গাজীপুরে কোচিং সেন্টারে কলেজছাত্রীকে ধর্ষণ করে ভিডিও ধারণ ধামাচাপার পথে!

Slider টপ নিউজ

গাজীপুর: কলেজে ভর্তির কথা বলে নিজের কোচিং সেন্টারে কলেজ ছাত্রীকে ধর্ষণ করে ভিডিও ধারণের ঘটনা ধামাচাপা দেয়ার পথে। মামলার একমাত্র আসামী কোচিং সেন্টারের মালিক গ্রেফতার হয়ে এক দিনের রিমান্ডে থাকলেও কোন তথ্য দেয়নি আসামী। ঘটনার ৯ দিন পর মামলা রেকর্ড ও ২৬ দিনেও ডাক্তারী পরীক্ষার সনদ না আসায় মামলার ভবিষৎ নিয়ে জল্পনা কল্পনা চলছে। রহস্যজনক কারণে মিডিয়ার আঁড়ালে থাকায় স্পর্শকাতর ঘটনাটি ন্যায় বিচারের মুখ আদৌ দেখবে কি না, তা নিয়ে সংশয় দেখা দিয়েছে।

মামলার(মামলা নং ৬৩ তাং ২৬/০৯/২০) এজাহার সূত্রে জানা যায়, পূবাইল ডিগ্রী কলেজে প্রথম বর্ষে ভর্তির পর রিকনফার্ম করার কথা বলে ওই ছাত্রীকে ধর্ষণ করা হয়। গাজীপুর শহরের সরকারী মহিলা কলেজ সংলগ্ন কমার্স কোচিং সেন্টারের মালিক রাশিদুল ইসলাম জুয়েল ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২০ দুপুরে কলেজে যাওয়ার কথা বলে মেয়েটিকে কোচিং সেন্টারে আনে। অত:পর তাকে বেঁধে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে ধর্ষণের দৃশ্য মোবাইলে ভিডিও করেন। এরপর মেয়েটি বাড়িতে গিয়ে পরিবারকে ঘটনা জানালে মেয়ের বাবা বাদী হয়ে গাজীপুর মেট্রো সদর থানায় এজাহার দেয়। ২৬ সেপ্টেম্বর মামলাটি রেকর্ড হলে পুলিশ আসামী রাশেদুল ইসলাম জুয়েলকে গ্রেফতার করে।

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা উপ-পরিদর্শক(এস আই) লুৎফর রহমান আজ বৃহসপতিবার দুপুর ২টা ১৯ মিনিটে ওসির ব্যবহৃত মোবাইলে জানান, আসামী একদিনের রিমান্ডে ছিল। জিজ্ঞাসাবাদে আসামী ধর্ষণের কথা স্বীকার করেনি, তবে ছবি তুলে ডিলিট করে ফেলেছেন বলে জানান এসআই লুৎফর রহমান। একই সঙ্গে ভিকটিমের ডাক্তারী পরীক্ষার সনদ এখনো আসেনি বলো জানান এই তদন্ত কর্মকর্তা।

এদিকে স্পর্শকাতর ঘটনাটি মিডিয়ায় কেন ফলাও ভাবে আসল না, সে প্রশ্নের উত্তর জানা যায়নি। তবে গাজীপুর শহরে বসবাসরত ছাত্রলীগের সাবেক এক বড় নেতার বন্ধু পরিচয়ে আসামী জুয়েল বুক ফুলিয়ে চলাফেরা করতেন বলে মানুষ জানেন।

সাধারণ মানুয়ের ধারণা, স্পর্শকাতর ঘটনার ৯ দিন পর মামলা ও ২৬ দিনেও ডাক্তারী পরীক্ষার সনদ না আসা ন্যায় বিচার প্রাপ্তীর বিষয়টি অনিশ্চয়তার ফেলে দেয়। একই সঙ্গে রিমান্ডে আসামীর নিকট থেকে কোন তথা না পাওয়া ও মিডিয়ার আঁড়ালে ঘটনার অবস্থান নানা ধরণের ঈঙ্গিত বহন করে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *