ষ্টাফ করেসপনডেন্ট
গ্রাম বাংলা নিউজ২৪.কম
গাজীপুর অফিস: বাড়ি ফেরার সময় সন্ত্রাসী হামলায় গুরুতর আহত হয়েছেন মোঃ আবুল কাশেম(৩২) নামে এক সাংবাদিক। ঘটনার আসল নায়ক সজীব ওয়োজেদ জয় ও তারেক রহমানের বন্ধু পরিচয়ধারী এক প্রতারক।
আহত আবুল কাশেমের পিতার নাম হাজী আবুল সামা। বাড়ি গাজীপুর সদর উপজেলার ভাবানীপুর গ্রামে। তিনি গাজীপুর থেকে প্রকাশিত দৈনিক মুক্তবলাকা ও একটি অনলাইন পত্রিকার ষ্টাফ রিপোর্টার বলে জানান।
গাজীপুর সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আবুল কাশেম জানান, বৃহসপতিবার রাত ১১টার দিকে ভবানীপুর বাজার থেকে বাসায় যাওয়ার পথে জয়বাংলা মোড় নামক স্থানে কতিপয় সন্ত্রাসী গতিরোধ করে। এরপর কাশেমের ব্যবহৃত প্রাইভেটকার নম্বর চট্রমেট্রো-১১-৩১৯৭ থেকে সন্ত্রাসীরা তাকে নামিয়ে নিয়ে যায়। সন্ত্রাসীরা কাশেমকে একটি দোকান ঘরের ভেতরে নিয়ে হাত-পা বেঁধে মাটিতে শুইয়ে রড দিয়ে উপর্যুপরী আঘাত করে মারাত্বক জখম করে। একপর্যায়ে কাশেম অজ্ঞান হয়ে গেলে সন্ত্রাসীরা মৃত্যু নিশ্চিত জেনে দোকানের সামনের রাস্তায় ফেলে দেয়। অতঃপর এলাকাবাসী কাশেমকে উদ্ধার করে রাতেই গাজীপুর সদর হাসপাতালে ভর্তি করেন। তিনি বর্তমানে ওই হাসপাতালের জরুরী বিভাগের পুরুষ ওয়ার্ডের ৯নং বেডে চিকিৎসাধীন।
আবুল কাশেম অভিযোগ করে বলেন, স্থানীয় সন্ত্রাসীচক্র ১৫ জুন বেলা ১১টার সময় আমার বাসায় গিয়ে আমার স্ত্রীর নিকট ২লাখ টাকা চাঁদা চেয়ে হুমকি দেয়। এই ঘটনা পুলিশকে জানালে পুলিশ হাতে নাতে আসামী ধরার পরিকল্পনা করলে তা ফাঁস হয়ে যায়।
কাশেমের অভিযোগ, স্থানীয় ১০/১২জন দুর্ধর্ষ ক্যাডার চাঁদার জন্য তাকে হত্যার চেষ্টা করছে। এদের বিরুদ্ধে হত্যা, অপহরণ, চাঁদাবাজী ও মাদক ব্যবসার একাধিক মামলা রয়েছে বলে তিনি জানান।
অনুসন্ধানে জানা যায়, ঘটনাস্থল এলাকায় একটি সংঘবদ্ধচক্র ক্ষমতাসীন দলের লোক পরিচয়ে জমি দখল, মাদক ব্যবসা, খুন, ছিনতাই, অবৈধ গ্যাস লাইন স্থাপন ও বিভিন্ন বাগানবাড়িতে ও স্যুটিং স্পটে অসামাজিক কর্মকান্ড সহ নানা ধরণের অপরাধ করে আসছে। তাদের গডফাদার হিসেবে জনৈক ব্যাক্তি কখনো প্রধানমন্ত্রীর ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয় আবার কখনো সাবেক প্রধামন্ত্রীর ছেলে তারেক রহমানের বন্ধু পরিচয়ে স্থানীয় প্রশাসনকে জিম্মি করে ওই ধরণের স্পর্শকাতর অপরাধ করে বেড়াচ্ছেন। তবে ওই গডফাদার জয় ও তারেকের মধ্যে যার ক্ষমতা থাকে তাকেই বন্ধু বলে জাহির করেন।
এ সকল বিষয়ে হোতাপাড়া ফাঁড়ির উপ-পরিদর্শক(এসআই) হারুনর রশিদ জানান, ঘটনা শুনেছি। অভিযোগ দিলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।