আপডেট- গাজীপুরে কনস্টেবলকে পেটালেনোর অভিযোগে এএসপি প্রত্যাহার(ক্লোজড)

Slider টপ নিউজ

DSC08747

গাজীপুর: একটি চিঠি খোঁজাকে কেন্দ্র করে সহকমী পুলিশ কমকতার কক্ষে আটকিয়ে কনস্টেবলকে পিটিয়েছেন এক অতিরিক্ত পুলিশ সুপার(এএসপি)। ঘটনার ৩ ঘন্টায় মাথায় অভিযুক্ত এএসপিকে প্রত্যাহার করে নেয়া হয়েছে।

বুধবার(০৪ ফেব্রুয়ারী) বিকাল সাড়ে ৫টায় গাজীপুর পুলিশ সুপার কাযালয়ে ওই ঘটনা ঘটে। রাত সাড়ে ৮টার সময় অভিযুক্ত অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোঃ মিজানুর রহমানকে পুলিশ লাইনে প্রত্যাহার করা হয়ছে।

রাত পৌনে ৯টায় গাজীপুরের পুলিশ সুপার মোঃ হারুনর রশিদ গ্রামবাংলানিউজকে ওই তথ্য জানান।

পুলিশের একটি দায়িত্বশীল সূত্র জানায়, পুলিশ লাইনে কমরত অতিরিক্ত পুলিশ সুপার(ইনসাভিস ট্রেনিং)) মোঃ মিজানুর রহমান একটি গুরুত্বপূন চিঠি খোঁজতে পুলিশ লাইন থেকে পুলিশ সুপার কাযালয়ে আসেন। অতঃপর পুলিশ সুপারের দপ্তরে চিঠিপত্রের দায়িত্বে থাকা কনস্টেবল রেজুয়ান মিয়াকে ডাকেন। চিঠির বিষয়ে খোঁজ নিতে গিয়ে এএসপি মিজানুর রহমান কনস্টেবল রেজুয়ানকে সহকারী পুলিশ সুপার(সদর) তৌহিদুল ইসলাম চৌধুরীর কক্ষে নিয়ে যান। ওই খানে কক্ষের দরজা বন্ধ করে মিজানুর রহমান কনস্টেবল রেজুয়ান কে অমানবিকভাবে পেটাতে থাকেন। এসময় পুলিশ সুপার কাযালয়ে কমরতদের মধ্যে আতঙ্কে দেখা দেয়। ভেতর থেকে দরজা বন্ধ হয়ে যাওয়ায় পুলিশের মধ্যে আতঙ্ক দেখা দিলে ওই কক্ষের সামনে কমরতদের ভীড় জমে যায়। এরপর বন্ধ কক্ষে কনস্টেবলকে কিল ঘুষি ও লাথি মারতে থাকেন এএসপি মিজান। রেজুয়ানের আত চিৎকারে আশপাশে থাকা পুলিশের সদস্যরা দরজায় ধাক্কাধাক্কি শুরু করলে এক পযায়ে মিজানুর রহমান দরজা খোলে দেন। অতঃপর সহকমীরা আহত কনস্টেবল রেজুয়ানকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেন। রেজুয়ান বতমানে পুলিশ অফিসে কমরত আছেন। এই নিয়ে পুলিশের মধ্যে আভ্যন্তরীন উত্তেজনা দেখা দেয়।
এ বিষয়ে এএসপি মিজানুর রহমানের সঙ্গে যোগাযোগ করে তাকে পাওয়া যায়নি।

ঘটনাস্থলের কমকতা সহকারী পুলিশ সুপার(সদর) তৌহিদুল ইসলাম চৌধুরী বাংলানিউজকে বলেন, আমি সকাল থেকে হরতাল ডিউটি করছি। আমার কক্ষ খোলা। এ ধরণের কোন ঘটনা ঘটেছে কিনা আমার জানা নাই।

 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *