মানুষে মানুষে খুব পাস্পরিক সুসম্পর্কের মাধ্যমে তৈরি হয় বন্ধুত্ব। বিনা কারণে যেমন বন্ধুত্বের জন্যেই বন্ধুত্ব হয়, আবার প্রয়োজনেও বন্ধুত্বের পরিধি খুব বাড়ে। সে প্রয়োজন শুধু আর্থিক ও বৈষয়িক হবে এমন কোনো কথা নেই। বন্ধুত্ব হওয়ার মাঝে যা যা প্রয়োজন তার মৌলিক বিষয়গুলোর মধ্যে চিন্তা-চেতনা কিংবা রুচির মিল। সমমনা দুজন মানুষের একটি জগৎ থেকেই তো শুরু হয় বন্ধুত্ব। আসলেই বন্ধুত্ব ছাড়া ব্যক্তি, পরিবার কিংবা সমাজ কার্যত কোনোটাই তেমন চলতে পারে না। খুব ভালো বন্ধু পরিবার, সমাজ ও চারপাশের মনোসামাজিক উন্নয়নের জন্যে দরকার আছে। আবার ছেলে-মেয়ের বন্ধুত্ব মানেই প্রেম, অসম বয়স হলে চোখ কপালে তোলে প্রেমের নামে অহেতুক বন্ধুত্ব করা উচিত না। ভালো রেস্তোরাঁয় খাওয়ালে বা ভালো উপহার দিলে যে ভালো বন্ধু হওয়া যায় না, সেটাও বুঝতে হবে। সুন্দর এবং উন্নত সমাজ বিনির্মাণে বন্ধুত্বপূর্ণ সুসম্পর্কে গুরুত্ব অনেক বেশি। তাই,- বন্ধুত্বের গুরুত্ব যেমন বেশি তেমনি বন্ধুত্ব বা সুসম্পর্ক বজায় রাখার গুরুত্ব তারচেয়ে বেশি। সত্যিকারের বন্ধুত্ব মানে ‘আজীবন বন্ধুত্ব’। এ ধারণাটিও সবসময় ঠিক নাও হতে পারে। ছোটবেলা যে বন্ধুত্ব গড়ে উঠে, শিক্ষা জীবনে যে ঘনিষ্ঠতা গড়ে ওঠে, কর্ম জীবনে প্রবেশ করার পর তার অধিকাংশই হারিয়ে যায়।
আবার বাসস্থান পরিবর্তনের কারণেও পুরানো বন্ধুর জায়গাতে নতুন বন্ধুর সৃষ্টি হয়। কর্মজীবী মহিলাদের বেলায় এমন ব্যাপারটি আরও অস্পষ্ট। কর্ম জীবনে বা শিক্ষা জীবনে অনেকের সাথে তাদের বন্ধুত্ব হয়। তারা কর্ম এবং শিক্ষা জীবন ত্যাগ করেই পুরোপুরি গৃহিণী হয়ে গেলে বন্ধুত্বের আওতাটা পুরোপুরি পাল্টে যেতে পারে। তবে এ ধরনের খণ্ডকালীন বন্ধুত্বকেও কম গুরুত্ব পূর্ণ মনে করার কোন প্রয়োজন নেই। জীবনের নানা সময়ে নানা কালে বিভিন্ন মানুষের সাথে প্রয়োজনীয় ও আনন্দদায়ক বন্ধুত্ব হতেই পারে। তাকে যথাযত মুল্যায়নের দৃষ্টিতেই দেখা দরকার বলেই মনে করি। তাদের সংসার জীবনের স্বামী-স্ত্রীর যে সু সম্পর্ক তা বন্ধুত্বের কাতারে চলে আসে। তাঁদের মধ্যে মতামতের মিলেই বন্ধুত্ব হয়। এরফলেই বিবাহবিচ্ছেদও কমে যায়। আবার শিক্ষক-ছাত্রের মধ্যে বন্ধুত্ব সম্পর্কটা থাকলে তা শেখার প্রক্রিয়াকেও সাবলীল করে। বন্ধুত্বটা মানেই তো একে অপরের মনের মিল থাকা। একজনের সঙ্গে অন্যজনের আগ্রহ ও চিন্তার মিল থাকবে। সুতরাং, সুখ-দুঃখ বা বিপদ-আপদে একেঅন্যের পাশেই থাকার চেষ্টাটাই বন্ধুত্ব।
বন্ধুত্ব মানে হলো যে একে অন্যের সুখে-খুশিতে লাফিয়ে ওঠা একেঅন্যের দুঃখে পাশেও দাঁড়ানো। মন খুলে কথা বলা, হেসে গড়াগড়ি খাওয়া আর চূড়ান্ত ভাবে পাগলামি করার একমাত্র আধার বন্ধুত্ব। বন্ধুত্ব কোনো বয়স মেনে হয় না, ছোটবড় সবাই বন্ধু হতে পারে। বন্ধুত্বের মধ্যে যে জিনিসটা থাকা দরকার তা হলো, সু-গভীর ভালোবাসা। একজন বন্ধুর আত্মার সঙ্গে অন্য বন্ধুর আত্মার টানটাই বন্ধুত্ব। পরিসংখ্যানে জানা যায় যে, দীর্ঘ দিনের বন্ধুত্বের মধ্যে ‘আস্থা, বিশ্বাস ও নির্ভরতা’ বেশি থাকে। তাই বলে, নতুন বন্ধু হতে হলে, তাকে ১০/১২ বছর পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে—বন্ধুত্বের দাবির জন্যে, এমনটাও ঠিক নয়। তরুনদের জীবনে খুবই খারাপ সময় বা হতাশার মুহূর্তে বড়দের বন্ধুত্বপূর্ণ আচরণ করেই তাদের নতুন জীবনের সূচনা করে দিতে হবে। এসবই তো সঠিক বন্ধুত্বের মধ্যে পড়ে। ছোটরা বয়সে বড় যে কোনো মানুষদেকে নিজের গোপন কষ্টের কথা জানানোটা দোষের কিছু না, তা তো বন্ধুত্বের মধ্যেই গন্য হয়। বিজ্ঞজন এবং বড়রা ছোটদের জীবন পরিচালনার আস্থা তৈরি করে দেয়া খুবই গুরুত্ব পূর্ণ বন্ধুত্ব। আসলেই সঠিক বন্ধুত্বের তালিকায় ‘নারী না পুরুষ’ কিংবা ‘ছোট নাকি বড়’, সেইটা মুখ্য হয়ে ওঠে না।আবেগ, সমস্যা ও আনন্দ-অনুভূতি এবং উপলব্ধিগুলো বন্ধুর কাছে শেয়ার করা উচিত। বন্ধুদের সাথে আড্ডায় থাকা দোষের নয়। স্হায়ী বন্ধুদের সঙ্গেই আড্ডা দেওয়া উত্তম। স্থায়ী বন্ধুদের বেশ কিছু নির্দিষ্ট বৈশিষ্ট্য উপস্থিত থাকে। যেমন ধরা যাক: নিজস্ব যোগ্যতা, আস্থা, সততা, সহানুভূতি, সহমর্মিতা, সমবেদনা,পারস্পরিক, অনুভূতি প্রকাশ, একে অপরের সঙ্গ, স্নেহ, বোঝাপড়া সহ প্রভৃতি অন্তর্ভুক্ত থাকে। একটু অন্য ভাবেই বলার চেষ্টা করি, তা হলো,- “নির্বোধ এবং বোকা মানুষদের বন্ধুত্ব থেকে দূরে থাকো। কারণ তিনি উপকার করতে চাইলেও তার দ্বারা আপনার ক্ষতি হয়ে যাবে।’’ এমন কথাটা- হজরত আলি রাদিয়াল্লাহু আনহু বলেছিলেন। আবারও হজরত ইমাম জাফর আস-সাদিক রহমাতুল্লাহি আলাইহি বলেছিলেন ‘পাঁচ ব্যক্তির সাথেই বন্ধুত্ব করা সমীচীন নয়। তারা হলো মিথ্যাবাদী, নির্বোধ, ভীরু,পাপাচারী ও কৃপণ ব্যক্তি।’
জীবনে চলার পথে প্রত্যেকেরই জীবনে বন্ধু নামের এক বিশ্বাস কি়ংবা মজবুত সুসম্পর্কের সৃষ্টি হয়। যে সম্পর্ক কখনো লাভ অথবা ক্ষতির ভাবনায় গড়ে ওঠে না। কিছু মুহূর্ত আমাদের সামনে হাজির হয়ে যায়। যেখানে বন্ধু’র গুরুত্ব অপরিসীম। মেকি বা প্রহসনের বন্ধু দরকার নেই, তারা ক্ষতিই করে। রবীন্দ্রনাথ বলেন, বন্ধুত্ব আটপৌরে। বন্ধুত্বের আট পৌরে কাপড়ের দুই-এক জায়গাতে ছেঁড়া থাকিলেও চলে,.. ঈষৎ ময়লা হইলেও হানি নাই,.. হাঁটুর নীচে না পৌঁছিলেও তা পরিতে বারণ নাই।… গায়ে দিয়া আরাম পাইলেই হইল। বন্ধুত্ব সম্পর্কটিই তো তাই। স্থান, কাল, বয়স ও লিঙ্গ নির্ধারণ করে তো বন্ধুত্ব হয় না। যার কাছে মনের সব লুকানো কথা, আস্থা ও বিশ্বাসের সাথে খুলে বলা যায়। সেই তো ‘প্রকৃত বন্ধু’। সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে টেনে তোলা হয় বিপৎসীমা থেকে খুবই নিরাপদ স্থানে। সেই তো “প্রকৃত বন্ধু”। আবার খুব ভুল সিদ্ধান্তের অন্ধকার হতে ফিরিয়ে আলোকিত পথের সন্ধান দেওয়া যায়। সেই তো ‘প্রকৃত বন্ধু’। বিশ্বাসের সু-সম্পর্কের সাথে জড়িত ব্যক্তিদেরকে বন্ধুত্বের আসনে বসিয়ে তাকে ‘বন্ধু বলাটাই উচিত। আসলে, সঠিক বন্ধু মানুষের হতে পারে এক থেকে একাধিক। আত্মার সাথে আত্মার শক্তিশালী বন্ধন হলো বন্ধু। এরিস্টটল বন্ধুত্ব সম্পর্কে বলেছেন যে, ‘’প্রতিটি নতুন জিনিসকেই উৎকৃষ্ট মনে হয়। কিন্তু বন্ধুত্ব যতই পুরোনো হয়, ততই উৎকৃষ্ট ও দৃঢ় হয়।’’ তা ছাড়াও এমিলি ডিকেনসন বলেছেন যে,- ‘আমার বন্ধুরা আমার সাম্রাজ্য।’ তবে আমার কাছেই আমার বন্ধু’রা হলো হাত আর চোখের মতো।…হাত যখন ব্যথা পায়,…চোখ দিয়ে তখন জল ঝরে পড়ে।. আর চোখ দিয়ে যখন জল ঝরে পড়ে,…..তখন সেই ব্যথায় ব্যথাতুর হাতটি চোখের জল মোছার জন্যে ব্যস্ত হয়ে যায়। সুতরাং ব্যথা আর চোখের জলের সম্পর্ক যেমন ঘনিষ্ঠ, আমাদের বন্ধুত্বের বন্ধনও একই সুতায়। একে অপরের কাছে থেকে দূরে থাকলেও অন্তরে টান থাকে ষোল আনা।
বন্ধু নির্বাচনের ক্ষেত্রে ”সতর্কতা অবলম্বন” করা জরুরি। কারো সম্পর্কে জানা শুনা না করে যে কাউকে বন্ধুরূপে গ্রহণ করা ঠিক হবে না। কেননা সাধরণ মানুষরাই বন্ধুর স্বভাবেরই অনুকরণ করে প্রতারনা করে থাকে। ইসলাম ধর্মের দৃষ্টি কোণ থেকে এক হাদিসের আলোকেই বলার চেষ্টা করি। “রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম” বলেছিলেন,- মানুষ তার বন্ধু স্বভাবী হয়, তাই তাকে বা মানুষকে লক্ষ্য করা উচিত, সে কার সঙ্গে বন্ধুত্ব করছে। (তিরমিজি) সত্যবাদী, নামাজি, দ্বীনদার ও পরোপকারী ব্যক্তিই হতে পারে মানুষদের সর্বোত্তম বন্ধু। তবেই তৈরি হবে একটি সুন্দর সমাজ ও আদর্শের এক সমাজ। যিনি আপনাকে অনুভব এবং অনুকরণ করে, তিনিইতো হবে আপনার প্রকৃত বন্ধু। গোপন কথাগুলি অন্য কাউকে না জানিয়েই বিশ্বস্ততার পরিচয় দিবে। এমন অনেক প্রকৃত বন্ধু’রা থাকে তারা সারা জীবনে নীরবেই উপকার করে। বলা যায় যে, কথা দিয়ে, কাজ দিয়ে কিংবা টাকা দিয়ে। কখনোই বলে বেড়ায় না কতোটা উপকার করেছে। সেই বন্ধুটি খুব অল্প দিনের চেনা হলেও আপনার কাছের বা ‘গুরুত্ব পূর্ণ বন্ধু ভাবা’ উচিত। তার সাথেই ভালো সম্পর্ক গড়ে তোলা প্রয়োজন। তাকে আপনাকেই ‘চিনে ও বুঝে’ নিতে হবে। “রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম” বন্ধুত্বের উদাহরণ দিয়ে বলেছিলেন,- ‘সৎ সঙ্গী ও অসৎ সঙ্গীর উদাহরণ হচ্ছে,- আতর বিক্রয়কারী বা কামারের হাপরের ন্যায়। সুতরাং এমন আতরওয়ালা আপনারকে নিরাশ করবে না। হয় আপনি তার নিকট থেকেই আতর কিনবেন বা আতরওয়ালার কাছেই সুঘ্রাণ পাবেন। আর কামারের হাপরটা, হয় আপনার ‘বাড়ি জ্বালিয়ে’ দেবেন, নচেৎ আপনার কাপড় পুড়িয়ে দেবেন আর তাও নাহলে তার কাছে দুর্গন্ধ পাবেন।’ (বুখারি)
প্রবাদেও আছে যে, সৎসঙ্গ স্বর্গবাস, অসৎসঙ্গ সর্বনাশ। তাই পরস্পর সু-সম্পর্ক বজায় রাখলে আরশের ছায়ায় স্থান পাবে বলেও একটা ঘোষণা দিয়েছিলেন বিশ্ব নবি। তিনি বলেন, ‘কেয়ামতের দিন আল্লাহ তাআলা, ‘আমায় মর্যাদার কারণে কিংবা আনুগত্যের কারণেই পরস্পরের বন্ধুত্ব স্থাপনকারীরা আজ কোথায়? আমি আল্লাহ তালা তাদেরকে আজ আমার ছায়া তলে আশ্রয় দেব। যে দিন আমার ছায়া ব্যতিত আর কোনো ছায়া থাকবেনা।’ এটি মুসলিম থেকে প্রকাশিত কথা। একারণে মানুষের উচিত ভালো বন্ধু নির্বাচন করা। একটি উল্লেখ যোগ্য উদাহরণ দেই, যেমন ধরুন: লেখালেখি, গান, আড্ডা, কৌতুক বা সাহিত্য-সংস্কৃতি প্রেম থেকেই যেন রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর এর সঙ্গে দ্বিজেন্দ্রলাল রায়ের একটা দারুণ বন্ধুত্ব হয়েছিল। যদিও সেই বন্ধুত্ব অনেক পরে নষ্ট হয়ে যায়। এটাই যেন বাস্তব উদাহরণ। সুতরাং,- সঠিক বন্ধু চিনেই বন্ধুত্ব গড়ে তুলতে হবে। ‘কুরআন সুন্নাহ কিংবা ইসলামের ইতিহাসে’ বন্ধুতের মর্যাদা ও গুরুত্বের ব্যাপারে আছে সুস্পষ্ট দিক- নির্দেশনা। যা মানুষকে সফলতার পথ দেখায়।
আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহর সবাইকে পারস্পরিক সুসম্পর্ক তৈরি করে যেন একে অপরকে বন্ধু রূপে গ্রহণ করার নির্দেশ দিয়েছেন। পরকালের সুন্দর জীবন লাভে বন্ধুত্ব কিংবা পাস্পরিক সুসম্পর্ক তৈরি করায় আত্মাতে শক্তিশালী বন্ধন সৃষ্টি করে। উচ্চ শিক্ষাতে সমাজ বিদ্যা, সামাজিক মনো বিজ্ঞান, নৃতত্ত্ব ও দর্শনে বন্ধুত্বের শিক্ষা দেয়া হয় । ওয়ার্ল্ড হ্যাপিনেস ডেটাবেজ গবেষণায় দেখা গেছে, ঘনিষ্ঠ বন্ধুত্বের কারণেই ‘মানুষ সুখী’ হয়। আল্লাহ বলেছেন,‘আর ঈমানদার পুরুষ ও ঈমানদার নারী একে অপরের সহায়ক। তারা ‘ভাল কথার শিক্ষা’ দেয় ও মন্দ থেকে বিরত রাখে। নামাজ প্রতিষ্ঠা করে জাকাতও দেয় এবং আল্লাহ ও তাঁর রাসুলের নির্দেশ অনুযায়ী জীবনটা পরিচালিত করে। এদেরই উপরেই আল্লাহ তাআলা দয়া করবেন। নিশ্চয় আল্লাহ পরাক্রমশীল, সুকৌশলী। (সুরা তাওবা: আয়াত ৭১)। ‘বন্ধু’ শব্দের মাঝেই সব লুকায়িত আছে। এতে কোনো বয়সটা বাধা নয়। কিশোর বয়সের কোন ছেলে এবং মেয়ের সঙ্গে যদি তারচেয়ে বড় কারো সাথে বন্ধুত্ব হয়, তবে তাদের অবশ্যই জ্ঞানের পরিসীমা বাড়তে বিরাট ভূমিকা রাখে। বাবা- মায়েরাও সন্তানদের ভালো বন্ধু হতে পারে। ভালো মন্দ সব কিছু খোলামেলা আলোচনা করে সন্তানদেরকে গড়ে তুলবে হবে। তারাই আগামী দিনের আলোকিত সুন্দর বা সুখের মানুষ পিতা মাতার কাছ থেকেই যেন হয়। বন্ধুর সঙ্গে অকপটেই সব ভালোমন্দ কথার সহিত মন্দ যত খারাপ হোক র্নিদ্বিধায় বলতে পারাটার নামই প্রকৃত বন্ধু।
<img class="emoji" alt="” src=”https://s.w.org/images/core/emoji/11/svg/270d.svg”>লেখক:
নজরুল ইসলাম তোফা, টিভি ও মঞ্চ অভিনেতা, চিত্রশিল্পী, সাংবাদিক, কলামিষ্ট এবং প্রভাষক।