এসপি মাসুদকে মামলার আসামি করার আবেদন খারিজ

Slider জাতীয় বাংলার আদালত


কক্সবাজার: মেজর সিনহা হত্যা মামলায় কক্সবাজারের পুলিশ সুপার এবিএম মাসুদ হোসেনকে আসামি হিসাবে অন্তর্ভুক্ত করার আবেদনটি খারিজ দিয়েছেন আদালত। তবে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পর্যবেক্ষণ করে চাইলে তাকে (পুলিশ সুপার) আসামি হিসেবে অন্তর্ভূক্ত করতে পারবেন। কক্সবাজার জেলা আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটির পিপি আদালতের উদ্ধৃতি দিয়ে সাংবাদিকদের এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

এর আগে আজ বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টার দিকে কক্সবাজার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট তামান্না ফারাহর আদালতে সুপারকে আসামি করার আবেদন করেন। আবেদনটি আমলে নিয়ে শুনানি শেষে আদেশের অপেক্ষায় রেখেছিলেন। বিরতির পর আদালত বিকাল ৫টার দিকে আবেদনটি খারিজ করে দিয়েছেন।

আদালতের উদ্ধৃতি দিয়ে পাবলিক প্রসিকিউটির পিপি ফরিদুল আলম জানান, নতুন করে আসামি করার জন্য বাদির এখতিয়ারে নেই। যদি দরকার হয় তবে মামলা তদন্ত কর্মকর্তা বাদির অভিযোগ পর্যবেক্ষণ করে দাবি যথাপযুক্ত হলে নতুনভাবে অন্যকাউকে আসামি করতে পারে।

এদিকে বাদীপক্ষের আইনজীবী সিনিয়র এডভোকেট মোহাম্মদ মোস্তফা সাংবাদিকদের এক ব্রিফিংয়ে জানান, কক্সবাজারের পুলিশ সুপার এবিএম মাসুদ হোসেন মেজর সিনহা হত্যা মামলার তদন্ত কাজে ব্যাঘাত সৃষ্টি করেই চলেছেন। তিনি সিনহা হত্যা মামলার আসামি বরখাস্তকৃত ওসি প্রদীপ কুমার দাশ ও পরিদর্শক লিয়াকতকে কারাগারে ডিভিশন দেয়ার জন্য চিঠি দিয়েছেন। আসামিদের বিভিন্নভাবে সহযোগিতা করে যাচ্ছে।

অর্থাৎ এসপি এবিএম মাসুদ হোসেন তার দাপ্তরিক কার্যক্ষমতা আসামিদের পক্ষে কাজে লাগাচ্ছেন। তাই তাকে মেজর সিনহা হত্যা মামলার আসামি হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করার জন্য একটি ফৌজদারি আবেদন করেছিলাম।

মামলার বাদী ও মেজর সিনহার বড় বোন শারমীন শাহরিয়া ফেরদৌস জানান, এসপি এবিএম মাসুদ হোসেন ঘটনার শুরু থেকেই আসামিদের পরোক্ষ ও প্রত্যক্ষভাবে সহযোগিতা করে যাচ্ছে। উনি ক্ষমতার অপব্যবহার করেছেন। মেজর সিনহার মানহানি করেছেন। ওই সময় তিনি গণমাধ্যমকে জানিয়েছিলেন, মেজর সিনহার গাড়িতে তিনি ইয়াবা ও মাদকদ্রব্য পেয়েছিলেন। একজন পুলিশ সুপার হিসেবে তিনি এটি বলতে পারেন না। তিনি তদন্তকাজে প্রতিনিয়ত বাধা সৃষ্টি করে চলেছেন।

উল্লেখ্য, গত ৩১শে জুলাই রাতে টেকনাফ থেকে কক্সবাজারের ফেরার পথে বাহারছড়া পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রে নিহত হন সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মো: রাশেদ খান। এরপর গত ৫ই আগস্ট টেকনাফ থানার পরিদর্শক লিয়াকত, ওসি প্রদীপ কুমার দাশসহ ৯জনকে আসামি করে কক্সবাজার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *