সখীপুরে ১০ একর জমি আবাদ করতে পারছেনা কৃষক

কৃষি, পরিবেশ ও প্রকৃতি

সাইফুল ইসলাম, টাঙ্গাইল প্রতিনিধিঃ টাঙ্গাইলের সখীপুরে তিন ফসলি ১০ একর জমির পানি নিষ্কাষনের কোনো ব্যবস্থা না করে বাধ নির্মানের অভিযোগ পাওয়া গেছে। সখীপুর উপজেলার বহেড়াতৈল ইউনিয়নের বেতুয়া গ্রামের মৃত আবদুল হালিম মিয়ার ছেলে আবু সেলিম সুহারতুর বিরুদ্ধে এ অভিযোগ ওঠেছে। এতে দ্রুত ওইসব জমির পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থার দাবি জানিয়ে উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান, উপজেলা নির্বাহী অফিসার, সহকারী কমিশনার (ভূমি) এবং সংশ্লিষ্ট ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান বরাবর লিখিত অভিযোগ করেছেন ভূক্তভোগী পরিবার।

এদিকে জানা যায়, “সখীপুর উপজেলার দাড়িয়াপুর ইউনিয়নের দেওবাড়ি মৌজায় নিজ নামীয়, কিছু ক্রয়কৃত এবং বনের ও খাস জমি দখল করে বিশাল আকৃতির পুকুর খনন করে আবু সেলিম সুহারতু। আর ওই পুকুরের বাধের কারনে উজান পাশে আটকে পড়া ১০/১১ একর জমির পানি নিষ্কাষন একে বারে বন্ধ হয়ে যায়। এর ফলে তিন ফসলি ওই জমিতে পানি জমে আবাদ করতে পারছেনা আবু ইউসুফসহ বহু পরিবার। এতে স্থানীয়ভাবে বিষয়টি মীমাংসার চেষ্টা করা হলেও পুকুর মালিক আবু সেলিম সুহারতু কোন ব্যবস্থা নেননি। আর এতে করে জলাবদ্ধ ১০ একর জমির মালিকরা সব ধরনের ফসল উৎপাদন থেকে বঞ্চিত হয়ে মানবেতর জীবন যাপন করছেন। নিরুপায় ভূক্তভোগী পরিবারগুলা উপজেলা নির্বাহী অফিসারসহ বিভিন্ন দপ্তরে পানি নিষ্কাষনের দাবিতে লিখিত অভিযোগ করেছেন।”

ভূক্তভোগী পরিবারের পক্ষে আবু ইউসুফ বলেছেন, “পুকুরের বাধের কারনে উজানে আটকে পড়া ১০/১১ একর জমিতে সকল ধরনের ফসল উৎপাদন বন্ধ রয়েছে। মানবেতর জীবন যাপন করছেন জমির মালিকরা। তিনি অভিলম্ভে স্থানীয় প্রশাসনের কাছে বাধ ভেঙে কিংবা পানি নিষ্কাষনের ব্যবস্থার দাবি জানাচ্ছি।”

আর এ ব্যাপারে আবু সেলিম সুহারতুর মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি জমির মালিকদের অভিযোগ সঠিক নয় বলে দাবি করেন।

স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান আনসার আলী আসিফ বলেন, “অভিযোগের ভিত্তিতে সরেজমিন পরিদর্শন করে ঘটনার সত্যতা পাওয়া গেছে। ওই বাধের কারনে উজানে প্রায় ১১ একর জমিতে পানি জমে আছে। জমির মালিকরা সকল ধরনের আবাদ থেকে বঞ্চিত রয়েছে। বিষয়টি মীমাংসায় পুকুর মালিককে বারবার ফোন করা হলে তিনি রিসিভ করেননি।”

উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান জুলফিকার হায়দার কামাল লেবু অভিযোগ পাওয়ার বিষয়টি স্বীকার করে বলেছেন, “জমির মালিকদের দাবিটি অত্যন্ত যৌক্তিক। একজনের ভালোর জন্য ১০ জনের ক্ষতি হতে দেওয়া যায় না। বিষয়টি দ্রুত মীমাংসার জন্য সংশ্লিষ্ট ইউপি চেয়ারম্যানকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।”

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *