নোয়াখালীর বেগমগঞ্জে নারীকে বিবস্ত্র করে ভিডিও ধারণ ও ছড়িয়ে দেয়ার ঘটনায় গ্রেপ্তার হওয়া তিন আসামিকে নিয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) তদন্তকারী দল। আজ শনিবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে উপজেলার একলাশপুর এলাকার ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন তারা।
ওই তিন আসামি হলেন, নুর হোসেন ওরফে বাদল, মাঈন উদ্দিন ওরফে সাজু ও আবুল কালাম। তারা তদন্তকারী দলকে ঘটনাস্থলে যাতায়াতের রাস্তা ও ঘটনাস্থল শনাক্ত করে দেখান। পিবিআই নোয়াখালীর পুলিশ সুপার মো. মিজানুর রহমান মুন্সী এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, দুটি মামলার মধ্যে নারীকে ধর্ষণের চেষ্টা ও বিবস্ত্র করে নির্যাতনের মামলাটি তদন্ত করছেন পিবিআই পরিদর্শক মামুনুর রশীদ পাটোয়ারী এবং ভিডিওচিত্র ভাইরালের মামলাটি তদন্ত করছেন পিটিআইয়ের পরিদর্শক মোস্তাফিজুর রহমান।
পিবিআই সূত্র জানায়, শুক্রবার বেগমগঞ্জ থানা-পুলিশের কাছ থেকে নারীকে ধর্ষণের চেষ্টা ও নির্যাতন এবং ভিডিওচিত্র ভাইরালের মামলা দুটির কাগজপত্র বুঝে নেয় পিবিআই।
উল্লেখ্য, গত ২রা সেপ্টেম্বর ঘরে ঢুকে স্বামীকে বেঁধে রেখে ওই নারীকে বিবস্ত্র করে ধর্ষণের চেষ্টা করে বেগমগঞ্জ উপজেলার একলাশপুর এলাকার দেলোয়ার বাহিনীর সদস্যরা। তারা ওই নারীকে নির্যাতনের ভিডিওচিত্র ধারণ করে রাখেন। পরে তারা তাকে কুপ্রস্তাব দেয়। তিনি তাতে রাজি না হওয়ায় তারা ধারণ করা ভিডিওচিত্র ৪ঠা অক্টোবর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল করে।
ঘটনাটি জানাজানি হলে দেশে প্রতিবাদের ঝড় ওঠে।
পরে ৪ঠা অক্টোবর সন্ধ্যায় পুলিশ একটি বাসা থেকে ওই নারীকে উদ্ধার করে। ওই রাতেই তিনি বাদী হয়ে দেলোয়ার বাহিনীর প্রধান সহযোগী নুর হোসেন ওরফে বাদলসহ ৯ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত আরও ৭-৮ জনের বিরুদ্ধে থানায় পৃথক দু’টি মামলা করেন। দুই মামলায় এখন পর্যন্ত ১১ জন গ্রেপ্তার হয়েছেন। এর মধ্যে নয়জনকে বিভিন্ন মেয়াদে রিমান্ডে নেয়া হয়েছে।
নারী নির্যাতন মামলায় চারজন আসামি আবদুর রহিম, ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সদস্য মোয়াজ্জেম হোসেন, আনোয়ার হোসেন ওরফে সোহাগ (২১) ও নুর হোসেন ওরফে রাসেলের (৩০) আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।