সিরাজগঞ্জের কাজিপুর থানা হেফাজতে ছয়দিন আটকে রেখে নারী আসামিকে নির্যাতনের অভিযোগে তিন কর্মকর্তাসহ পাঁচ পুলিশ সদস্যকে ক্লোজ (প্রত্যাহার) করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২৯ জানুয়ারি) সিরাজগঞ্জের ভারপ্রাপ্ত পুলিশ সুপার সুভাষ চন্দ্র সাহা এদের ক্লোজ করেন।
এরা হলেন-কাজিপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল জলিল, ওসি (তদন্ত) আব্দুর রাজ্জাক, উপ-পরিদর্শক (এসআই) আশফাকুর রহমান, কনস্টেবল সীমা খাতুন ও রনি।
ভারপ্রাপ্ত পুলিশ সুপার সুভাষ চন্দ্র সাহা জানান, আদালতের আদেশে ওসি আব্দুল জলিল ও আব্দুর রাজ্জাককে পুলিশ সুপার কার্যালয়ে ও দুই কনস্টেবলকে পুলিশ লাইনে প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়েছে। বুধবার রাতে এ আদেশে দেওয়া হয়। বৃহস্পতিবার সকাল থেকে তা কার্যকর করা হয়।
উল্লেখ্য, কাজিপুর উপজেলার আলমপুর গ্রামের গৃহবধূ আছিয়া খাতুন মুক্তি হত্যা মামলার আসামি শাপলা খাতুনকে বুধবার (২১ জানুয়ারি) গ্রেফতার করা হয়।
সোমবার (২৬ জানুয়ারি) তাকে আদালতে সোপর্দ করে পুলিশ। আদালতে মামলার শুনানি চলাকালে থানা হেফাজতে ছয়দিন আটকে রেখে শাপলাকে বিভিন্নভাবে নির্যাতনের অভিযোগ করেন তার আইনজীবী। ওইদিন বিকেলে সিরাজগঞ্জ সিনিয়র জুডিশিয়াল আদালতের বিচারক রুবিনা পারভীন ২৪ ঘণ্টার মধ্যে শাপলার শরীরের ক্ষত চিহ্নের ডাক্তারি পরীক্ষা করে প্রতিবেদন জমা দেওয়ার নির্দেশ দেন। এছাড়া তিনি দোষীদের বিরুদ্ধে ফৌজদারী ও বিভাগীয় মামলা দায়েরের নির্দেশ দেন। এর পরিপ্রেক্ষিতে ওই পাঁচ পুলিশকে ক্লোজ করা হলো।