নয় জেলায় ১০ ধর্ষণ

Slider নারী ও শিশু

দোহারে স্কুলছাত্রী
দোহার (ঢাকা) প্রতিনিধি: ঢাকার দোহার উপজেলায় চতুর্থ শ্রেণির এক স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে তারই প্রতিবেশী শেখ সবুজের বিরুদ্ধে। অভিযুক্ত সবুজ উপজেলার নুরপুর গ্রামের মৃত শেখ মুন্নাফের ছেলে। এ ঘটনায় ধর্ষণের শিকার ওই শিক্ষার্থীর বাবা ইকলাছ বাদী হয়ে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে সবুজের বিরুদ্ধে দোহার থানায় একটি মামলা করেছে। কিন্তু প্রায় এক মাস পার হলেও অভিযুক্ত সবুজকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিশ। মামলার এজাহার থেকে জানা যায়, গত ১৭ই সেপ্টেম্বর দুপুরে অভিযুক্ত শেখ সবুজ ওই শিক্ষার্থীকে প্রেমের প্রেলোভন দেখিয়ে নুরপুর গ্রামের শিউলি আক্তারের বাড়িতে নিয়ে যায়। পরে তাকে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে। এ সময় তার চিৎকারে প্রতিবেশীরা এগিয়ে এলে সবুজ পালিয়ে যায়। পরে ধর্ষণের শিকার ওই শিক্ষার্থী বাড়ি ফিরে বাবা-মাকে বিষয়টি জানালে পরেরদিন তার বাবা ইকলাছ বাদী হয়ে সবুজের বিরুদ্ধে দোহার থানায় একটি ধর্ষণ মামলা করেন।

ইকলাছ বলেন, মামলার প্রায় এক মাস পেরিয়ে গেলেও অভিযুক্তকে ধরতে পারেনি পুলিশ। আমি সবুজের বিচার চাই। এ ঘটনায় অভিযুক্ত সবুজের বাড়ি গিয়ে কাউকে না পেয়ে সবুজের মুঠোফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তার ফোনটি বন্ধ পাওয়া যায়। এ বিষয়ে মামলার দায়িত্বে থাকা দোহার থানার এস আই মো. আনোয়ার হোসেন মানবজমিনের এই প্রতিবেদককে বলেন, ঘটনার পর থেকেই আসামি পলাতক। সবুজকে গ্রেপ্তার করতে আমরা জোর চেষ্টা করে যাচ্ছি। আশা রাখি কয়েকদিনের মধ্যে তাকে গ্রেপ্তার করতে পারবো।
শেরপুরে গৃহবধূ

শেরপুর (বগুড়া) প্রতিনিধি: বগুড়ার শেরপুরে রাতের আঁধারে এক গৃহবধূকে জোরপূর্বক ধর্ষণ করার সময় ওই ধর্ষককে আটকের পর গণধোলাই দিয়ে পুলিশে সোপর্দ করা হয়েছে। গত শনিবার রাতে শেরপুর উপজেলার ৮নং সুঘাট ইউনিয়নের চোমরপাথালিয়া গ্রামে ওই ধর্ষণের ঘটনাটি ঘটে। আটক ধর্ষকের নাম সাইফুল ইসলাম (২৮)। সে পেশায় রাজমিস্ত্রি। সাইফুল একই গ্রামের শাহ আলী জামাদারের ছেলে। ধর্ষণের শিকার গৃহবধূ গত রোববার শেরপুর থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন।

জানা যায়, গত প্রায় পাঁচ মাস আগে থেকে লম্পট সাইফুল ওই গৃহবধূকে বিভিন্নভাবে উত্যক্ত করে আসছিল। কখনো তাকে বিয়ের প্রলোভন দিয়ে আসতো কিন্তু এতে অস্বীকৃতি জানায় ওই গৃহবধূ। এদিকে ওই ঘটনার দিন রাত ৮টায় রাতের খাবার শেষে নিজ শয়নকক্ষে ঘুমাতে যান। এরপর রাত নয়টার দিকে সেখানে আগে থেকেই ওঁৎ পেতে থাকা লম্পট সাইফুল ওই গৃহবধূর ঘরে ঢুকে খাটের নিচে লুকিয়ে থাকে। এরপর গৃহবধূর মুখ চেপে ধরে হত্যার ভয়ভীতি দেখায় লম্পট সাইফুল। জোরপূর্বক ধর্ষণ করার সময় ওই গৃহবধূর চিৎকারে আশেপাশের লোকজন এসে ধর্ষক সাইফুলকে হাতেনাতে আটক করে গণধোলাই দেয়।

এ ঘটনার পর শেরপুর থানায় খবর দেয়া হলে পুলিশ ধর্ষককে থানায় নিয়ে যান। শেরপুর থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) এসএম আবুল কালাম আজাদ ওই ধর্ষণের ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেন। তিনি বলেন, ধর্ষণের শিকার ওই নারীকে ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। আটক সাইফুলকে আদালতের মাধ্যমে বগুড়া কারাগারে পাঠানো হয়।
বান্দরবানে গার্মেন্টকর্মী

বান্দরবান প্রতিনিধি: বান্দরবানে লুম্বিনী গার্মেন্টকর্মীকে গণধর্ষণের অভিযোগে ২ জনকে গ্রেপ্তার করেছে বান্দরবান সদর থানা পুলিশ। পুলিশ সূত্রে জানা যায়, পৌর শহরের ৯নং ওয়ার্ডের সিকদার পাড়ায় এক যুবতীকে গেল গত শনিবার রাতে জরুরি কথা আছে বলে সিকদার পাড়ার একটি পাহাড়ে ডেকে আনে একই এলাকার মো. জয়নাল আবেদীন নামে এক বখাটে। পরে জয়নাল ও ওই যুবতীকে পাশের পাহাড়ের পাদদেশে কথা বলার এক পর্যায়ে সেখানে হাজির হয় স্থানীয় দুই যুবক মো. রফিক ও মো. জিহাদ। পরে মো. রফিক ও মো. জিহাদ ভিকটিমকে বিভিন্নভাবে নাজেহাল করে গণধর্ষণ করে এবং অশ্লীল ভিডিও ধারণ করে। ধর্ষণকারী তিন যুবকই এই ঘটনা কাউকে না বলার ভয় দেখায় এবং ধর্ষণের ঘটনা কাউকে জানালে সেই ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দেয়ার হুমকি প্রদর্শন করে।

এদিকে গত রোববার দুপুরে ভিকটিম নারী বান্দরবান সদর থানায় এসে গণধর্ষণের অভিযোগ এনে বান্দরবান পৌরসভার ৯নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা মীর আহম্মদের পুত্র মো. রফিক (২৩) এবং মৃত হেলাল মিয়ার পুত্র মো. জিহাদ (১৮) ও মো. জয়নাল (৩০) পিতা: অজ্ঞাত নামে মামলা দায়ের করে। এদিকে গণধর্ষণের অভিযোগে সন্ধ্যায় বান্দরবান সদর থানার পুুলিশ অভিযান চালিয়ে মো. রফিক ও মো. জিহাদকে গ্রেপ্তার করলেও মামলার প্রধান আসামি মো. জয়নাল পালিয়ে যায়। বান্দরবান সদর থানার (ওসি) মো. শহিদুল ইসলাম চৌধুরী বলেছেন, ভিকটিমের অভিযোগের প্রেক্ষিতে আমরা দুই যুবককে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয়েছি এবং এই ঘটনায় পলাতক মো. জয়নালকে গ্রেপ্তারে পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে। তিনি আরো বলেন, ভিকটিম নিজে বাদী হয়ে এই বিষয়ে একটি গণধর্ষণ ও একটি পর্নোগ্রাফি মামলা দায়ের করেছে।
ফুলগাজীতে ভাতিজি

ফেনী প্রতিনিধি: ফেনীর ফুলগাজীতে ১০ বছরের এতিম এক শিশু ভাতিজিকে ধর্ষণের অভিযোগে তার চাচা সামছুল হক (৫০)কে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গত রোববার রাতে ফুলগাজী সদর ইউনিয়নের জয়পুর গ্রাম থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে।

শিশুটির ফুপু মনি আক্তার জানান, বাবা-মাহীন শিশুটি দাদির বাড়িতে থেকে স্থানীয় মাদ্রাসায় পড়ালেখা করতো। গত ১২ই অক্টোবর সকালে পঞ্চাশোর্ধ্ব জ্যাঠা সামছুল হক ভাতিজিকে একা পেয়ে তার নিজ ঘরে নিয়ে ধর্ষণ করে। ধর্ষণের পর ভাতিজি তার দাদুকে ঘটনাটি জানায়। এ অবস্থায় ভাতিজির মুখ বন্ধ করে রাখার জন্য জ্যাঠা তার শ্বশুরবাড়িতে ভাতিজিকে নিয়ে যায়। সেখান থেকে তাকে কাজ দিবে বলে চট্টগ্রাম নিয়ে যায়। চট্টগ্রামেও ভাতিজিকে একাধিকবার ধর্ষণ করে।

পরে ছাত্রীটি ঘটনার বিস্তারিত তার দাদু ও ফুপুকে জানালে তারা তাদের আত্মীয় স্বজনকে বলে তাকে বাড়িতে নিয়ে আসার জন্য চাপ প্রয়োগ করে। পরে ছাত্রীটি বাড়ি ফিরলে ছাত্রীর ফুপু তাকে পরশুরাম উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক ধর্ষণের আলামত দেখতে পেয়ে পুলিশকে জানানোর জন্য পরামর্শ দেন। গত রোববার বিকালে ফুপু তার ভাতিজির জ্যাঠার বিরুদ্ধে ফুলগাজী থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা দায়ের করে। ফুলগাজী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ কুতুব উদ্দিন জানান, গত রোববার বিকালে ধর্ষণের মামলা দায়েরের পর রাতেই জ্যাঠা সামছুল হককে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। গতকাল ফেনীর বিচারিক হাকিম আদালতের মাধ্যমে আসামিকে কারাগারে প্রেরণ করা হয়েছে। ওসি আরো জানায়, গতকাল সকালে শিশুর স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য ফেনী ২৫০ শয্যার জেনারেল হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে। দুপুরে ফেনীর বিচারিক হাকিম আদালতে ২২ ধারায় ওই শিশুর জবানবন্দি গ্রহণ করা হয়েছে।

ছাতকে চাচী
ছাতক (সুনামগঞ্জ) প্রতিনিধি: ছাতকে লম্পট ভাতিজা কর্তৃক মধ্যবয়সী চাচী ধর্ষিত হয়েছে। গত বৃহস্পতিবার দুপুরে উপজেলার দোলারবাজার ইউনিয়ন স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্রের ছাদে এ ধর্ষণের ঘটনা ঘটে। ধর্ষক শাহ আলম (৩৫)কে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গত রোববার রাতে নিজ বাড়ি থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। শাহ আলম একই ইউনিয়নের মঈনপুর গ্রামের মৃত মাছিম খানের পুত্র। এ ঘটনায় গতকাল ভিকটিম বাদী হয়ে শাহ আলমকে আসামি করে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে ছাতক থানায় একটি মামলা (নং-১৩) দায়ের করেন। অভিযোগ থেকে জানা যায়, ভিকটিম ইউনিয়ন স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের দায়িত্বে থাকা মুক্তা বেগমের বাসায় ঝিয়ের কাজ করতো। ধর্ষক শাহ আলম সম্পর্কে ভিকটিমের ভাতিজা হওয়ায় প্রায়ই চাচীর সঙ্গে দেখা করতে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আসা-যাওয়া করতো। ঘটনার দিন দুপুরে ইউনিয়ন স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্রের ছাদে রান্নার কাজ করছিল ভিকটিম। এ সময় জোরপূর্বক ধর্ষণ করে। বিষয়টি ভিকটিমের স্বামী ও স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যানকে অবহিত করে থানায় মামলা দায়ের করা হয়। গতকাল ভিকটিমকে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওসিসিতে প্রেরণ করা হয়েছে। ছাতক থানার অফিসার ইনচার্জ শেখ নাজিম উদ্দিন ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেছেন।

নলছিটিতে গৃহবধূ
নলছিটি (ঝালকাঠি) প্রতিনিধি: ঝালকাঠির নলছিটিতে দুই সন্তানের জননী এক গৃহবধূ (২৫)কে ধর্ষণের অভিযোগ পাওয়া গেছে শহিদুল হাসান হিরণ (৩০) নামে এক যুবকের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় স্থানীয়রা ওই যুবককে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করেছে। শনিবার রাতে উপজেলার কাঠিপাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। গত রোববার রাতে ওই যুবকের বিরুদ্ধে নলছিটি থানায় মামলা করেন নির্যাতিত গৃহবধূ। এদিকে ধর্ষণের শিকার ওই গৃহবধূকে অভিযুক্ত যুবকের সঙ্গে বসিয়ে অশ্লীল ভিডিও ধারণ ও ছবি তুলে ফেসবুকে ছড়িয়ে দেয়া হয়েছে। এমনকি শ্বশুরবাড়ির লোকজন গৃহবধূকে মারধর করে বাবার বাড়িতে পাঠিয়ে দেয়।

পুলিশ ও নির্যাতিতার পরিবার জানায়, শনিবার রাতে কাঠিপাড়া গ্রামে ওই গৃহবধূর বাড়ির পেছনের গাছ বেয়ে ছাদ থেকে ঘরের ভেতরে প্রবেশ করে হিরণ। সে গৃহবধূর কক্ষে ঢুকে তাকে ধর্ষণ করে। এসময় তার চিৎকার শুনে পরিবার ও আশেপাশের লোকজন এসে ধর্ষণকারী যুবককে আটক করে। তার হাত-পা বেঁধে মারধর করে স্থানীয়রা। এসময় নির্যাতনের শিকার গৃহবধূকে নানা অপবাদ নিয়ে মারধর করে শ্বশুরবাড়ির লোকজন। এমনকি ধর্ষণকারী ও গৃহবধূকে পাশাপাশি বসিয়ে অশ্লীল ভিডিও ধারণ ও ছবি তুলে ফেসবুকে ছড়িয়ে দেয় স্থানীয়রা। ঘটনার পরপরই গৃহবধূকে তার বাবার বাড়িতে পাঠিয়ে দেয় শ্বশুরবাড়ির লোকজন।

গৃহবধূর অভিযোগ, তার স্বামী ঢাকায় চাকরি করেন। শাশুড়িও ঘটনার সময় বাড়িতে ছিলেন না। ধর্ষণের ঘটনা শুনে তারা আমার সঙ্গে সম্পর্ক বিচ্ছেদ করার ঘোষণা দিয়েছেন। শ্বশুরবাড়ির লোকজন আমাকে বাড়ি থেকে নামিয়ে দিয়েছে। আমি নির্যাতিত হলাম আবার তাদের মারও খেলাম। এখন আমাকে বাড়িতেও রাখবে না। আমি কোথায় যাবো? আমার স্বামী বলেছে, ‘তুই ধর্ষণের শিকার হইছোস, তোকে আর রাখা যাবে না, তালাক দিয়ে দেবো।’

নলছিটি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুল হালিম তালুকদার জানান, ধর্ষণের ঘটনায় মামলা করেছে ওই গৃহবধূ। আসামি গ্রেপ্তার হয়েছে। ওই গৃহবধূকে মারধর, ছবি ফেসবুকে ছড়িয়ে দেয়া ও তাকে বাবার বাড়িতে পাঠিয়ে দেয়ার কথা শুনেছি। এ ব্যাপারে অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

বরগুনায় কলেজছাত্রী
বরগুনা প্রতিনিধি: বরগুনা সদর উপজেলায় এক কলেজছাত্রীকে অপহরণ করে ৪ দিন আটকে রেখে ধর্ষণের অভিযোগ পাওয়া গেছে। ধর্ষণের ভিডিও ইন্টারনেটে ছেড়ে দেয়ার হুমকির অভিযোগও উঠেছে। এ ঘটনায় ওই ছাত্রীর মা বাদী হয়ে গত রোববার বরগুনার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে মামলা করেছেন। ট্রাইব্যুনালের বিচারক জেলা জজ মো. হাফিজুর রহমান মামলাটি গ্রহণ করে বরগুনা থানাকে এজাহার নেয়ার নির্দেশ দিয়েছেন। মামলার আসামিরা হলেন- বরগুনা সদর উপজেলার ফুলঝুড়ি ইউনিয়নের পশ্চিম গিলাতলী গ্রামের রাজিকুল ইসলাম রাজু, তার সহযোগী কবির মিয়া ও আউয়াল মিয়া।

এজাহার সূত্রে জানা যায়, ওই ছাত্রী বরগুনা সরকারি বিশ্ববিদ্যালয় কলেজে পড়াশোনা করেন। তিনি ১৫ই সেপ্টেম্বর সকালে তার এক আত্মীয়ের বাড়িতে বেড়াতে যান। ওইদিন বিকালে নিজ বাড়িতে ফেরার পথে রাজু ও তার ভগ্নিপতি কবির মিয়া ছাত্রীকে অপহরণ করে মোটরসাইকেলে তুলে আউয়াল মিয়ার বাড়িতে নিয়ে যান। সেখানে আটকে রেখে রাজু তাকে ধর্ষণ করেন। ছাত্রীর মা বলেন, খবর পেয়ে লোকজন নিয়ে ১৯শে সেপ্টেম্বর সকালে আমার মেয়েকে উদ্ধার করি। আমি মামলা করতে চাইলে রাজু আমার মেয়েকে বিয়ে করার আশ্বাস দেয়। কিন্তু পরবর্তীতে রাজু জানায়, সে আমার মেয়েকে বিয়ে করবে না। আমার মেয়ের খারাপ দৃশ্যের ভিডিও করে রেখেছে। বেশি বাড়াবাড়ি করলে তা ইন্টারনেটে ছেড়ে দেবে। তিনি আরো বলেন, আমি ১০ই অক্টোবর বরগুনা থানায় গেলে ওসি মামলা না নিয়ে বরগুনা ট্রাইব্যুনালে মামলা করার পরামর্শ দেন। বরগুনা থানার ওসি কেএম তারিকুল ইসলাম জানান, এ ব্যাপারে বরগুনা থানায় কেউ মামলা করতে আসেননি। আদালত যে আদেশ দেবেন, তা পালন করবো। মামলার পর থেকেই আসামিরা পালাতক। এ কারণে তাদের সঙ্গে কথা বলা সম্ভব হয়নি।

জয়পুরহাটে চার শিশু
জয়পুরহাট প্রতিনিধি: জয়পুরহাটে চার শিশু শিক্ষার্থীকে যৌন নিপীড়নের অভিযোগে এক মাদ্রাসা শিক্ষককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। সদর উপজেলার মুজাহিদপুর এলাকা থেকে গতকাল রাতে তাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। অভিযুক্ত ওই শিক্ষকের নাম আবদুুর রশিদ। তিনি সদর উপজেলার মুজাহিদপুর গ্রামের নয়ামুদ্দিনের ছেলে।

জয়পুরহাট সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শাহরিয়ার জানান, প্রতিদিনের মতো গত রোববার ওই চার শিশু শিক্ষার্থী কোরআন শিক্ষার জন্য মাদ্রাসায় যায়। মাদ্রাসা ছুটি শেষে তাদেরকে ফুসলিয়ে একটি কক্ষে নিয়ে গিয়ে পালাক্রমে যৌন নিপীড়নের চেষ্টা করেন শিক্ষক আবদুর রশিদ। এ সময় চার শিশুর চিৎকারে স্থানীয়রা এগিয়ে আসলে তিনি পালিয়ে যান।

এ ঘটনায় শিশুদের এক অভিভাবক বাদী হয়ে জয়পুরহাট সদর থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে একটি মামলা করলে পুলিশ আবদুর রশিদকে গ্রেপ্তার করে।

সোনাগাজীতে কিশোরী
ফেনী প্রতিনিধি: ফেনীর সোনাগাজীতে স্কুলছাত্রী কিশোরী প্রেমিকাকে বিয়ের প্রলোভনে ধর্ষণের পর অন্যকে ফাঁসাতে গিয়ে ফেঁসে গেলেন আরিফুল ইসলাম সাকিব (২৪) নামের এক বখাটে যুবক। সোমবার বিকালে ফেনীর সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট শরাফ উদ্দিন আহমদের আদালতে আসামি আরিফুল ইসলাম সাকিবকে হাজির করে ৭ দিনের পুলিশি রিমান্ড আবেদন করলে আদালত শুনানি শেষে দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করে। আসামি আরিফুল ইসলাম সাকিব জেলার সোনাগাজী উপজেলার সদর ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ড পূর্ব সুজাপুর গ্রামের সারেং বাড়ির আবুল কাশেমের ছেলে। সোনাগাজী মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ সাজেদুল ইসলাম জানান, সোনাগাজী সদর ইউনিয়নের সুজাপুর এলাকার বাসিন্দা আল-হেলাল একাডেমীর ৯ম শ্রেণির এক ছাত্রীর সাথে প্রতিবেশী আরিফুল ইসলাম সাকিবের প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে। একপর্যায়ে গত ২৮শে আগস্ট ওই ছাত্রীর মায়ের অনুপস্থিতিতে তার বাড়িতে যেয়ে বিয়ের প্রলোভনে ধর্ষণ করে সাকিব। একপর্যায়ে বখাটে সাকিব প্রতিপক্ষকে ফাঁসাতে কয়েকজনের নাম উল্লেখ করে প্রেমিকাকে দিয়ে একটি ভিডিও চিত্র ধারণ করে। ওই ভিডিওচিত্র নিয়ে কিশোরীকে উল্লিখিত প্রতিপক্ষদের নামে থানায় মামলা করতে বলেন। বিষয়টি কিশোরী অস্বীকৃতি জানালে ধর্ষণের ঘটনা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দেয়ার হুমকি দেয় সাকিব। তাতেও সাকিব সায় না পেয়ে ভিডিও চিত্রটি নিয়ে স্থানীয় কয়েকজন গণমাধ্যম কর্মীর দ্বারস্থ হয়। গণমাধ্যম কর্মীদের মাধ্যমে ঘটনাটি পুলিশ জেনে ওই কিশোরীকে জিজ্ঞাসাবাদ করলে প্রকৃত চিত্র বেরিয়ে আসে।

ওসি আরো জানায়, এ ঘটনায় নির্যাতিতা কিশোরী বাদী হয়ে রোববার রাতে থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা দায়ের করে। পুলিশ রাতেই অভিযান চালিয়ে অভিযুক্ত বখাটে সাকিবকে গ্রেপ্তার করে। সোমবার বিকেলে নির্যাতিতা কিশোরীকে ফেনীর সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট শরাফ উদ্দিন আহমদের আদালতে হাজির করে ২২ ধারায় জবানবন্দি গ্রহণ করা হয়। এর আগে সকালে ফেনী জেনারলে হাসপতালে ভিকটিমের শারীরিক পরীক্ষা সম্পন্ন হয়।

সুধারামে যুবতী
নোয়াখালী: হাতিয়া থেকে সুধারামে মামাতো বোনের বিয়েতে এসে ধর্ষণের শিকার হলেন ফুফাতো বোন। ধর্ষককে থানায় ধরে এনে ছেড়ে দেয়ার অভিযোগ সুধারাম থানা পুলিশের বিরুদ্ধে। নোয়াখালী নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-১ এ ভিকটিমের দায়েরকৃত মামলায় উল্লেখ করা হয়, ভিকটিম (২০) গত ২৩শে সেপ্টেম্বর হাতিয়া থেকে সুধারামের ভাটির টেকের মামা জামাল উদ্দিনের বাড়িতে আসে মামাত বোন প্রিয়ার বিয়েতে। ওইদিন রাত ১১ টায় বাইরে গায়ে হলুদের অনুষ্ঠানের পর ক্লান্ত ভিকটিম মামার ঘরের পিছনের কক্ষে ঘুমাতে যায়। হঠাৎ মামাত ভাই শেখ ফরিদ তার কক্ষ প্রবেশ করে তাকে ধর্ষণ করে। এ ঘটনায় তার ফুফু রুপাকে নিয়ে সুধারাম মডেল থানায় এসে অভিযোগ দায়ের করলে পুলিশ বেলা ২টায় টায় ধর্ষক শেখ ফরিদ কে গ্রেপ্তার করে থানায় নিয়ে আসে। মামলা রেকর্ড না করে রাত ৮টায় তাকে ছেড়ে দেয়। এরপর ভিকটিম বাদী হয়ে গত রোববার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-১ এ মামলা করেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *