পোশাকখাত নিয়ে ষড়যন্ত্রে বিএনপি-আ’লীগের ২ নেতা জড়িত : তোফায়েল

Slider গ্রাম বাংলা জাতীয় টপ নিউজ রাজনীতি সারাবিশ্ব

48433_tufayel
গ্রাম বাংলা ডেস্ক: দেশের তৈরি পোশাকখাত নিয়ে ষড়যন্ত্র হচ্ছে বলে আবারও অভিযোগ করেছেন বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ। এ ষড়যন্ত্রের সাথে বিএনপি নেতা নজরুল ইসলাম খান এবং
আওয়ামী লীগের সাবেক নেতা রায় রমেশ চন্দ্র জড়িত থাকতে পারেন বলেও তিনি মন্তব্য করেন। যুক্তরাষ্ট্র সফর শেষে দেশে ফিরে আজ রোববার সচিবালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন। এর আগে তিনি একাধিকবার পোশাক শিল্প নিয়ে ষড়যন্ত্র হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছিলেন তোফায়েল আহমেদ।

সংবাদ সম্মেলনে তোফায়েল আহমেদ বলেন, দেশের পোশাক শিল্প নিয়ে ষড়যন্ত্র চলছে। পোশাক শিল্পের সঙ্গে সম্পৃক্ত নন এমন কিছু শ্রমিক নেতা বাংলাদেশের পোশাক শিল্পে শ্রমিক নির্যাতন হচ্ছে বলে বহির্বিশ্বে অপপ্রচার চালাচ্ছেন।

বাণিজ্যমন্ত্রী অভিযোগ করেন যে, জেনেভা ভিত্তিক ‘ইন্ডাস্ট্রি অল’ নামক একটি সংগঠন বাংলাদেশের পোশাক শিল্পে শ্রমিক নির্যাতন হচ্ছে বলে যুক্তরাষ্ট্রের ইউএসটিআর-এর কাছে গোপনে চিঠি চিঠি পাঠিয়েছে। এই সংগঠনের বাংলাদেশ শাখার প্রধান হচ্ছেন বিএনপি’র শ্রমিক নেতা নজরুল ইসলাম খান এবং মহাসচিব হচ্ছেন আওয়ামী লীগের শ্রমিক নেতা বাবু রায় রমেশ চন্দ্র। ইতোমধ্যে রায় রমেশকে দল থেকে বের করে দেওয়া হয়েছে। এই সংগঠন বা উল্লেখিত দু’জনের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থ নেওয়া হবে কি না’ জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমি মাত্র যুক্তরাষ্ট্র থেকে এসেছি। তবে এ বিষয়ে সরকার চিন্তা-ভাবনা করছে।

তিনি  দাবি করেন, দেশের পোশাক শিল্পে কোথাও কোথাও দুয়েকটি শ্রমিক নির্যাতনের ঘটনা থাকতে পারে কিন্তু সেটা সার্বিক চিত্র নয়। তৈরি পোশাক ক্রেতাদের দুই সংগঠন যে ১৯টি কারখানার বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছিল সেসব অভিযোগ প্রমাণিত হয়নি।

এ প্রসঙ্গে দেশের পোশাক শিল্প নিয়ে দু’টি আন্তর্জাতিক সংগঠনের পৃথক দুটি সার্ভে রিপোর্টও তুলে ধরেন তিনি।

পোশাক শিল্পে ট্রেড ইউনিয়ন গঠন প্রসঙ্গে মন্ত্রী বলেন, একটি কারখানায় তিনটি ট্রেড ইউনিয়ন গঠন করা যাবে। সমীক্ষায় দেখা গেছে যে, ৭৫ ভাগ শ্রমিকই চায় সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের শ্রমিকরাই তাদের সংগঠনের নেতা হবে। অন্যদিকে বাবুল আক্তার, কল্পনা আক্তার এরা কোনো গার্মেন্টস কর্মী নন, তারপরও তারা গার্মেন্টস শ্রমিক নেতা।

তোফায়েল উল্লেখ করেন,  তারা আমাদের এখানে ট্রেড ইউনিয়ন করার জন্য চাপ দেয়, অথচ যুক্তরাষ্ট্রের মাত্র ৭ শতাংশ বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে এবং ৩৫ শতাংশ সরকারি প্রতিষ্ঠানে ট্রেড ইউনিয়ন রয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *