ভারত-মিয়ানমার-থাইল্যান্ড মহাসড়কে যুক্ত হতে চায় বাংলাদেশ

Slider ফুলজান বিবির বাংলা

ভারত-মিয়ানমার-থাইল্যান্ড মহাসড়কে যুক্ত হওয়ার আগ্রহ প্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বৃহস্পতিবার ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে ভার্চুয়াল সামিটে ত্রিদেশীয় এই মহাসড়কে ঢাকার আগ্রহের কথা জানিয়ে ভারতের সমর্থন চেয়েছেন তিনি। সামিট পরবর্তী যৌথ বিবৃতিতে বলা হয়, তিনি (শেখ হাসিনা) নির্মাণাধীন ভারত-মিয়ানমার-থাইল্যান্ড ত্রিপাক্ষিক মহাসড়ক প্রকল্পের প্রতি গভীর আগ্রহ প্রকাশ করেছেন এবং দক্ষিণ ও দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ার অঞ্চলগুলোর মধ্যে যোগাযোগ বাড়ানোর লক্ষ্যে এই প্রকল্পের সঙ্গে বাংলাদেশের যুক্ত হতে ভারতের সমর্থন চেয়েছেন। বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ভারতও বাংলাদেশের ভেতর দিয়ে পশ্চিমবঙ্গ (হিলি) থেকে মেঘালয় (মহেন্দ্রগঞ্জ) পর্যন্ত যোগাযোগের অনুমতি দেয়ার জন্য বাংলাদেশকে অনুরোধ করেছে। শেখ হাসিনা ও মোদি চলমান দ্বিপাক্ষিক যোগাযোগ বাড়ানোর ক্ষেত্রে অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন ও বাণিজ্য প্রোটোকল (পিআইডব্লিউটিটি) এর অধীনে দ্বিতীয় সংযোজন কলকাতা থেকে চট্টগ্রাম হয়ে আগরতলা পর্যন্ত পরীক্ষামূলক ভারতের পণ্য পরিবহনসহ সাম্প্রতিক উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছেন। দুদেশের প্রধানমন্ত্রী চট্টগ্রাম ও মংলা বন্দরের মাধ্যমে ভারতীয় পণ্যের চালান দ্রুত পরিবহণে সম্মত হন। দুই দেশের মধ্যে যাত্রী ও পণ্য পরিবহন সহজ করতে তারা বাংলাদেশ-ভুটান-ভারত-নেপাল (বিবিআইএন) যানবাহন চুক্তির সমঝোতা স্মারক দ্রুত সই করার বিষয়ে সম্মত হন। বাংলাদেশ, ভারত ও নেপালের মধ্যে পণ্য ও যাত্রীদের চলাচল শুরু হলেও, ভুটান এতে পরে যোগ দিতে পারবে।

এছাড়া, শিগগির স্থলবন্দর দিয়ে নিয়মিত যাতায়াত শুরু করার জন্য ভারতকে অনুরোধ জানায় বাংলাদেশ। বিবৃতি মতে, মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্য থেকে জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত প্রায় ১০ লাখ মানুষকে আশ্রয় দেয়া এবং মানবিক সহায়তা প্রদানে বাংলাদেশের উদারতার প্রশংসা করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। তাদের নিরাপদ, দ্রুত ও স্থায়ী প্রত্যাবর্তনকে গুরুত্ব দিয়েছেন দুই প্রধানমন্ত্রী। শেখ হাসিনা জাতিসংঘের নিরাপত্তা কাউন্সিলের অস্থায়ী সদস্য হওয়া ভারতকে অভিনন্দন জানান এবং মিয়ানমারে রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসনের বিষয়ে ভারতের সহায়ক ভূমিকা দেখার আশা ব্যক্ত করেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *