দেশের চারটি বিদ্যুৎ বিতরণ সংস্থার প্রায় ৩০০ জন কর্মকর্তা-কর্মচারির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার সুপারিশ করেছে বিদ্যুৎ বিভাগ গঠিত টাস্কফোর্স। বেঁধে দেয়া সাত দিনের মধ্যে ভুতুড়ে বিল সমন্বয় করতে ব্যর্থ হওয়ায় এ সুপারিশ করা হয়। এছাড়া টাস্কফোর্স-এর সুপারিশ অনুযায়ী চার কর্মকর্তাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।
ঢাকার দক্ষিণে বিদ্যুৎ বিতরণ সংস্থা ঢাকা পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানির (ডিপিডিসি) ওই চারজন প্রকৌশলীকে সাময়িক বরখাস্ত করার সুপারিশ করে টাস্কফোর্স। এছাড়া ৩৬ জন প্রকৌশলীকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেয়ার এবং ১৩ মিটার রিডার সুপারভাইজারকে বরখাস্তের সুপারিশ করেছে। ঢাকা উত্তরের বিতরণ সংস্থা ঢাকা ইলেকট্রিক সাপ্লাই কোম্পানি লিমিটেডের (ডেসকো) দু’জন মিটার রিডারকে বরখাস্তের সুপারিশ করেছে।
রাজশাহী ও রংপুরের ১৬ জেলায় বিদ্যুৎ বিতরণ সংস্থা নর্দান ইলেকট্রিসিটি সাপ্লাই কোম্পানি (নেসকো) লিমিটেডের দু’জন মিটার রিডার বরখাস্ত করার সুপারিশ করা হয়েছে। আর দক্ষিণ পশ্চিমাঞ্চলের ২১ জেলার বিতরণ সংস্থা ওয়েস্ট জোন পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেড ২৩০ কর্মকর্তা-কর্মচারিকে কারণ দর্শাও, বরখাস্তসহ বিভিন্ন শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয়ার সুপারিশ করেছে টাস্কফোর্স।
দেশের সব থেকে বড় বিতরণ সংস্থা পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ডের (আরইবি) ৮০টি সমিতির কারা কারা ভুতুড়ে বিলের জন্য দায়ী এ ব্যাপারে এখনো কোনো তথ্য দেয়নি আরইবি। এখনো কোনো তথ্য দেয়নি বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডও (পিডিবি)।
এর মধ্যে টাস্কফোর্স কমিটির দেয়া সুপারিশ অনুযায়ী দ্রুত সিদ্ধান্ত নিয়েছে ডিপিডিসি। সুপারিশ অনুযায়ী যে চারজন কর্মকর্তাকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়েছে তার মধ্যে রয়েছে আদাবর আঞ্চলিক কার্যালয়ের প্রকৌশলী মো. হেলাল উদ্দিন, একই এলাকায় দায়িত্বে থাকা উপবিভাগীয় প্রকৌশলী মো. রায়হানুল আলম, সহকারী প্রকৌশলী মো. মজিবুল রহমান ভূঁইয়া ও কম্পিউটার ডেটা এন্ট্রি কো অর্ডিনেটর জেসমিন আহমেদ। সাময়িক বরখাস্ত হওয়া ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে অধিকতর তদন্ত শেষে দোষী প্রমাণিত হলে স্থায়ী বহিষ্কার করা হবে। এছাড়া ৩৬টি আঞ্চলিক এর নির্বাহী প্রকৌশলীদের কারণ দর্শাও নোটিশ দেয়া হয়েছে।
প্রসঙ্গত, দেশে ছয়টি বিতরণ সংস্থা রয়েছে। এদের প্রত্যেকের বিরুদ্ধে প্রকৃত বিলের চেয়ে কোথাও কোথাও তিন থেকে ১০ গুন বেশি বিল করার অভিযোগ উঠেছে। এরপর গত ২৫শে জুন বিদ্যুৎ বিভাগ একজন অতিরিক্ত সচিবের নেতৃত্বে টাস্কফোর্স গঠিত হয়।