ময়মনসিংহে ৫ চিকিৎসকসহ ২০ স্বাস্থ্যকর্মী করোনায় আক্রান্ত

Slider জাতীয় সারাদেশ

ময়মনসিংহ : ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজের পিসিআর ল্যাবে মঙ্গলবার ময়মনসিংহ বিভাগের চার জেলায় প্রথম দফায় ৯৪ জনের নমুনা পরীক্ষা হয়েছে। এর মধ্যে ২০ জনের মধ্যে করোনা ভাইরাস পজেটিভ পাওয়া গেছে। এদের মধ্যে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজে হাসপাতালের চিকিৎসকসহ ২০ জন। ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ৫ চিকিৎসক, নার্স, আয়া ও পরিচ্ছন্নকর্মী সহ ১৪জন আক্রান্ত হয়েছেন। তারা হলেন, ডাঃ মিরুফা তাসনীম, ডাঃ মাহবুব হোসাইন, ডাঃ কিসতিয়া বিনতে কাসেম, ডাঃ মুশফিকা সুলতানা, ডাঃ জারজীনা নওসীন। এছাড়া অন্যান্যরা হলেন, মরিয়ম খাতুন, তন্দ্রা দং, মনি, রুবেল, মনিরুজ্জামান, নাসরিন পারভিন, দেলোয়ার হোসেন, মেহেরুন্নেছা ও বিলকিস বেগম। এছাড়া প্রথমবারের মত ফুলবাড়িয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কপ্লেক্সের মেডিকেল এ্যাসিসটেন্ট মিজানুর রহমান মিজান নামে একজন আক্রান্ত হয়েছেন। এছাড়া নেত্রকোনায় দুই চিকিৎসকসহ ৪জন।

তারা হলেন, পুর্বধলার ডাঃ দ্রুব সাহা রায়, ডাঃ আজহারুল ইসলাম, মোহণগঞ্জের জবা রানী ও রিপন দাস। এছাড়াও জামালপুরে রেজাউল রহমান আক্রান্ত হয়েছে। ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজের অধ্য প্রফেসর ডাঃ

চিত্ত রঞ্জন দেবনাথ এ তথ্য জানিয়েছেন। ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে করোনা আক্রান্ত অন্তঃসত্ত্বা এক নারী তথ্য গোপন করে ভর্তি হয়ে চিকিৎসাধীন থাকায় তার মাধ্যমে ছড়িয়েছে বলে সিভিল সার্জন দাবি করেছেন। দ্বিতীয় ধাপের ফলাফল রাতে জানা যাবে।

ফুলবাড়িয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে কর্মরত করোনায় আক্রান্ত মেডিকেল এ্যাসিসটেন্ট মিজানুর রহমান মিজানের বাড়ি টাঙ্গাইল জেলায় বলে জানা গেছে। তিনি হাসপাতলের পুরাতন ভবনের ডরমেটরিতে বসবাস করতেন এবং হাসপাতালের জরুরী বিভাগে দায়িদ্ব পালন করে আসছিলেন। ফুলবাড়িয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আশরাফুল ছিদ্দিক জানান, করোনায় আক্রান্ত মেডিকেল এ্যাসিসটেন্ট মিজানুর রহমান হাসপাতালের পুরাতন ভবনের ডরমেটরিতে তার সহকর্মী মেডিকেল এ্যাসিসটেন্ট মামুনকে সাথে নিয়ে বাস করতেন। মামুনেরও পরীক্ষা করা হবে। এছাড়া ডরমেটরি এলাকায় লাল পতাকা টানানো হয়েছে।
এদিকে ফুলবাড়িয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরী বিভাগে কর্মরত মেডিকেল এ্যাসিসটেন্ট করোনায় আকান্ত হওয়ায় ফুলবাড়িয়া স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আশাপাশ এলাকাসহ ফুলবাড়িয়া এলাকায় আতংক দেখা দিয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *