জনস হপকিনস ইউনিভার্সিটির হিসাব মতে, এপ্রিলের পর যুক্তরাষ্ট্রে একদিনে বুধবার সবচেয়ে বেশি সংখ্যক মানুষ করোনা ভাইরাসে নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন। তাদের সংখ্যা ৩৪,৭০০। ওদিকে বিশেষজ্ঞরা সতর্কতা দিয়েছেন, অক্টোবর নাগাদ যুক্তরাষ্ট্রে মারা যেতে পারেন ১,৮০,০০০ মানুষ। এমন উদ্বেগজনক পূর্বাভাষ দিয়েছে ইউনিভার্সিটি অব ওয়াশিংটনের ইন্সটিটিউট ফর হেলথ মেট্রিক্স অ্যান্ড ইভ্যালুয়েশন। অন্যদিকে, আটটি রাজ্যের ওপর কোয়ারেন্টিন আরোপ করেছে নিউ ইয়র্ক, নিউ জার্সি ও কানেকটিকাট। বলা হয়েছে, ওই আটটি রাজ্যে করোনা ভাইরাস সংক্রমণ বৃদ্ধি পাচ্ছে। সেখান থেকে যেকেউ এই তিনটি রাজ্যে এলে তাদেরকে স্বেচ্ছায় ১৪ দিন স্বেচ্ছায় আইসোলেশনে থাকতে বলা হয়েছে। নিউ ইয়র্কের গভর্নর অ্যানড্রু কুমো বলেছেন, ওই রাজ্যগুলো হলো আলাবামা, আরকানসাস, অ্যারিজোনা, ফ্লোরিডা, নর্থ ক্যারোলাইনা, সাউথ ক্যারোলাইনা, টেক্সাস ও ইউটাহ।
এ খবর দিয়েছে অনলাইন স্কাই নিউজ ও বিবিসি।
দক্ষিণ ও পশ্চিমাঞ্চলীয় রাজ্যগুলোতে রেকর্ড পরিমাণ করোনায় আক্রান্তের খবর পাওয়া যাচ্ছে। ইউনিভার্সিটি অব ওয়াশিংটন পূর্বাভাস দিয়েছে যে, অক্টোবর নাগাদ যুক্তরাষ্ট্রে করোনা ভাইরাসে মৃতের সংখ্যা দাঁড়াতে পারে এক লাখ ৮০ হাজার। তবে যদি শতকরা ৯৫ ভাগ মার্কিনি মুখে মাস্ক পরেন তাহলে এই সংখ্যা নেমে আসতে পারে এক লাখ ৪৬ হাজারে। এখন পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্রে করোনা ভাইরাসে সংক্রমিত হয়েছেন কমপক্ষে ২৩ লাখ মানুষ। তার মধ্যে মারা গেছেন এক লাখ ২১ হাজার। স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বলেছেন, এই ভাইরাস রোধ করার জন্য আগামী সপ্তাহগুলো হবে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
ওদিকে মঙ্গলবার নতুন সংক্রমণ নিয়ে সতর্কতা দিয়েছেন সংক্রামক ব্যাধি বিশেষজ্ঞ ড. অ্যান্থনি ফাউসি। তিনি আইন প্রণেতাদের কাছে সাক্ষ্য দেয়ার সময় হতাশাজনক সংক্রমণ হচ্ছে এবং দক্ষিণ-পশ্চিশাঞ্চলীয় রাজ্যগুলোতে সংক্রমণ বৃদ্ধি পাচ্ছে বলে হতাশা প্রকাশ করেছেন। এ সময়ে তিনি মার্কিনিদের সামাজিক দূরত্ব রক্ষা করার আহ্বান জানিয়েছেন। বলেছেন, প্লান-এ এর অধীনে জনসমাগমের স্থানগুলোতে যাবেন না। প্লান-বি এর অধীনে মুখে মাস্ক পরুন।