রাতুল মন্ডল নিজস্ব প্রতিনিধি: গাজীপুরের শ্রীপুরের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সাফারি পার্কের ইমু বেষ্টনীতে ইমু পাখির ঘরে নতুন বাচ্চার জন্ম হয়েছে। রোববার (২০ ডিসেম্বর) সকালে ইমুর পাখির বেষ্টনীতে ডিম থেকে একটি বাচ্চা ফুটেছে। আর এ বাচ্চাটি ঘিরেই ইমুর ঘরে বইছে আনন্দের বন্যা। ইমুর ডিম ফুটে ছানার জন্ম হওয়ার ঘটনা বঙ্গবন্ধু সাফারি পার্কে দ্বিতীয়। ২০ডিসেম্বর পাখিটির জন্ম হলেও নিরাপত্তা বিবেচনায় পার্ক কর্তৃপক্ষ গতকাল রোববার দুপুরে সাংবাদিকদের তথ্যটি জানান।
সাফারি পার্কের বন্যপ্রাণী পরিদর্শক আনিসুর রহমান বলেন, পৃথিবীর দ্বিতীয় বৃহত্তম পাখি “ইমু”। বন্য পরিবেশে দক্ষিণ আফ্রিকা ছাড়াও এদের বসবাস রয়েছে অস্ট্রেলিয়াতে। পার্ক প্রতিষ্ঠাকালীন সময়ে দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে একটি পুরুষ ও দুটি নারীসহ ৩টি ইমু পাখি এ পার্কে আনা হয়েছিল। ২০১৮ সালের জানুয়ারীতে এই পার্কেই ৪টি ইমুর ছানার জন্ম হয়েছিল। নতুন ছানা নিয়ে বর্তমানে পার্কে ইমুর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৮টিতে।
তিনি জানান, সম্প্রতি একটি মাদি ইমু পাঁচটি ডিম দেয়ার পর পুরুষ ইমুটি ডিমে তা দেয়। তা থেকে গত ২০ ডিসেম্বর সকালে একটি বাচ্চা ফুটেছে। বাকি ডিমগুলো হতে আরও বাচ্চা পাওয়ার আশা রয়েছে।
তিনি আরো জানান, সমতল তৃণভূমি বা খোলামেলা বন জঙ্গলে এরা বাস করে, এরা যাযাবর শ্রেণীর অর্ন্তভূক্ত। ইমু পাখি হলেও এরা উড়তে পারে না, তবে ঘণ্টায় ৪০ মাইল বেগে দৌঁড়াতে পারে। এরা দক্ষ সাতারুও বটে। ইমু খুব শান্তশিষ্ট ও উৎসুক পাখি। এদের পায়ে থাকে ধারালো নখওয়ালা তিনটে আঙ্গুল থাকায় এরা উট পাখির মত পা দিয়ে আত্মরক্ষা করে থাকে। এদের শরীর বাদামি রঙের পালকে ঢাকা। ইমু সাধারণত ৬ফুট পর্যন্ত উঁচু হয়ে থাকে এবং সর্বোচ্চ ওজন হয় ৬০-৬৫ কেজি পর্যন্ত হয়। ডিম দেয়ার সময় হলে এরা বাসা বাঁধে। মা ইমু ডিম দেয়ার পর পুরুষ ইমু তাতে তা দেয়। এই সময় তারা ডিম ছেড়ে অন্য কোথাও যায় না, এমনকি খাওয়া-দাওয়াও করে না। এরা সর্বভূক প্রাণী বিধায় এদের প্রধান খাবার গাছপালা, ফলমূল ও পোকা মাকড়।
বঙ্গবন্ধু সাফারি পার্কের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সহকারী বন সংরক্ষক তবিবুর রহমান বলেন, সাফারি পার্কে ইমু পাখি ডিম ফুটে বাচ্চা দেয়ায় আশার স ার হয়েছে। আশা করা যাচ্ছে বাকি ডিমগুলো থেকেও বাচ্চা ফুটবে এবং এ পার্ক থেকেই দেশের অন্যান্য দর্শনীয় স্থান গুলোতে ইমু সরবরাহ করা যাবে।
