নারায়ণগঞ্জ: নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জের পাগলী শাবনুর ও সদ্য জন্মানো তার ফুটফুটে কন্যা সন্তানের পাশে দাঁড়ালেন নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) নাহিদা বারিক। কয়েকটিগনমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশের পর নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নাহিদ বারিক রাত ৮টার দিকে পাগলি ও তার নবজাতকের খোঁজ নিতে সিদ্ধিরগঞ্জে ছুটে যান।
এর আগে বৃহস্পতিবার সকাল ৯টায় সিদ্ধিরগঞ্জের শিমরাইল মোড়ের একটি বাস কাউন্টারের সামনে ফুটফুটে একটি কণ্যা সন্তান প্রসব করেন ওই পাগলি। তবে সন্তানটির বাবা কে তা জানা যায়নি। সন্তান প্রসবের পর ওই প্রসূতি ও তার সন্তান বাস কাউন্টারের সামনের এক চকলেট বিক্রেতা নাসিমার তত্ত্বাবধানে থাকেন। গণমাধ্যমে বিষয়টি প্রকাশিত হওয়ার পর বৃহস্পতিবার রাত ৮টায় ইউএনও ছুটে যান সিদ্ধিরগঞ্জের শিমরাইল এলাকার মেথর পট্টিতে। এরপর সন্তানসহ ওই পাগলীকে হাসপাতালে পাঠানোর ব্যবস্থা করেন।
ইউএনও নাহিদা বারিক বলেন, ‘এখানে শিশুটির নিরাপত্তা নিয়ে শঙ্কা রয়েছে। এজন্য শিশুটির সার্বিক নিরাপত্তা ও সুস্থতার জন্য হাসপাতালে নেয়া হবে।’ এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন নারায়ণগঞ্জ জেলা সিভিল সার্জন ডা. মো. ইমতিয়াজ, সদর উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান আবুল কালাম আজাদ বিশ্বাস প্রমুখ।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, প্রসব বেদনা ওঠার পর পাগলি নিজেই তার সন্তান প্রসব করেন। খবর পেয়ে চকলেট বিক্রেতা নাসিমা তাদের উপজেলার মেথর পট্টিতে নিয়ে গোসল করান। নাসিমা জানান, দেড় মাস আগে শিমরাইল মোড়ের কয়েকজন দোকানদার মিলে ওই পাগলিকে আলট্রাসনোগ্রাম করিয়েছিলেন। তারপর আর ডাক্তার দেখানো হয়নি।
তিনি আরো জানান, দুই বছর ধরে ওই পাগলি শিমরাইল মোড়ে ঘোরাঘুরি করেন। আশপাশের দোকান থেকে চেয়ে খাবার খেয়ে জীবনধারণ করেন।