‘সব কিছুর জন্য তোমাকে ধন্যবাদ’

Slider খেলা

ফুটবল কিংবদন্তি দিয়েগো আরমান্দো ম্যারাডোনা আর নেই। পৃথিবীর মায়া ছিন্ন করেছেন আর্জেন্টাইন ফুটবল লিজেন্ড। আর্জেন্টিনার বহুল প্রচারিত দৈনিক ক্লারিন জানিয়েছে, বুধবার বুয়েন্স আয়ার্সের টাইগ্রেতে তার নিজ বাড়িতে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন ৬০ বছর বয়সী ম্যারাডোনা। সম্প্রতি মস্তিস্কে অস্ত্রোপচারের পর বাড়িতেই অবস্থান করছিলেন এ ফুটবল যাদুকর। আর্জেন্টিনা ফুটবল অ্যাসেসিয়েশনও (এএফএ) ১৯৮৬ বিশ্বকাপজয়ী অধিনায়কের মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করেছে।

ম্যারাডোনার মৃত্যুতে শোকের ছায়া নেমে এসেছে ফুটবল বিশ্বে। ১৯৮৬ বিশ্বকাপের সর্বোচ্চ গোলদাতা ইংলিশ স্ট্রাইকার গ্যারি লিনেকার টুইটারে শোক বার্তায় লিখেছেন, ‘যোজন যোজন এগিয়ে, আমার প্রজন্মের সেরা খেলোয়াড় এবং সম্ভবত সর্বকালের সেরা।’

ম্যারাডোনার সাবেক ক্লাব নাপোলি ফুটবলের এ রাজপুত্রের বিদায়ে টুইটারে শোক বার্তায় লিখেছে. ‘ তুমি সবসময়ই আমাদের হৃদয়ে।’

আরেক সাবেক ক্লাব বার্সেলোনা লিখেছে, দিয়েগো, ‘সব কিছুর জন্য তোমাকে ধন্যবাদ।’
ম্যারাডোনার মৃত্যুতে শোক জানিয়ে টুইট করেছে ইংলিশ ক্লাব ম্যানচেস্টার সিটি ফরাসি ক্লাব প্যারিস সেইন্ট জার্মেই (পিএসজি)।

১৯৭৬ সালে আর্জেন্টাইন ক্লাব বোকা জুনিয়র্সের জার্সি গায়ে পেশাদার ফুটবলে পা রাখেন দিয়েগো ম্যারাডোনা। ১৯৮২তে বার্সেলোনায় পাড়ি দেন এ ফুটবল জাদুকর।
সেখানে দুই মৌসুমে ৩৬ ম্যাচে ২২ গোল করেন ম্যারাডোনা। ম্যারাডোনাকে দলে ভেড়াতে তৎপর ছিল বিশ্বসেরা ক্লাবগুলো। কিন্তু ফুটবল বিশ^কে অনেকটা চমকে দিয়েই ম্যারাডোনা যোগ দেন সাফল্যের খোঁজে থাকা ইতালিয়ান ক্লাব নাপোলিতে। ক্লাবের ইতিহাসে নাপোলি সিরি আ শিরোপা জিতেছে দুইবার। দুবারই ম্যারাডোনার আমলে (১৯৮৬-৮৭ ও ১৯৮৯-৯০)। ম্যারাডোনার জাদুকরী ফুটবল নৈপুণ্যে নাপোলি ১৯৮৮-৮৯ মৌসুমে ঘরে তোলে উয়েফা কাপ শিরোপা।

মাত্র ১৭ বছর বয়সে ১৯৭৭ সালে জাতীয় দলে অভিষেক ম্যারাডোনার। খেলেছেন চারটি বিশ^কাপ (১৯৮২, ১৯৮৬, ১৯৯০ ও ১৯৯৪)। নিজ মাটিতে ১৯৭৮ বিশ^কাপেও আর্জেন্টিনা দলে ছিলেন ম্যারাডোনা। কিন্তু কম বয়স বলে সেবার ম্যারাডোনাকে কোনো ম্যাচ খেলতে দেননি আর্জেন্টিনার বিশ্বকাপজয়ী কোচ সিজার মিনোত্তি। ম্যারাডোনার অধিনায়কত্বে ১৯৮৬তে বিশ্বকাপ শিরোপা জেতে আর্জেন্টিনা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *