নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার বসুরহাটে আবারো আওয়ামী লীগের দুই পক্ষের সংঘর্ষে একজন নিহত হয়েছেন। নিহতের নাম আলাউদ্দিন। তিনি পেশায় সিএনজি অটোরিকশা চালক বলে জানা গেছে। এছাড়া ১৩ জন গুলিবিদ্ধসহ আহত হয়েছেন অম্তত ৩০ জন। আহতদের মধ্যে কোম্পানীগঞ্জ থানার ওসি মীর জাহিদুল হক রনিসহ চার পুলিশ সদস্যও রয়েছেন। মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৬টার দিকে পৌর শহরের রূপালি চত্বরে উপজেলা আওয়ামী লীগের উদ্যোগে আয়োজিত প্রতিবাদ সমাবেশ চলাকালে সংঘর্ষের সূত্রপাত হয়।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সোমবার সন্ধ্যায় আবদুল কাদের মির্জা ও তার লোকজন উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা খিজির হায়াত খানকে মারধর করেছেন এমন অভিযোগ উঠে। এ ঘটনার প্রতিবাদে মঙ্গলবার বিকাল ৪টা থেকে বসুরহাটের রূপালি চত্বরে এক প্রতিবাদ সমাবেশের আয়োজন করে উপজেলা আওয়ামী লীগ। সমাবেশ চলাকালে সন্ধ্যা ৬টার দিকে হঠাৎ করে আবদুল কাদের মির্জার সমর্থকরা পৌরসভা ভবন থেকে বের হয়ে ধাওয়া দেয়।
এতে উভয় পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ বেধে যায়। এরপর দফায় দফায় সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
রাতে আওয়ামী লীগের অফিস লক্ষ্য করে গুলি চালানো হয়। এতে উভয় পক্ষ আবারো সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। উভয় পক্ষ বেশ কয়েক রাউন্ড গুলি বিনিময় করলে হতাহতের এ ঘটনা ঘটে।