টাঙ্গাইলে মৃত ভেবে এড়িয়ে গেল এলাকাবাসীরা; হাসপাতালে নিল মানবিক পুলিশ

Slider বিচিত্র


সাইফুল ইসলাম, টাঙ্গাইল প্রতিনিধিঃ টাঙ্গাইল জেলার ভূঞাপুর উপজেলার কয়রা গ্রামের পতিত জমি থেকে মানসিক ভারসাম‌্যহীন ও গুরুতর অসুস্থ এক যুবককে উদ্ধার করেছেন পুলিশ। পৌষ মাসের শেষ সপ্তাহে প্রচণ্ড শীতের কুয়াশা চাদরে ঢাকা সকালে জরাজীর্ণ পোশাকে কাদামাখা শীর্ণ দেহটি পড়ে থাকতে দেখেছিলেন এলাকাবাসীরা এবং রাতভর মরার মতো পড়েছিল খোলামাঠেই। এতে আশপাশের লোকজন ভেবেছিলেন এটি মরদেহ। করোনা ভাইরাসে মৃত‌্যু হয়েছে ভেবে কাছে যায়নি কেউই। কিন্তু বেলা বাড়তেই নড়ে ওঠে দেহটি। শুক্ররাত (৮ ই জানুয়ারি) রাত থেকে খোলা মাঠেই নিথর দেহে পড়েছিল অজ্ঞাতপচিয়ের ওই যুবক।

স্থানীয় ইউপি সদস্য শহিদুল ইসলাম বলেন, কোভিড-১৯ আক্রান্ত মরদেহ মনে করে স্থানীয়রা কাছে যায়নি। তবে সকালে হাত-পা নাড়ানো দেখে পরে পুলিশে খবর দেওয়া হলে পুলিশ এসে তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করেছিলেন। পুলিশের মানবিক তৎপরতায় সাধুবাদও জানিয়েছেন এলাকাবাসীরা।”

ভূঞাপুর থানার পুলিশ উপপরিদর্শক (এসআই) সাইফুল ইসলাম বলেন, “ময়লা-আবর্জনার মধ্যে মুমূর্ষু অবস্থায় পড়েছিল অজ্ঞাত ঐ যুবক যা ঘটনাস্থলেই গিয়ে দেখতে পাই । আর এসময় তার শরীর থেকে প্রচন্ড দুর্গন্ধও বের হচ্ছিল। তারপর বিষয়টি থানার ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাকে জানানো হলে তার নির্দেশে যুবককে উদ্ধার করে গোসল করিয়ে নতুন কাপড় পরানো হয়। এরপরে ভূঞাপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়।”

ভূঞাপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের (আরএমও) আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা ডা. রাজিব পাল বলেন, “মানসিক ভারসাম্যহীন ওই যুবককে মুমূর্ষু ও অচেতন অবস্থায় হাসপাতালে আনা হয়েছে এবং যুবকটি ঠান্ডাজনিত রোগে আক্রান্ত। এছাড়াও খিঁচুনির সমস্যাও রয়েছে। তিনি শারীরিকভাবে অনেকটা দুর্বল-এমনকি কথাও বলতে পারছেন না। তবে কিছুটা উন্নতি হলেও এখনো শঙ্কা কাটেনি। তাকে সুস্থ করে তুলতে সাধ্যমতো চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।”

ভূঞাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রাশিদুল ইসলাম বলেন, “মানবিক পুলিশিং কার্যক্রমের আওতায় (নিয়মিত কাজের বাইরেও) ওই যুবককে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করিয়েছি। সুস্থ না হওয়া পর্যন্ত চিকিৎসকদের পাশাপাশি আমরাও তার পাশে আছি।”

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *