ইসলাম বিদ্বেষীদের নিয়ন্ত্রণ না করলে ধর্মপ্রাণ মানুষ রাস্তায় নামতে বাধ্য হবে : হেফাজত

Slider বাংলার মুখোমুখি


হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের নেতারা বলেছেন, সেক্যুলারের নামে ইসলাম বিদ্বেষীদের সরকার নিয়ন্ত্রণ না করলে ধর্মপ্রাণ মানুষ রাস্তায় নামতে বাধ্য হবে।

বৃহস্পতিবার দুপুরে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তারা এ কথা বলেন। সংবাদ সম্মেলনে হেফাজতে ইসলামের মহাসচিব আল্লামা নূর হোসাইন কাসেমীর পক্ষে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন মাওলানা নূরুল ইসলাম জিহাদী।

লিখিত বক্তব্যে তারা আরো বলেন, মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চ ও জননেত্রী পরিষদ নামে দুটি সংগঠনের পক্ষ থেকে আদালতে রাষ্ট্রদ্রোহ ও মানহানির মিথ্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে। হেফাজতের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহ মামলার আর্জিতে মদীনা সনদের প্রসঙ্গ উল্লেখ করা হয়েছে, যা এক ভয়াবহ ও সুদূর প্রসারী চক্রান্তের স্পষ্ট আলামত। যা শুধু হেফাজতে ইসলাম ও এর আমির পর্যন্তই সীমাবদ্ধ বলে আমরা মনে করি না, বরং এটা সরাসরি প্রধানমন্ত্রী ও বাংলাদেশ রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে গভীর চক্রান্ত বলে মনে হচ্ছে। এজন্য আমরা এ মামলা প্রত্যাহারের দাবি জানাচ্ছি। সেই সাথে চক্রান্তকারীদের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নেয়ার আহবান জানাচ্ছি।

লিখিত বক্তব্যে আরো বলা হয়, হেফাজতের বিরুদ্ধে যে মামলা হয়েছে তার কোনো ভিত্তি নেই। মামলাটি এখন পিবিআই তদন্ত করছে। আশা করি তাদের তদন্তের পর মামলা আর আগাবে না। সরকারও মামলা নিয়ে আর সামনের দিকে আগাবে না বলে আমরা প্রত্যাশা করি।

তারা বলেন, বিষয়টির শান্তিপূর্ণ সমাধানের জন্য আলোচনায় বসার জন্য এরই মধ্যে আমরা প্রধানমন্ত্রীর কাছে চিঠি দিয়ে আবেদন জানিয়েছি। আশা করছি, প্রধানমন্ত্রীর সাথে খুব শিগগিরই বৈঠক হবে। সেখানে আমরা শান্তিপূর্ণ সমাধান হবে বলে প্রত্যাশা করছি।

কুষ্টিয়ায় বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য ভাঙ্গার বিষয়ে তারা বলেন, ভাস্কর্য যে ইসলামী বিরোধী সে বিষয়ে আলেমরা ফতোয়া দিয়েছেন। কিন্তু তারা ভাস্কর্য ভাঙ্গার কথা বলেননি। আর কুষ্টিয়া ভাস্কর্য ভাঙ্গার সাথে যাদের জড়িত বলে বলা হচ্ছে সিসিটিভি ফুটেজের সাথে তাদের দেহ ও পোশাকের মিল নেই। আমরা মনে করি, বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য ভাঙ্গার মাধ্যমে ষড়যন্ত্রের জাল বিস্তার করা হয়েছে। যারা এর সাথে জড়িত তদন্ত করে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানান হেফাজত নেতারা।

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন হেফাজত নেতা মাওলানা আবুল কালাম, মধূপুরের পীর আব্দুল হামিদ, মাওলানা মাহফুজুল হক, ড. আহমদ আব্দুল কাদের, অ্যাডভোকেট আব্দুর রকিব, জুনায়েদ আল হাবীব, মাওলানা মামুনুল হক প্রমুখ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *