কমিউনিটি ট্রান্সমিশন হচ্ছে, ঘরে থাকুন : স্বাস্থ্যমন্ত্রী

Slider জাতীয় টপ নিউজ

ঢাকা: গত ২৪ ঘন্টায় আরো ৫ জন করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছে। বাংলাদেশে আজ নতুন করে সর্বোচ্চ আক্রান্ত হয়েছে ১৮২ জন। এটা নিয়ে বাংলাদেশে করোনায় আক্রান্ত হয়েছে মোট ৮০৩ জন। যে ৫ জন মারা গেছে এটা নিয়ে দেশে করোনা ভাইরাসে মৃত্যু হয়েছে ৩৯ জনের। বাংলাদেশে আরো ৩ জন প্রাণঘাতী এই ভাইরাসটি থেকে সুস্থ হয়েছেন এবং করোনাভাইরাসে মোট সুস্থ হয়েছেন ৪২ জন।

সোমবার স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক অনলাইন প্রেসিব্রিফিংয়ে এসব তথ্য দেন। তিনি জানান, গত ২৪ ঘন্টায় দেশের ১৭টি পরীক্ষা কেন্দ্রে এক হাজার ৫৭০টি নমুনা পরীক্ষা করে এই ১৮২ জনকে করোনা ভাইরাসে শনাক্ত করা হয়েছে।

স্বাস্থ্যমন্ত্রীর পর এ বিষয়ে বিস্তারিত তুলে ধরেন স্বাস্থ্য অধিদফতরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা। আজ আইইডিসিআর’র পরিচালক ব্রিফিংয়ে আসেননি।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী আজও বলেন, ঢাকার মধ্যে বাসাবো ও ঢাকার বাইরে নারায়ণগঞ্জ শহরে করোনা ভাইরাসের আক্রান্তরা বেশি। তিনি সকলকে ঘরের মধ্যে থাকার পরামর্শ দেন। নিজে বলেন, মানুষ ছুতো দেখিয়ে ঘর থেকে বেরিয়ে যাচ্ছেন, সরকারি নির্দেশ মানছেন না। এটা ঠিক না। বাংলাদেশে এখন কমিউনিটি ট্রান্সমিশন শুরু হয়ে গেছে। অতএব ঘরের মধ্যে থাকুন, প্রয়োজন হলে টেস্ট করান এবং সুস্থ থাকুন। আমরা আরো কিছু ভেন্টিলেটর ও অক্সিজিনেটর আমদানির ব্যবস্থা করছি। তিনি বলেন, আমেরিকার মতো উন্নত দেশের অবস্থা খুবই খারাপ। আমাদের এখানে আমার এখনো ভালো আছি, ভালোটা আমরা ধরে রাখতে চাই। সে কারণে সরকারি নির্দেশনা মেনে চলুন, সবাই ভালো থাকুন।

অধ্যাপক নাসিমা সুলতানা বলেন, আগের দিনের চেয়ে গত ২৪ ঘন্টায় আমরা ১৭ শতাংশ বেশি টেস্ট করেছি। এখন পর্যন্ত বাংলাদেশে মোট ৮৫ হাজার ৪৯৮ জন হোম কোয়ারেন্টিনে আছে। গত ২৪ ঘন্টায় এক হাজার ৪৫জন হোম কোয়ারেন্টিনে আছে। আইসোলেশনে নেয়া হয়েছে ২৯৯ জনকে। সারাদেশে ৪৮৮টি প্রতিষ্ঠান কোয়ারেন্টিনের জন্য প্রস্তুত করা হয়েছে এবং এসব প্রতিষ্ঠানে মোট দুই লাখ ৬৩ হাজার ৩৫২জনকে কোয়ারেন্টিনে রাখা যাবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *