়ে ঘষুন। নিয়মিত এমনটা করলেই দাঁতের হলদে ভাব অনেকটা কমে যাবে।

খাবার সোডা: দাঁতের হলদেটে ভাব কাটাতে খাবার সোডার কোনও বিকল্প মতো সহজলভ্য বিকল্প আর নেই। এ ক্ষেত্রে রোজ সকালে টুথপেস্টের সঙ্গে খুব সামান্য পরিমাণে খাবার সোডা মিশিয়ে দাঁত মাজুন। তারপর উষ্ণ জল দিয়ে ভাল করে কুলকুচি করে মুখটা ধুয়ে নিন। সপ্তাহে অন্তত বার দু’য়েক এই ঘরোয়া পদ্ধতিকে কাজে লাগিয়ে দাঁত মাজলে দ্রুত সুফল মিলবে।

তবে দাঁত ভাল রাখতে একটা কথা সব সময় মাথায় রাখতে হবে। দিনের যে কোনও সময় খাবার পর অবশ্যই মুখ ভাল করে ধুয়ে ফেলতে হবে। সম্ভব হলে দিনে অন্তত দু’বার করে দাঁত মাজতে হবে। এ ছড়াও, ধূমপানের ফলেও দাঁতে হলদেটে ছোপ পড়ে। তাই ধূমপানের মাত্রা কমালে বা ধূমপানের অভ্যাস ত্যাগ করতে পারলে দ্রুত উপকার মিলবে।

বছরে অন্তত দু’বার দন্ত চিকিত্সকের পরামর্শ নিন। আর একটা জরুরি কথা। দাঁত কখনওই একেবারে সাদা হয় না। বিভিন্ন উপাদানের ব্যবহারে জোর করে দাঁত সাদা ঝকঝকে করার চেষ্টায় হিতে বিপরীত হওয়ার ঝুঁকি কিন্তু থেকেই যায়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *