গাজীপুর: গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলার মুলাইদ এলাকায় বৃহষ্পতিবার বিকেলে এ এস এম কেমিক্যাল ইন্ডাস্ট্রিজ কোম্পানি লিমিটেডে অগ্নিকাণ্ড ঘটেছে। ফায়ার সার্ভিসের ৮টি ইউনিটের কর্মীরা প্রায় ৩ ঘণ্টা চেষ্টার পর আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। এ ঘটনায় অন্তত ২০ জন আহত হয়েছেন।
প্রত্যক্ষদর্শী ও শ্রীপুর থানার পরিদর্শক (অপারেশন) গোলাম সারোয়ার জানান, বিকেল পৌনে ৫টার দিকে বিকট শব্দে অগ্নিকাণ্ড ঘটে। এতে আগুনের শিখা ও ধোঁয়া মুহূর্তের মধ্যে ছড়িয়ে পড়ে। এসময় কারখানার হাইড্রোজেন পারক্সাইড মেশিনে বিস্ফোরণ ঘটে।
গাজীপুর ফায়ার সার্ভিসের উপ-সহকারী পরিচালক আব্দুল হামিদ জানান, শ্রীপুর উপজেলার তেলিহাটি ইউনিয়নের টেপিরবাড়ী মুলাইদ এলাকাস্থিত এএসএম কেমিক্যাল ইন্ডাস্ট্রিজ কারখানায় বৃহস্পতিবার বিকেলে উৎপাদন কাজ চলছিল। এসময় ৫ শতাধিক শ্রমিক কাজ করছিল। বিকেলে হঠাৎ বিকট শব্দে কারখানার বিশাল আকৃতির হাইড্রোজেন পারক্সাইড তৈরীর প্ল্যান্টে বিস্ফোরণ ঘটে। মুহূর্তেই আগুন পুরো প্ল্যান্টে ছড়িয়ে ভয়াবহ আকার ধারণ করে। বিকট শব্দে বিস্ফোরণ ও আগুন দেখে কারখানার কর্মীরা আতঙ্কিত হয়ে দিগ্বিদিক ছুটাছুটি শুরু করেন। আগুনের ধোঁয়ার কুন্ডলি আশপাশে ছড়িয়ে পড়লে স্থানীয়রা আতঙ্কিত হয়ে পড়েন। ভয়াবহ বিস্ফোরণের এ ঘটনায় ওই প্ল্যানটি লণ্ডভণ্ড হয়ে যায়। এসময় অন্তত ২০ জন আহত হয়েছেন। কারখানার কর্মী ও স্থানীয়রা আগুন নেভানোর চেষ্টা করে ব্যার্থ হয়। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের শ্রীপুর স্টেশনের দুটি, জয়দেবপুর স্টেশনের দুটি, ময়মনসিংহের ভালুকা স্টেশনের দুটি ও টঙ্গী স্টেশনসহ আটটি ইউনিটের কর্মীরা পর্যায়ক্রমে ঘটনাস্থলে আগুন নেভানোর কাজ শুরু করেন। তারা প্রায় ৩ ঘণ্টা চেষ্টার পর রাত সাড়ে ৭টার দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনেন।
তবে আগুন পুরোপুরি নেভাতে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা রাত সোয়া আটার দিকেও এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত কাজ করছিল। বিস্ফোরণের কারণে আগুনের সূত্রপাত হয়েছে। তবে বিস্ফোরণের কারণ তাৎক্ষণিকভাবে নির্ণয় করা সম্ভব হয়নি।
পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা জানান, বিস্ফোরণের এ ঘটনায় আহতদের মধ্যে গুরুতর অবস্থায় ইসহাক, সুজা উদ্দিন, সিলভেস্টা, আশরাফুল, মনির ও আমিনুল উন্নত চিকিৎসার ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। অপর আহত ওই কারখানার সাপ্লাইম্যান মো: টুটুল, সহকারী প্রকৌশলী আমিনুল ইসলাম, অপারেটর আবির হোসেন, রোকনুজ্জামান, কর্মকর্তা ওয়াসিম আকরামসহ অন্যদের বিভিন্ন হাসপাতাল ও ক্লিনিকে পাঠানো হয়েছে।