সাইফুল ইসলাম, টাঙ্গাইল প্রতিনিধি: টাঙ্গাইল জেলার বাসাইল উপজেলাকে অন্যান্য উপজেলা থেকে বিচ্ছিন্ন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাসাইল উপজেলা প্রশাসন। গত সোমবার (১৩ এপ্রিল) দুপুরে উপজেলা চেয়ারম্যানের কার্যালয়ে এক সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। আজকে মঙ্গলবার (১৪ই এপ্রিল) থেকে এ সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন করা হবে জানা গেছে।
টাঙ্গাইল জেলার বিভিন্ন উপজেলাসহ সারাদেশে করোনাভাইরাসের আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হলেও বাসাইলে এখনও করোনা রোগী শনাক্ত হয়নি। আর এ সভায় বাসাইল উপজেলায় প্রবেশের জন্য ভাতকুড়া মোড়, বাংড়া মোড়, আইসড়া, পাথরঘাটা রোডের পৌলী, কাউলজানী, গাজীর দোকানসহ ২৯টি পয়েন্ট চিহ্নিত করা হয়েছে। চিহিৃত পয়েন্টগুলির ৫-৭টিতে পার্শ্বরাস্তা থাকা সাপেক্ষে স্থায়ীভাবে বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এর পাশাপাশি বাকি ২২টিতে নিরাপত্তারক্ষী দিয়ে চৌকি বসানোর সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। আর নিরাপত্তা চৌকিতে গ্রামপুলিশ, আনসার, স্বেচ্ছাসেবকের সমন্বয়ে দিন-রাত পাহারার ব্যবস্থা করা হয়েছে। তাছাড়াও পুলিশ এসব চৌকিতে সার্বক্ষণিক টহলে নিয়োজিত থাকবে। কিন্তু সেবা, এ্যাম্বুলেন্স, ফায়ার সার্ভিস, নিত্য পণ্যসহ জরুরী প্রয়োজনে যাতায়াতের জন্য কয়েকটি পয়েন্ট খোলা রাখা হবে। এতে সুনির্দিষ্ট কারণ ছাড়া কেউ বাসাইল উপজেলায় প্রবেশ করতে এবং বের হতে পারবে না।
বাসাইল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শামছুন নাহার স্বপ্না জানিয়েছেন, “বাসাইল উপজেলা এখনও করোনামুক্ত আছে। তবে ঢাকার নারায়ণগঞ্জ, মিরপুরসহ অন্যান্য করোনা আক্রান্ত এলাকা থেকে বাসাইলে লোকজন প্রবেশ করেছেন। আর এটাকে আমরা অনেক ঝুঁকি হিসেবে দেখছি। বর্তমানে কেউ যেন বাসাইলে প্রবেশ বা বাহির হতে না পারে সেকারনেই সভায় এই সিন্ধান্ত নিয়েছি।”
উল্লেখ্য যে, বাসাইল উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান কাজী অলিদ ইসলাম, বাসাইল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শামছুন নাহার স্বপ্না, বাসাইল উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. ফিরোজুর রহমান, ওসি এসএম তুহীন আলী, বাসাইল প্রেসক্লাবের সাংবাদিকবৃন্দ, সকল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানসহ বাসাইল উপজেলার বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তার সমন্বয়ে অনুষ্ঠিত এক সভায় এই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।