ছোট্ট শিশুর ওপর হুজুরের নির্মম নির্যাতন

Slider ফুলজান বিবির বাংলা


রাতুল মন্ডল নিজস্ব প্রতিবেদকঃ ছোট্ট শিশুর উপর মাদ্রাসার হুজুরের নির্মম নির্যাতন। (৩ মার্চ বুধবার) ভোরে গাজীপুরের শ্রীপুর পৌর এলাকার কেওয়া পূর্বখন্ড এলাকার মদিনাতুল উলুম মাদ্রাসায় এই শিশু শিক্ষার্থী নির্যাতনের ঘটনা ঘটে। নির্যাতনের শিকার শিশু ইয়াসিন এর বাড়ি ময়মনসিংহ জেলার গফরগাঁও উপজেলার কান্দিপাড়া গ্রামের মফিজুল ইসলামের ছেলে। তার বাবা পেশায় একজন নিজ ব্যবসায়ী।
অভিযুক্ত শিক্ষক মোহাম্মদ আলী ওই মাদ্রাসার মুহতামিম। তার বাড়ীও ময়মনসিংহের গফরগাঁও উপজেলার পাগলা থানার দাইরগাঁও গ্রামে। তার বাবার নাম ফিরোজ রশিদ। শ্রীপুরের কেওয়া পূর্ব খন্ড গ্রামে তার ভাইয়ের সাথে মিলে নিজ ভবনে মদিনাতুল উলুম মাদরাসা গড়ে তুলেন তিনি। ঐ মাদ্রাসায় নুরানী, নাজেরা ও হেফজ বিভাগের শিক্ষার্থীদের নিয়ে শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালিত হয়ে আসছে। শিশুর পরিবার জানান, মা-বাবার দিনভর ব্যস্ততার কারণে এক বছর আগে ইয়াসিনকে হাফেজ হিসেবে গড়ে তোলার উদ্দেশ্যে ওই মাদ্রাসার আবাসিক ছাত্র হিসেবে ভর্তি করেন। সম্প্রতি পড়ালেখার চাপ বেড়ে যাওয়ায় সে হুজুরকে পড়া দিতে পারছিল না। এরজেরে কয়েকদফা মারধর করা হয় শিশু শিক্ষার্থী ইয়াসিনকে।
বুধবার সকালে হুজুরের মারধরের কারণে সে কান্নাকাটি করে, তার স্বজনের বাড়ীতে চলে আসে। শিশুর মা শারমিন আক্তার বলেন, এভাবে কোন মানুষ কোন পশুকেও মারতে পারেনা। অথচ তাঁর শিশু সন্তানকে মারধর করেছে। সন্তানকে লেখাপড়া করানোর জন্য মাদ্রাসায় দিয়েছিলাম, কিন্তু তা আর হলো না।
শিশুর বাবা মফিজুল হক বলেন, হজুর ক্ষমা চেয়েছে, এর সাথে স্থানীয়রাও আমাদের বুঝিয়ে দিয়েছে তাই ছেলেকে নিয়ে বাড়ীতে চলে যাচ্ছি।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত শিক্ষক মোহাম্মদ আলী বলেন, সে পড়া দিচ্ছিলো না, তাই তাকে মারধর করেছি। কিন্তু বিষয়টা এত বড় হয়ে যাবে বুঝতে পারিনি।
শ্রীপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার তাসলিমা মোস্তারী বলেন, শিশুটিকে নিয়ে তার স্বজনরা দুপুরে আমার কার্যালয়ে এসেছিল। তাদের থানায় অভিযোগের পরামর্শ দিয়েছি। শ্রীপুর থানার অফিসার ইনচার্জ ভারপ্রাপ্ত খোন্দকার ইমাম হোসেন বলেন, শিশু শিক্ষার্থী নির্যাতনের বিষয়ে এখনো থানায় কেউ অভিযোগ করেনি। অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *