সিটির বাইরে হলেও রেডজোনে সহায়তা নিয়ে যাচ্ছেন মেয়র জাহাঙ্গীর আলম

Slider জাতীয় টপ নিউজ


গাজীপুরে ক্রমাগতভাবে বেড়েই চলেছে করোনাভাইরাস সংক্রমণের হার। প্রাণঘাতী এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে ইতোমধ্যে ২০ জনের প্রাণহানি ঘটেছে। ফলে গাজীপুরের কালীগঞ্জ পৌসরভার তিনটি ওয়ার্ডকে রেডজোন হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে। জেলা প্রশাসন ওইসব ওয়ার্ডকে রেডজোন হিসেবে ঘোষণা দিয়েছে। আর এই এলাকা সিটির বাইরে হলেও মানবিক সহয়তা নিয়ে যেতে প্রস্তুতি নিয়েছেন গাসিক মেয়র জাহাঙ্গীর আলম।

রেডজোনের আওতাধীন ওয়ার্ডের বাসিন্দাদের সব ধরনের মানবিক সহযোগিতা দিতে কর্মীদের সমন্বয়ে টিম গঠন করেছেন গাজীপুর সিটি করপোরেশনের মেয়র অ্যাডভোকেট মো. জাহাঙ্গীর আলম। গতকাল এই ঘোষণা দিয়েছেন তিনি।

জানা গেছে, গাজীপুর জেলার কালীগঞ্জ পৌরসভার ৪, ৫ এবং ৬ নম্বর ওয়ার্ডকে রেডজোন হিসেবে ঘোষণা করেছেন জেলা প্রশাসক এস এম তরিকুল ইসলাম। সিটি এলাকার বাইরে থাকার পরও কালীগঞ্জের মানুষদের সহযোগিতায় এগিয়ে এসেছেন মেয়র জাহাঙ্গীর আলম। জরুরী প্রয়োজনে এলাকাবাসীর প্রয়োজনে যেকোন ধরণের সহযোগিতা নিশ্চিত করতে একটি টিম গঠন করেছেন মেয়র।

এ ছাড়া করোনায় মানুষের সেবা নিশ্চিত করতে মেয়রের গঠন করা ‘হ্যালো ছাত্রলীগ’ নামে প্লাটফর্মটির সদস্যরা ওইসব এলাকায় সক্রিয় ভূমিকা পালন করবেন। ইতিমধ্যে অর্থ ও খাদ্য সহযোগিতা ছাড়াও হ্যালো ছাত্রলীগের প্রতিটি কর্মীকে দায়িত্বশীল ভূমিকা পালনে নির্দেশ দিয়েছেন তিনি।

এদিকে সিটি করপোরেশনের আওতাধীন এলাকার বাইরে হওয়ার পরও কালীগঞ্জ উপজেলাবাসীর প্রতি মেয়রের ভালোবাসায় অভিভূত হয়েছেন স্থানীয়রা। মেয়রের এই উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছেন তারা।

কালীগঞ্জ উপজেলার এক প্রবীণ আওয়ামী লীগ নেতা বলেন, ‘গাজীপুরের মেয়র সিটি করপোরেশন নিয়ে ব্যস্ত থাকার কথা। কিন্তু তিনি গাজীপুরের সন্তান। তাই কালীগঞ্জ পৌরসভার লোকজনের পাশে দাঁড়িয়েছেন তিনি। লকডাউন এলাকায় কেউ অভুক্ত থাকবেন, তা চান না মেয়র। তিনি ছাত্রলীগের তরুণদের নিয়ে গঠিত হ্যালো ছাত্রলীগের মাধ্যমে সব ধরণের সহযোগিতা পৌঁছে দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন।’

জানতে চাইলে মেয়র জাহাঙ্গীর আলম বলেন, ‘গাজীপুর এলাকার প্রতিটি মানুষ আমার আপনজন। নিজ নির্বাচনী এলাকার না হলেও তারা গাজীপুরের বাসিন্দা। লকডাউনে অনেক মানুষ খাবার, ওষুধসহ নানা ধরণের সংকটে থাকেন। তাদের ওইসব মৌলিক বিষয়ের সরবরাহ নিশ্চিত করা না গেলে লকডাউন কখনোই সফল করা সম্ভব নয়। তাই তাদের পাশে থাকার চেষ্টা করেছি। হ্যালো ছাত্রলীগের হটলাইনে ফোন করলেই প্রয়োজনীয় সবকিছু পৌঁছে যাবে সবার ঘরে। কোন কোন ওয়ার্ডে কতটি অতিদরিদ্র পরিবার আছে, তার একটি হিসাব ইতিমধ্যে করা হয়েছে। সেই তালিকা ধরে আমরা ওইসব পরিবারের কাছে সহায়তা পৌঁছে দেবো। সবাই মিলে এই মহামারি জয় করতে হবে।’

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *