অনুরোধ রাখেনি ভারত, দিল্লিকে ঢাকার চিঠি

অর্থ ও বাণিজ্য

আচমকা ভারতের পিয়াজ রপ্তানি বন্ধের সিদ্ধান্তের কড়া প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছে বাংলাদেশ। দিল্লিকে লেখা ১৫ই সেপ্টেম্বরের এক কূটনৈতিক পত্রে খোলাসা করেই বলা হয়েছে, এমন সিদ্ধান্ত বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে হওয়া সমঝোতার প্রতি অবজ্ঞা। এ সিদ্ধান্তের সরাসরি প্রভাব পড়ছে বাংলাদেশের নিত্যপণ্যের বাজারে। পিয়াজ সরবরাহে বিঘ্ন ঘটায় বাংলাদেশ খুবই উদ্বিগ্ন। চিঠিতে বলা হয়, ২০১৯-২০ সালে বন্ধুপ্রতিম বাংলাদেশ-ভারতের মধ্যে যে বিস্তৃত আলোচনা হয়েছিল আকস্মিক এ সিদ্ধান্ত তাকে আন্ডারমাইন করেছে। চিঠিতে উল্লেখ করা হয়, ২০১৯ সালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভারত সফরকালে বাংলাদেশের পক্ষ থেকে অনুরোধ করা হয়েছিল, এ ধরনের কোনো নিষেধাজ্ঞা দেয়ার প্রয়োজন হলে তা যেনো বাংলাদেশকে আগেভাগেই অবহিত করা হয়। চলতি বছরের ১৫ থেকে ১৬ই জানুয়ারিতে বাংলাদেশ-ভারত বাণিজ্য সচিব পর্যায়ের বৈঠকেও ঢাকা অনুরোধ জানিয়েছিল, যেনো ভারত পারতপক্ষে পিয়াজ রপ্তানির ওপর কোনো ধরনের নিষেধাজ্ঞা না দেয়। যদি কোনো কারণে দিতেই হয় তবে যেনো অবশ্যই নিষেধাজ্ঞার নোটিশ জারির আগে বাংলাদেশকে জানানো হয়।

ঢাকার সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, ১৪ই সেপ্টেম্বর পিয়াজ রপ্তানির ওপর ভারতের নিষেধাজ্ঞা জারির ২৪ ঘণ্টার মধ্যে বাংলাদেশ বিষয়টি দিল্লির নজরে এনেছে এবং বাংলাদেশের বাজারে যে এর নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে তা তুলে ধরে যতো দ্রুত সম্ভব তা প্রত্যাহার এবং সরবরাহ স্বাভাবিক করতে অনুরোধ করেছে। ঢাকাস্থ ভারতীয় হাইকমিশনের মাধ্যমে এবং দিল্লিস্থ বাংলাদেশ হাইকমিশনের উভয় চ্যানেলেই বাংলাদেশ সরকারের প্রতিক্রিয়া এবং অনুরোধ বিষয়টির অভিন্ন বার্তা সাউথ ব্লকে পৌঁছেছে বলে নিশ্চিত করেছে সেগুনবাগিচা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *