টিকিটহীন যাত্রীরা রেলমন্ত্রীর ‘শ্বশুরকূলের আত্মীয়’

Slider জাতীয়


রেলমন্ত্রীর আত্মীয় পরিচয়ে বৃহস্পতিবার রাতে (৫ মে) পাবনার ঈশ্বরদী রেল জংশন থেকে টিকিট ছাড়া ট্রেনে ওঠেন ৩ যাত্রী। বিনা টিকিটে ট্রেন ভ্রমণের অভিযোগে তাদের জরিমানা করেন টিটিই। এর কিছুক্ষণ পরপরই সেই টিটিইকে বরখাস্ত করা হয়।

এ ঘটনা নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে চলছে বিস্তর আলোচনা-সমালোচনা। এ বিষয়ে জানতে চাইলে রেলমন্ত্রী নুরুল ইসলাম সুজন দাবি করেন, বিনা টিকিটে ট্রেনে ভ্রমণ করা যাত্রীরা তার আত্মীয় নয়। তবে সময় সংবাদের অনুসন্ধানে উঠে এসেছে ভিন্ন চিত্র।

শনিবার (৭ মে) সকালে মোবাইলে রেলমন্ত্রী সময় সংবাদকে বলেন, বিনা টিকিটে ট্রেনে ভ্রমণ করা যাত্রীরা আমার আত্মীয় নয়; ওদের সঙ্গে আমার কোনো সম্পর্ক নেই। মন্ত্রীর নাম ভাঙিয়ে কেউ হয়তো সুবিধা নেওয়ার চেষ্টা করেছে। ঘটনার সঙ্গে আমার কোনো সম্পর্ক নেই।

এ ঘটনার কিছুই তিনি জানতেন না দাবি করে মন্ত্রী আরও বলেন, ঘটনাটি তিনি শুনেছেন শনিবার সকালেই। তিনি রেলের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের কাছ থেকে শুনেছেন ওই টিটিই বিনা টিকিটের যাত্রীদের সঙ্গে খুব খারাপ আচরণ করেছেন। ফলে তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।

মন্ত্রী বলেন, রেলের অফিশিয়াল কার্যক্রমের সঙ্গে মন্ত্রীর কোনো সম্পর্ক নেই। ঘটনার সঙ্গে তার কোনো আত্মীয় জড়িত নন। টিটিইর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার ব্যাপারে তিনি কিছুই জানতেন না।

রেলমন্ত্রী বলেন, বিনা টিকিটের যাত্রী যদি আমার আত্মীয়ও হয় তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে। কাউকেই ছাড় দেওয়া হবে না। একইভাবে কোনো রেল কর্মকর্তাও যদি যাত্রীদের সঙ্গে খারাপ আচরণ করেন তাকেও শাস্তি পেতে হবে। যাত্রীদের সঙ্গে খারাপ আচরণ করার কারণে টিটিইর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। মন্ত্রীর আত্মীয়ের নাম জড়িয়ে যা প্রচার করা হচ্ছে তা মিথ্যা বলেও দাবি করেন নুরুল ইসলাম সুজন।

এদিকে রেলমন্ত্রীর আত্মীয় পরিচয় দেওয়া ইমরুল কায়েস (প্রান্ত) লিখিত অভিযোগে করেন, তিনি টেক্সটাইলে চাকরি করেন। সুন্দরবন ট্রেনে তাড়াহুড়ো করে উঠেছিলেন। এজন্য টিকিট কাটতে পারেননি। পরে টিটিই শফিরুল ইসলাম তার কাছে বেশি টাকা দাবি করেন। সেটা না দেওয়ায় গালিগালাজ করেন। টিটিই শরিফুল ইসলাম মাদকাসক্ত বলেও অভিযোগ করেন তিনি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *