ঢাকাঃ যে যার মতো বক্তব্য দিয়ে দলের ভাবমূর্তি বিনষ্টকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর সাংগঠনিক ব্যবস্থা নিতে যাচ্ছে আওয়ামী লীগ।
আজ রাজধানীর একটি হোটেলে আয়োজিত ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের বর্ধিত সভায় আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের একথা জানান। তিনি তাঁর সরকারি বাসভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে সভায় যুক্ত হন। দলের শৃঙ্খলা বিরোধী কার্যকলাপে কেউ জড়িত থাকলে, যত বড়ই নেতা হোক, কেই পার পাবে না উল্লেখ করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন কে কোথায়, কখন কি করছেন সবাই নজরদারিতে আছেন, শিগগিরই তাদের বিরুদ্ধে আগামী কেন্দ্রীয় কার্যকরী কমিটির সভায় সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে। গুটি কয়েক লোক বদনাম করলে, দল তার বোঝা নিবে না বলেও স্পষ্ট ভাবে জানিয়ে দেন ওবায়দুল কাদের। দল করলে দলের শৃঙ্খলা মনে চলতে হবে জানিয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন মনে রাখতে হবে দলে যে কোন পর্যায়ে শেখ হাসিনা ছাড়া কেউ অপরিহার্য নয়। ওবায়দুল কাদের ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দের উদ্দেশে বলেন, নিজের অবস্থান ভারী করার জন্য পকেটে কমিটি বরদাস্ত করা হবে না। সম্মেলনের মাধ্যমে তৃণমূল থেকে পর্যায়ক্রমে থানা পর্যন্ত কমিটি গঠন করতে হবে।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সাম্প্রদায়িক অপশক্তিকে পরাজিত করে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়তে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সবাইকে ঐকবদ্ধ থাকার আহ্বান জানান। তিনি বলেন, ত্যাগীদের মূল্যায়ন করতে হবে। তারাই দুঃসময়ে দলের সাথে থাকবে, বসন্তের কোকিলদের খুঁজেও পাওয়া যাবে না।
বাংলাদেশের উন্নয়ন ও অর্জনের ধারাকে অব্যাহত রাখতে হলে শেখ হাসিনাকে ক্ষমতায় থাকতে হবে উল্লেখ করে ওবায়দুল কাদের বলেন, সেজন্য সবাইকে ঐকবদ্ধ থাকতে হবে। আওয়ামী লীগ একটি পরিবার, যারা এই পরিবারের ঐক্যে ফাটল ধরাবে তাদেরকে কোন ভাবেই ক্ষমা করা হবে না বলেও সাফ জানিয়ে দেন।
দলের অভ্যন্তরে বিষয়ে কোন বক্তব্য বা দ্বিমত থাকলে তা দলীয় ফোরামে আলোচনা করতে হবে, তাতেও সমাধান না হলে লিখিতভাবে সভানেত্রীর রাজনৈতিক কার্যালয়ে জমা দিতে হবে। ওবায়দুল কাদের আবারো বলেন দলের জেলা, উপজেলা, থানা পর্যায়ের যে কোন কমিটি কেন্দ্রের অনুমতি ছাড়া বাতিল করা যাবে না। ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সভাপতি আবু আহমেদ মন্নাফীর সভাপতিত্বে বর্ধিত সভায় বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক ডাক্তার দীপু মনি, সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম, দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হুমায়ুন কবিরসহ অন্যান্য কেন্দ্রীয় ও মহানগরের নেতৃবৃন্দ।