মুক্তির মেয়াদ বাড়লেও বিদেশ যেতে পারবেন না খালেদা

Slider রাজনীতি

ঢাকাঃ বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার দণ্ডের কার্যকারিতা আরও ছয় মাসের জন্য স্থগিত রাখার বিষয়ে সম্মতিসূচক মতামত দিয়েছে আইন মন্ত্রণালয়। আইনমন্ত্রী আনিসুল হক অনুমোদন দেয়ার পর এ সংক্রান্ত নথি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে। তাতে বলা হয়, দুর্নীতির দায়ে দণ্ডিত খালেদা জিয়ার সাজার কার্যকারিতা আগের শর্তে আরও ছয় মাসের জন্য স্থগিত রাখার সুপারিশ করে মতামত দিয়েছে, আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়। শর্ত অনুযায়ী, মুক্ত থাকার সময়ে খালেদা জিয়াকে ঢাকায় নিজের বাসায় থেকে চিকিৎসা নিতে হবে। এবং তিনি বিদেশে যেতে পারবেন না। দুপুরে আইনমন্ত্রী আনিসুল হকও বিষয়টি পরিস্কার করেছেন। সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, খালেদা জিয়ার পরিবার ‘বিশেষায়িত চিকিৎসার’ কথা লিখেছিল তাদের আবেদনে। আমাদের মতামতে লেখা হয়েছে, দেশের ভেতরে তিনি যদি বিশেষায়িত চিকিৎসা নেন, সরকারের তাতে কোনো আপত্তি নেই।

আইনমন্ত্রী বলেন, কোনো হাসপাতাল নির্দিষ্ট করে দেয়া হয়নি। বিদেশে যাওয়ার কোনো সুযোগ নেই।
ওদিকে মন্ত্রণালয়ের সুপারিশের পর যোগাযোগ করা হলে খালেদা জিয়ার ভাই সাঈদ ইস্কান্দার এ বিষয়ে কোন মন্তব্য করতে চাননি।

দুর্নীতির দুই মামলায় দণ্ডিত সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়াকে করোনাভাইরাস মহামারীর মধ্যে গত বছরের ২৫শে মার্চ নির্বাহী আদেশে সাময়িক মুক্তি দেয় সরকার। দণ্ডের কার্যকারিতা ছয় মাসের জন্য স্থগিত করা হলে তিনি কারামুক্ত হন। ওই মুক্তির মেয়াদ শেষে গতবছর সেপ্টেম্বরে আগের শর্তে তা আরও ছয় মাসের জন্য বাড়ানো হয়। ওই মেয়াদ শেষ হয়ে আসায় আবারো আবেদন করে খালেদা জিয়ার পরিবার।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *