নারায়ণগঞ্জে করোনায় আরো ১ জনের মৃত্যু

Slider জাতীয় বাংলার মুখোমুখি


নারায়ণগঞ্জ: নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশন (নাসিক) এলাকায় আরও এক বাসিন্দা করোনা আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুবরণ করেছেন। রোববার (১২ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ৯টায় রাজধানীর কুয়েত মৈত্রী হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। মৃতের নাম মনির হোসেন (৬৫)। তিনি নগরীর দেওভোগ পাক্কা রোডের বাসিন্দা। করোনা উপসর্গ থাকায় গত বৃহস্পতিবার তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখান থেকে কুয়েত মৈত্রী হাসপাতালে পাঠানো হয়। সেখানে নমুনা পরীক্ষায় করোনা আক্রান্ত বলে শনাক্ত হন তিনি। তিন দিন চিকিৎসাধীন থাকার পর তার মৃত্যু হয়।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন নাসিকের প্যানেল মেয়র-১ ও সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর আফসানা আফরোজ বিভা হাসান। তিনি বলেন, মনির হোসেন নামে একজন ঢাকার একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেছেন।
তিনি করোনা পজেটিভ ছিলেন। তার পরিবারের লোকজনকে বাড়িতেই থাকার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

মৃত মনির হোসেনের ছেলে রুবেল বলেন, কয়েকদিন ধরেই বাবা অসুস্থ ছিলেন। গত ৪ এপ্রিল ঠান্ডা-জ্বরে আক্রান্ত হন তিনি। পরে প্রাইভেট একটি হাসাপাতালের এক চিকিৎসককে দেখালে পরীক্ষা করে ওষুধপত্র দেন। ৭ এপ্রিল তিনি প্রায় সুস্থ হয়ে ওঠেন। কিন্তু গত বুধবার থেকে তার শ্বাসকষ্ট শুরু হয়। সারাদিন নেবুলাইজার দেওয়ার পরও যখন ঠিক হলেন না তখন বৃহস্পতিবার সকালে ভিক্টোরিয়া হাসপাতালে নিয়ে যাই। ভিক্টোরিয়া হাসপাতল বন্ধ থাকায় ঢাকা মেডিকেল নিয়ে গেলাম। করোনা, রক্ত ও এক্স-রেসহ তিনটা পরীক্ষা করা হলো। রাত সাড়ে দশটার দিকে করোনা পজেটিভ বলে রিপোর্ট আসলো। পরে বাবাকে কুয়েত মৈত্রী হাসপাতালে ভর্তি করলাম। সেখানেই চিকিৎসাধীন অবস্থায় আজ সকাল সাড়ে ৯টায় তার মৃত্যু হয়েছে। তবে আমরা জানতে পারছি দুপুর দেড়টার দিকে।

রুবেল জানান, মনির হোসেনের লাশ রাজধানীর খিলগাঁওয়ের তালতলা কবরস্থানে দাফন করা হয়েছে। তার কবরের সিরিয়াল নম্বর ৩৩।

তিনি আরও বলেন, বাবা অসুস্থ থাকার সময় মা তার সেবা করেছেন। আমিও ছেলে হিসেবে তার পাশে ছিলাম। করোনা ছোঁয়াচে বলে শুনছি। আমাদেরও করোনা পরীক্ষা করা প্রয়োজন। কিন্তু কেউই এখন পর্যন্ত খোঁজ নিচ্ছে না। আমার মা ও স্ত্রী ডায়েবেটিসের রোগী। এখন আমরা শঙ্কিত।
উল্লেখ্য মরণঘাতি করোনা ভাইরাসে নারায়ণগঞ্জে গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন আরও ২৪ জন। মোট আক্রান্তের সংখ্যা ১০৭ জন। শনিবার এই সংখ্যা ছিল ৮৩। এরমধ্যে মৃতের সংখ্যা দাঁড়ালো ১০।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *