যেভাবে করোনায় আক্রান্ত হন অগ্রণী ব্যাংক কর্মকর্তা

Slider জাতীয় ফুলজান বিবির বাংলা

রাষ্ট্রায়ত্ব অগ্রণী ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ের প্রিন্সিপাল শাখার এক তরুণ কর্মকর্তা নভেল করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। তিনি শাখাটির রেমিট্যান্স বিভাগে কর্মরত ছিলেন। সর্বশেষ গত রোববার তিনি অফিস করেছেন। তার বয়স ত্রিশের ঘরে। এদিকে শাখাটিতে কর্মরত ৬৩ জন কর্মকর্তা-কর্মচারীকে হোম কোয়ারেন্টিনে পাঠিয়ে দেয়া হয়েছে। এর ফলে রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকটির গুরুত্বপূর্ণ শাখাটিকে লকডাউন করা হয়েছে। আগামী ১৪দিন ব্যাংক লক ডাউন থাকবে। আর প্রিন্সিপাল শাখার কার্যক্রম মতিঝিল আমিন কোর্ট শাখায় স্থানাস্তার করা হয়েছে বলেন জানান ব্যাংকটির এক কর্মকর্তা।

অগ্রণী ব্যাংকের এক শীর্ষ কর্মকর্তা বলেন, গত রোববার ওই কর্মকর্তা সর্বশেষ অফিসে এসেছিলেন।
সেদিন কাজ শেষে বাসায় ফেরার পর শারীরিকভাবে অসুস্থ বোধ করেন। এজন্য তাকে ছুটি দেয়া হয়েছিল। পরবর্তীতে তার করোনা ভাইরাসের পরীক্ষা করা হয়। আজ বুধবার বেলা ১১টায় পরীক্ষার ফলাফল এলে দেখা যায়, ওই তরুণ কর্মকর্তা করোনা ভাইরাস দ্বারা সংক্রমিত হয়েছেন।

তিনি বলেন, আক্রান্ত কর্মকর্তার শারীরিক অবস্থা এখনো স্থিতিশীল। খুব বেশি জ্বর বা অন্য উপসর্গগুলো দেখা যায়নি। সতর্কতামূলক প্রদক্ষেপ হিসেবে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের অনুমোদন নিয়ে আমরা প্রিন্সিপাল শাখা লকডাউন করে দিয়েছি। একই সঙ্গে শাখাটিতে কর্মরত ৬৩ জন কর্মকর্তা-কর্মচারীকে হোম কোয়ারেন্টিনে পাঠানো হয়েছে।

রাজধানীর মতিঝিলে অগ্রণী ব্যাংকের প্রধান কার্যালয় ভবনের নিচ তলায় প্রিন্সিপাল শাখা। ওই শাখাটি অগ্রণী ব্যাংকের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ হিসেবে বিবেচনা করা হয়।

ব্যাংক সূত্র জানায়, করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত অগ্রণী ব্যাংকের ওই তরুণ কর্মকর্তা ২০১৭ সালে সিনিয়র অফিসার হিসেবে যোগদান করেন। তার গ্রামের বাড়ি চাঁদপুর জেলায়। ঢাকার বনশ্রী এলাকায় পরিবারের সঙ্গে তিনি বসবাস করেন। তার পিতাও বেসরকারি খাতের একটি ব্যাংকের শীর্ষস্থানীয় কর্মকর্তা হিসেবে কর্মরত রয়েছেন।
সংশ্লিষ্ট একাধিক সূত্র জানায়, সম্প্রতি ইতালি থেকে আক্রান্ত ব্যাংক কর্মকর্তার চাচা দেশে আসেন। চাচার কাছ থেকে তিনি করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হতে পারেন বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। গত রোববার অসুস্থতা নিয়েই ওই ব্যাংক কর্মকর্তা অফিস করেছেন।
অন্যদিকে একজন ব্যাংক কর্মকর্তা করোনায় আক্রান্ত হয়ে রাজধানীর কুয়েত মৈত্রী হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *