সঙ্কট সমাধান না হওয়া পর্যন্ত অবরোধ চলবে : বিএনপি

রাজনীতি

101887_bnp

যৌথ বাহিনী গ্রাম-গঞ্জে বিভৎস তাণ্ডব চালাচ্ছে অভিযোগ করে চলমান সঙ্কটের সমাধান না হওয়া পর্যন্ত অবরোধ কর্মসূচি অব্যাহত থাকবে বলে জানিয়েছেন বিএনপির যুগ্ম-মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।

আজ শুক্রবার এক বিবৃতিতে বিএনপি ও ২০ দলীয় জোটের এই অবস্থানের কথা জানিয়ে তিনি বলেন, মানুষের ভোটাধিকার ফিরিযে আনা ও একটি অবাধ নির্বাচন নিশ্চিত করতেই আমরা লাগাতার এই আন্দোলন করছি। বর্তমান অবৈধ সরকর এখন খাদের কিনারায় এসে দাঁড়িয়েছে।

রিজভী সরকারের উদ্দেশে বলেন, একটি অর্থবহ নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য এই মুহূর্তে কার্যকর সংলাপের ব্যবস্থা করুন। উৎপীড়ন, পরিকল্পিত নাশকতা, প্রকাশ্যে গুলি করে অবরোধকারীদের হত্যা ও ধড়পাকড়ের পথ থেকে সরে আসুন। দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে অবরুদ্ধ অবস্থা থেকে মুক্তি দিন। যতক্ষন পর্যন্ত না বিজয় অর্জিত হচ্ছে, ততক্ষণ পর্যন্ত চলমান অবরোধ কর্মসূচি অব্যাহত খাকবে।

দলের সহ-দফতর সম্পাদক আবদুল লতিফ জনি স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ভূমিকার কঠোর সমালোচনা করে রিজভী বলেন, বর্তমানে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী জনগনের বাহিনী হিসেবে কাজ করছে না। জনগনের অর্থের এই বাহিনীকে সরকার দলীয় ক্যাডারে সাজানো আওয়ামী রক্ষীবাহিনীর মতো ব্যবহার করছে।

পুলিশ-র‌্যাব-বিজিবির সমন্বয়ের যৌথ বাহিনী গঠন করে সারাদেশে বিরোধী দল নির্মূলে সরকারের কর্মকাণ্ডের নিন্দা জানিয়ে তিনি বলেন, ’৭২-’৭৫ এর রক্ষীবাহিনীর প্রেতাত্মা নিয়ে এই যৌথ বাহিনী গ্রামে-গঞ্জে বিভৎস তাণ্ডব চালাচ্ছে। চাপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জ-কানসাটের কয়েকটি গ্রামে যৌথবাহিনী অভিযান চালিয়ে বিরোধী দলের নেতা-কর্মীদের হত্যা, বাড়িঘর ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করে পুড়িয়ে ছাই করে দিয়েছে। আতঙ্কে দিশেহারা মানুষ এলাকা ছেড়ে পালিয়ে যাচ্ছে।

বিজিবির মহাপরিচালক মেজর জেনারেল আজিজ আহমেদের ‘প্রয়োজন আগ্নেয়াস্ত্র ব্যবহার করবে বিজিবি’ বলে যে হুমকি দিয়েছেন, তার কঠোর সমালোচনা করে রিজভী বলেন, এ ধরনের বক্তব্য নজীরবিহীন, অমানবিক ও আতঙ্কজনক। বিভিন্ন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে নিজেদের স্বার্থে ব্যবহার করতে গিয়ে গুরুত্বপূর্ণ পদে নিজেদের লোকদের বসিয়ে এই সব বাহিনী গণশত্রুতে পরিণত করা হয়েছে।

বিএনপির যুগ্ম-মহাসচিব বলেন, সরকার দেশে সঙ্কট জিইয়ে রাখতে চায়। তারা সঙ্কট নিরসন করতে ভয় পাচ্ছে। শান্তি, স্থিতি ও সুস্থ রাজনীতির পরিবেশ সৃষ্টিতে ক্ষমতাসীনরা অনাগ্রহী। সেজন্য একটি স্বচ্ছ ও সবার অংশগ্রহনমূলক নির্বাচন দিতে তারা ভয় পায়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *