রাতুল মন্ডল নিজস্ব প্রতিনিধি; গাজীপুরের শ্রীপুরে এক স্কুল শিক্ষার্থী ও গৃহবধূ ধর্ষণের শিকার হয়েছে।
(০৫ অক্টোবর সোমবার) রাতে পৃথক ধর্ষণের ঘটনায় মামলা করেছে ভুক্তভোগী পরিবার। মঙ্গলবার সকালে দু’জন ভিকটিমকে উদ্ধার করে স্বাস্থ্য পরিক্ষার জন্য হাসপাতালে পাঠিয়েছে পুলিশ।
শিক্ষার্থী ধর্ষণের অভিযোগ অটোরিকশা চালক মো. রোমান মিয়া (৩০) নামের এক যুবককে গ্রেফতার করেছে শ্রীপুর থানা পুলিশ।
ধর্ষক রোমান মিয়া উপজেলার বরমী ইউনিয়নেের সাতখামাইর গ্রামের সুলতান মিয়ার ছেলে ।
স্কুল শিক্ষার্থী (১৩) স্থানীয় একটি উচ্চ বিদ্যালয়ের সপ্তম শ্রেণীর ছাত্রী।
অপরদিকে বাড়ি থেকে প্রাইভেটকার যুগে তুলে নিয়ে কক্সবাজার হোটেলে নিয়ে ধর্ষণের ঘটনার মামলা হলেও কোন আসামী গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ।
স্কুল শিক্ষার্থীর পরিবার সূত্রে জানাযায়, দীর্ঘ চারমাস পূর্বে রোমান মিয়া তার ছোট্ট মেয়ের মাধ্যমে স্কুল শিক্ষার্থীকে তাদের বাড়িতে ডেকে নিয়ে তার ইচ্ছার বিরুদ্ধে জোর করে ধর্ষণ করে। পরবর্তীতে পরিবারের সদস্যদের চোখে মেয়ের শারীরিক গঠন অন্য রকম মনে হলে, পরিবারের সদস্যরা মেয়েকে ডাক্তারী পরিক্ষা করানোর পর স্কুল শিক্ষার্থী চার মাসের অন্তঃসত্ত্বা বলে জানায় চিকিৎস।
অপরদিকে উপজেলার তেলিহাটি ইউনিয়নের মুলাইদ গ্রাম থেকে এক গৃহবধূকে প্রাইভেট কার যোগে তুলে নিয়ে কক্সবাজারে হোটেলে রেখে ১৫দিন ধরে ধর্ষণের ঘটনায় মামলা হয়েছে।
মামলা সূত্রে জানাযায়, তেলিহাটি ইউনিয়নের মুলাইদ গ্রামের মো. রইস উদ্দিনের ছেলে জাহিদ হাসান জোর করে গৃহবধূ (২৫) কে তুলে নিয়ে কক্সবাজার হোটেলে অবরুদ্ধ করে ধর্ষণ করে। পরবর্তীতে ১৫ দিন পর গৃহবধূকে পাশ্ববর্তী কালিয়াকৈর উপজেলার ফুলবাড়িয়া গভীর জঙ্গলে ফেলে চলে যায়। গৃহবধূর পরিবার স্থানীয় ফুলবাড়িয়া লোকজনের সহযোগিতায় উদ্ধার করে শ্রীপুর থানায় মামলা করেন ধর্ষিত ঐ নারী।
শ্রীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খোন্দকার ইমাম হোসেন জানান, পৃথক দু’টি ধর্ষণের ঘটনায় মামলা হয়েছে। শিক্ষার্থী ধর্ষণের ঘটনায় ধর্ষক রোমান মিয়াকে গ্রেফতার করে আদালতে পাঠানো হয়েছে। অপরদিকে গৃহবধূ ধর্ষণের মামলার আসামীদের ধরতে পুলিশ কাজ করছে।
তিনি আরোও জানান, ভিকটিম উদ্ধার করে স্বাস্থ্য পরিক্ষার জন্য হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।