গাজীপুরের পূবাইলে নিরাপত্তা নিশ্চিত হল না ১৮৮টি পরিবারের!

Slider টপ নিউজ


গাজীপুর: আজিজুর রহমান শিরিষ কাউন্সিলর বলেছেন, এন্টাচ ইন্টারন‍্যাশনাল নামে একটি এনজিও আমার ওয়ার্ডে ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার অংশ হিসেবে জন নিরাপত্তা নির্ভিগ্ন করার অংশ হিসাবে প্রতি গ্রাহকের নিকট হতে রশিদের মাধ্যমে ১৬৫০ টাকার বিপরীতে ৫৫০ টাকা নেয়া।

জনগণকে তিন ভাগের একভাগ মূল্যে ডিজিটাল সুবিধা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে এই কাজ শুরু করা হয়। এই প্রকল্পে আমার এবং গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের কোন প্রকার সম্পর্ক নেই। কয়েকদিন পূর্বে দুই তিনজন সাংবাদিক আমার কাছে আসলে তাদের আপ‍্যায়ণের জন‍্য কিছু টাকা দিতে চাইলে তারা গ্রহণ করেনি। বরং অতিথেয়তায় ক্ষুব্ধ হয়ে আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা সংবাদ দেয়। সংবাদ প্রকাশের পর ১৮৮টি পরিবারের কাছ থেকে এনজিওটি ৫৫০ টাকা করে গ্রহণ করা সকল টাকা ইতিমধ্যে তারা ফেরত দিয়েছে এনজিও। ফলে আমার জনগন স্বল্প খরচে ডিজিটাল সেবা থেকে বঞ্চিত হয়। এই কারণে জননিরাপত্তাও বিঘ্নিত হল।

প্রসঙ্গত: গাজীপুর মহানগরীর পূবাইলে নিজ এলাকাকে অপরাধমুক্ত এবং চোর-ডাকাতমুক্ত করার উদ্যোগ নিতে গিয়ে অপপ্রচারের ফাঁদে পড়েছেন ৪০নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর আজিজুর রহমান শিরিষ। ওয়ার্ডের ৯টি এলাকাকে ডিজিটালাইজড করতে সিসি ক্যামেরা লাগানোর প্রকল্প বাস্তবায়ন করতে গিয়ে উল্টো বিপাকে পড়েছেন এই আওয়ামী লীগ নেতা।

ইতোমধ্যে পূবাইল থানার মেঘডুবিতে নিজ অফিসে সংবাদ সম্মেলন করে নিজের আক্ষেপের কথা জানান এই জনপ্রতিনিধি।

আজিজুর রহমান শিরিষ বলেন, আমার ওয়ার্ডের ৯টি এলাকাকে ডিজিটালাইজড করতে সিসি ক্যামেরা লাগানোর প্রকল্প বাস্তবায়ন করতে এন্ট্রাচ ইন্টারন্যাশনাল নামে একটি এনিজিওর সঙ্গে চুক্তি করি গত বছর। চুক্তি অনুযায়ী এলাকার প্রতিটি সড়কের পাশে বাড়ির সামনে সিসি ক্যামেরা লাগাতে ১শ’ ৮৮ পরিবার থেকে মাত্র সাড়ে পাঁচশ’ করে ১ লাখ তিন হাজার চারশ’ টাকা নেয়া হয়। রসিদের মাধ্যমে ওই টাকার সংগ্রহ করেন কোম্পানির সিনিয়র এক্সিকিউটিভ অফিসার রেজাউল আলম। কিন্ত করোনা মহামারিসহ বিভিন্ন কারণে প্রকল্পটি এখনও আলোর মুখ দেখেনি।

ওই পরিবারগুলো টাকা ফেরত চাওয়া শুরু করে। আমিও তাদের দাবির সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করি। ইতিমধ্যে টাকা ফেরত দিয়ে দেয় এনজিওটি। এরপরও একটি মহল আমার বিরুদ্ধে অর্থ হাতিয়ে নেয়ার অপপ্রচার শুরু করে।

মহানগর আওয়ামী লীগের এই নেতা আরও বলেন, এলাকার উন্নয়নের জন্য মেয়র জাহাঙ্গীর আলমকে জানিয়ে সিসি ক্যামেরা স্থাপন করতে চেয়েছিলাম। কিন্তু একটি মহল ষড়যন্ত্র করে প্রকল্পটি বাস্তবায়ন হতে দেয়নি। এটাকে পুঁজি করে আমাকে সামাজিকভাবে হেয় প্রতিপন্ন করার অপচেষ্টা করে যাচ্ছে একটি মহল। আমি এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি।

এন্ট্রাচ ইন্টারন্যাশনালের সিনিয়র অফিসার রেজাউল আলম জানান, করোনা পরিস্থিতি ও এলাকাবাসীর কারো কারো অসহযোগিতার কারণে সিসি ক্যামেরা লাগানোর প্রকল্প বাস্তবায়ন করতে পারিনি। তাই টাকা ফেরত দিয়ে দিয়েছি।

সিসি ক্যামেরা সংযোগ নিতে টাকা দিতে ফেরত পাওয়া ওই এলাকার বাচ্চু মিয়া, সোহেল, নূরুল ইসলাম, রেহানা পারভিন, শারমিন আক্তার জানান, আমরা চোর ডাকাতদের হাত থেকে রক্ষা পেতে আধুনিক ডিজিটাল বাংলাদেশের অংশীদার হতে সিসি ক্যামেরার জন্য টাকা দিয়েছিলাম। যেহেতু প্রকল্পটি বাস্তবায়ন হয়নি তাই টাকা ফেরত পেয়ে আমরা খুশি।

স্থানীয় লোকজন জানায়, আগামী নির্বাচনে সম্ভাব্য একটি প্রতিপক্ষ বর্তমান কাউন্সিলরকে বিতর্কিত করতে ষড়যন্ত্র মূলকভাবে এই অপপ্রচার করিয়ে থাকতে পারেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *