গাজীপুরে স্ত্রীকে পুঁড়িয়ে হত্যার অভিযোগে স্বামী আটক

গ্রাম বাংলা

gazipur deadbody

গাজীপুর: গাজীপুর মহানগরের কোনাবাড়ি এলাকায় স্ত্রীকে পুঁড়িয়ে মারার অভিযোগে স্বামীকে আটক করেছে পুলিশ। বতমানে ঘটনাস্থল থেকে লাশ উদ্ধার করে মগে রাখা হয়েছে।

শনিবার(১০ জানুয়ারী) ভোররাতে গাজীপুর মহানগরের কোনাবাড়ি শিল্পাঞ্চলের কাদির মাকেট পশ্চিমপাড়া গ্রামে ওই ঘটনা ঘটে।

নিহতের নাম আনোয়ারা বেগম(৪০)। আটক স্বামীর নাম আইনাল হক(৫০)। এই দম্পতির দুটি সন্তান রয়েছে।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র জানায়, আইনাল হক দোতলা বিশিষ্ঠ পাকা বাড়ির দোতলায় এক রুমে ছোট ছেলেকে নিয়ে থাকতেন । স্ত্রী আনোয়ারা বেগম পাশের রুমে দুই মাস যাবৎ একা বসবাস করেন। শুক্রবার মধ্যরাত ১টার দিকে হঠাৎ করে আনোয়ারা বেগমের রুমে আগুন জ্বলে উঠে। আগুন দেখে নীচতলা ও দোতলার সকল লোকজন উঠে এসে জানালা ভেঙ্গে দেখেন আনোয়ারা অগ্নিদ্বগ্ধ অবস্থায় পড়ে আছে। ঘরের আসবাবপত্রে আগুন জ্বলছে। খবর পেয়ে গাজীপুর ফায়ার সাভিস আগুন নিয়ন্ত্রন করে।

শনিবার সকাল ৬টার দিকে পুলিশ লাশ উদ্ধার করে গাজীপুর সদর হাসপাতাল মগে আনে। ওই ঘটনায় জড়িত সন্দেহে পুলিশ আনোয়ারা বেগমের স্বামী আইনাল হককে আটক করেছে।

গাজীপুর সদর হাসপাতাল মগে লাশবাহী পিকআপের সঙ্গে আসা আইনাল হকের ভাগিনা সোহেল রানা জানান, তার মামী অসুস্থ ছিলেন দুই মাস ধরে। তিনি একাই এক রুমে থাকতেন। মামা থাকতেন পাশের রুমে। লাশ উদ্ধারের সময় মামী আনোয়ারা বেগমের রুমের বিছানাপত্র পুঁড়া ও বিছানার উপরে একটি আইরন(কাপড় ইস্ত্রির যন্ত্র) পড়ে আছে। মামী আনোয়ারা বেগম মামলা মোকদ্দমার কাজ(তদ্বির) করার কারণে কোট কাচারীতে সুপরিচিতা ছিলেন। প্রায়ই তার বাসায় পুলিশ সহ সমাজের উচ্চ শ্রেনীর লোকজন যাতায়াত করতেন বলে জানান সোহেল রানা।

লাশের সঙ্গে আসা আনোয়ারা বেগমের বাড়ির ভাড়াটিয়া বিউটি পালার কমী শাহনাজ আক্তার বৃষ্টি(১৯) জানান, ঘুম থেকে উঠে দেখি মামী আগুনে পুঁড়ে মারা গেছেন। কি ভাবে মারা গেছেন জানিনা। আনোয়ারা বেগম ও আইনাল হক উভয়েই দ্বিতীয় দাম্পত্য জীবন অতিবাহিত করছেন বলে জানান বৃষ্টি।

কোনাবাড়ি পুলিশ ফাঁড়ির উপ-পরিদশক(এসআই) সৈয়দ আজহারুল ইসলাম  জানান, আনোয়ারা বেগমের বাবার বাড়ির লোকজনের মৌখিক অভিযোগের ভিত্তিতে আইনাল হককে আটক করা হয়েছে। স্ত্রীকে পুঁড়িয়ে মারার ঘটনায় তিনি জড়িত কিনা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

 

 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *