করোনার খবর পৌঁছেনি তিস্তা-ধরলার চরাঞ্চলে

Slider জাতীয় রংপুর


হাসানুজ্জামান হাসান,লালমনিরহাটঃ বিশ্বজুড়ে ভয়াবহ আতঙ্কের এক নাম করোনাভাইরাস। যার প্রাদুর্ভাব বাংলাদেশেও দেখা দিয়েছে। দেশে প্রাণঘাতী এই ভাইরাসের বিস্তার রোধে হাট-বাজারে মাইকিং করেছে জেলা প্রশাসন।

কিন্তু লামনিরহাটে তিস্তা ও ধরলা নদীর চরাঞ্চলের মানুষের কাছে সঠিকভাবে পৌঁছায়নি জনসচেতনতার বার্তা। ফলে চরাঞ্চলের মানুষেরা জানেন না করোনাভাইরাস কী, কিভাবে ভাইরাসটি সংক্রমিত হয়। বলাবাহুল্য‘কোয়ারেন্টাইন’ ও ‘আইসোলেশন’-এর সঙ্গে তারা পরিচিত নন একেবারেই।

মঙ্গলবার(২৪ মার্চ) সকালে লালমনিরহাটের কালীগঞ্জ উপজেলার শৌলমারী চরাঞ্চলে গিয়ে এ তথ্য জানা যায়।

চরের বাসিন্দারা জানান, শহরের হাটবাজারে গেলে শোনা যায় করোনাভাইরাসের কথা। কিন্তু এই ভাইরাস ঠেকাতে কী করতে হবে বলেনি কেউ।

সরেজমিনে গিয়ে জানা গেছে, লোকমুখে করোনাভাইরাসের কথা শুনে চরবাসীরা আতঙ্কে রয়েছেন। তবে জানেন না ভাইরাসটির সংক্রমণ রোধের উপায়। এ ভাইরাসের বিস্তার রোধের উপায় না জানায় চরবাসীরা যেমন খুশি ঘুরে বেড়াচ্ছেন।

গ্রম বাংলা নিউজ”- প্রতিবেদকের কাছে করোনাভাইরাসের বিষয়ে কিছুটা জানতে পেরে চরবাসীরা বলেন, শহরের বাসিন্দাদের মতো চরাঞ্চলের মানুষকেও করোনা মোকাবিলায় স্বাস্থ্য সচেতন করতে হবে। না হলে চরাঞ্চলেও এই মহামারি ছড়িয়ে পড়বে। একই সাথে আক্রান্ত হওয়ার আগেই তাদের খাদ্য নিশ্চিত করে চলাফেরা বন্ধ করে দিতে হবে। না হলে বিরাট ক্ষতি হয়ে যাবে।

তিস্তা চরাঞ্চলের আকবর আলী বলেন, “হামরা ভাইরাস কী জানি না। ভাইরাস যদি হামাক আক্রমণ করে তাহলে কি করমো। চরাঞ্চলের রাস্তা নাই দ্যাখিই হামার এ্যাত্তি কাইয়ো আইসে না। তাইলে কি, হামরা কি জানমো এই ভাইরাস সম্পর্কে ?”

ভোটমারী এলাকার আব্দুল রহমান জানান, চরাঞ্চলের মানুষ স্বাস্থ্য সচেতনতা বিষয়ে কিছু বোঝে না। তারা জীবিকার তাগিদে প্রতিদিন বিভিন্নস্থানে ছুটে চলছেন। চরবাসীকে সচেতন করতে না পারলে করোনাভাইরাস ভয়াবহ আকার নিতে পারে।

লালমনিরহাটের সিভিল সার্জন ডা. নিমর্লেন্দু রায় বলেন, স্বাস্থ্যকর্মীদের প্রতিটি বাড়িতে গিয়ে জনসচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে কাজ করতে বলা হয়েছে। ইতোমধ্যে স্বাস্থ্যকর্মীরা মাঠে কাজ করছেন। শিগগিরই চরাঞ্চলের মানুষদেরও তারা সচেতন করে তুলবেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *