করোনাক্রান্ত হয়ে মারা গেলেন কমিশনার হোসাইন আহমেদ

Slider ফুলজান বিবির বাংলা


করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মারা গেলেন কাস্টমস কমিশনার হোসাইন আহমেদ। শনিবার বিকালে রাজধানীর কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি শেষ নি:শ্বাস ত্যাগ করেন (ইন্নালিল্লাহি….রাজিউন)। জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে। রাষ্ট্রীয় দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে কমিশনার হোসাইন আহমেদসহ মারা গেলেন ৮ জন।

হোসাইন আহমেদ বিসিএস (শুল্ক ও আবগারী) ১৫তম ব্যাচের কর্মকর্তা। ১৯৯৫ সালের ১৫ই নভেম্বর তিনি সহকারী কমিশনার হিসেবে চাকরিতে যোগদান করেন। মৃত্যুকালে তার স্ত্রী, দুই ছেলে ও অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন। তিনি ১৯৬৭ সালের ১৫ই মার্চ রাজবাড়ীতে জন্মগ্রহণ করেন।
হোসাইন আহমেদ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের লোক প্রশাসন থেকে এমএসএস ডিগ্রি লাভ করেন।

কাস্টমস ও ভ্যাট বিভাগ সূত্রমতে, দেশে করোনার প্রার্দুভাব শুরু হলে লকডাউন দেয়া হয়। আমদানি-রপ্তানি সচল রাখতে কাস্টমস হাউস খোলা রাখা হয়। ফলে একদিনের জন্যও কাস্টমস হাউস বন্ধ হয়নি। এ ছাড়া খোলা ছিল ভ্যাট অফিস। রাষ্ট্রীয় দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে প্রায় ৫ শতাধিক কর্মকর্তা-কর্মচারী করোনা আক্রান্ত হয়েছেন। এরমধ্যে ৭ জন কর্মকর্তা-কর্মচারী মৃত্যুবরণ করেছেন। তারা হলেন- রাজস্ব কর্মকর্তা জসিম উদ্দিন মজুমদার, খোরশেদ আলম, সুকানী মো. কায়কোবাদ, সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তা কবির হোসেন শিকদার, রাজস্ব কর্মকর্তা মো. রহমত আলী, মো. ইদ্রিস আলী মন্ডল ও আনোয়ার জাবেদ। সর্বশেষ কমিশনার হোসাইন আহমেদ করোনাক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন।

এদিকে কমিশনার হোসাইন আহমদ-এর মৃত্যুতে শোক ও দু:খ প্রকাশ করেছেন সিনিয়র সচিব, অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগ ও জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) চেয়ারম্যান আবু হেনা মো. রহমাতুল মুনিম। এনবিআরের জনসংযোগ কর্মকর্তা সৈয়দ এ মু’মেন সই করা শোক বার্তায় বলা হয়, তিনি কাস্টমস ও ভ্যাট বিভাগের মর্যাদা সমুন্নত রাখতে সর্বদা সচেষ্ট ছিলেন। তার মৃত্যুতে ব্যক্তিগতভাবে ব্যথিত ও মরহুমের বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা করছি। পাশাপাশি তিনি এনবিআরের সর্বস্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারিদের পক্ষ থেকে মরহুমের শোকসন্তপ্ত পরিবার-পরিজন, সন্তান-সন্ততিসহ সকলের প্রতি গভীর সমবেদনা জ্ঞাপন করছি। পরম করুনাময় আল্লাহ যেন তাকে জান্নাতবাসী করেন এবং পরিবারের সবাইকে এই শোক সহ্য করার শক্তি দিন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *