চলচ্চিত্র নির্মাতা আবদুল্লাহ আল মামুনের ৭৮তম জন্মবার্ষিকী

Slider জাতীয় লাইফস্টাইল


ঢাকা:দেশের বরেণ্য নাট্যকার, নির্দেশক, অভিনেতা, চলচ্চিত্র নির্মাতা প্রয়াত আবদুল্লাহ আল মামুনের আজ ৭৮তম জন্মবার্ষিকী।

অসংখ্য নাটক রচনায় যেমন নিজের প্রতিভা আর শক্তির পরিচয় দিয়েছেন আব্দুল্লাহ আল মামুন, তেমনি নিজের অপরিমেয় ক্ষমতার প্রমাণ রেখেছেন তাঁর নির্দেশনায় ও অভিনয়েও৷ তাঁর স্মৃতির প্রতি সম্মান জানিয়ে তুলে ধরা হলো তার জীবন ও কর্ম।

বর্ণাঢ্য জীবন
আব্দুল্লাহ আল মামুন ১৯৪২ সালের ১৩ই জুলাই(উইকিপিডিয়ার তথ্য মতে) জামালপুর জেলার আমড়া পাড়ায় জন্ম গ্রহণ করেন। তার পিতা অধ্যক্ষ আব্দুল কুদ্দুস এবং মাতা ফাতেমা খাতুন। তিনি ১৯৬৪ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইতিহাস বিষয়ে এম এ পাস করেন। আব্দুল্লাহ আল মামুন তার পেশাগত জীবন শুরু করেন বাংলাদেশ টেলিভিশনে প্রযোজক হিসেবে। পরবর্তীকালে পরিচালক, ফিল্ম ও ভিডিও ইউনিট (১৯৬৬-১৯৯১), মহাপরিচালক, শিল্পকলা একাডেমী (২০০১) হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।

অসংখ্য নাটক রচনায় যেমন নিজের প্রতিভা আর শক্তির পরিচয় দিয়েছেন আব্দুল্লাহ আল মামুন, তেমনি নিজের অপরিমেয় ক্ষমতার প্রমাণ রেখেছেন তাঁর নির্দেশনায় ও অভিনয়ে৷

তাঁর রচিত উল্লেখযোগ্য নাটকগুলোর মধ্যে রয়েছে সুবচন নির্বাসনে, এখনও দুঃসময়, সেনাপতি, এখনও ক্রীতদাস, কোকিলারা, দ্যাশের মানুষ, মেরাজ ফকিরের মা, মেহেরজান আরেকবার ইত্যাদি৷ নাট্য সংগঠন থিয়েটার-এর তিনি প্রতিষ্ঠাতা সদস্য৷ নাটকের সঙ্গে সঙ্গে নির্মাণ করেছেন চলচ্চিত্র, টিভি সিরিয়াল।

শহীদুল্লাহ কায়সারের আকর উপন্যাস নিয়ে নির্মাণ করেন ধারাবাহিক নাটক ‘সংশপ্তক;। এ ধারাবাহিক নাটকের পরিচালক ও প্রযোজক হিসেবে তিনি পান প্রবাদ প্রতিম খ্যাতি। তাঁর নির্মিত চলচ্চিত্রের মধ্যে রয়েছে সারেং বৌ (১৯৭৮), সখী তুমি কার, এখনই সময়, জোয়ারভাটা, শেষ বিকেলের মেয়ে।

প্রকাশিত গন্থ
তাঁর প্রথম প্রকাশিত নাটক শপথ ১৯৬৪ সালে প্রকাশিত হয়। তাঁর প্রকাশিত অন্যান্য নাটক হলো সুবচন নিরবাসনে(১৯৭৪), এখন দুঃসময়(১৯৭৫), এবার ধরা দাও(১৯৭৭), শাহজাদীর কালো নেকাব(১৯৭৮), চারদিকে যুদ্ধ(১৯৮৩), এখনও ক্রীতদাস(১৯৮৪), কোকিলারা(১৯৯০), মেরাজ ফকিরের মা(১৯৯৭)। তাঁর লিখিত উপন্যাস গুলো হচ্ছে মানব তোমার সারা জীবন(১৯৮৮), হায় পারবতী(১৯৯১), খলনায়ক(১৯৯৭)।

পুরস্কার
অসংখ্য পুরস্কারে ভূষিত হয়েছেন আব্দুল্লাহ আল মামুন৷ পেয়েছেন বাংলা একাডেমী পুরস্কার, প্রথম জাতীয় টেলিভিশন পুরস্কার। শ্রেষ্ঠ পরিচালক হিসেবে পেয়েছেন দুইবার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার। একুশে পদকে ভূষিত হন তিনি ২০০০ সালে।

মুত্যু
দীর্ঘ রোগভোগের পর ২০০৮ সালের ২১ আগস্ট ঢাকার বারডেম হাসপাতালে ৬৬ বছর বয়সে তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।

কিংবদন্তি এই মানুষটির ৭৮তম জন্মবার্ষিকীতে তাঁর প্রতি রইলো বিনম্র শ্রদ্ধা।!

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *