নিষেধাজ্ঞা

Slider জাতীয় সারাদেশ

দেশে আরও দুই জন করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছে। গতকাল রাতে এ তথ্য জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক। আক্রান্ত দুই জনের একজন ইতালি ও অন্যজন জার্মানি থেকে দেশে আসেন। তাদের হোম কোয়ারেন্টিনে রাখা হয়েছিল। নিজেদের বাসায় অসুস্থ হলে তাদের হাসপাতালে আনা হয়। দেশে নতুন রোগী শনাক্ত ও বিশ্বব্যাপী এ রোগে আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ায় বাড়তি সতর্কতার অংশ হিসেবে সব অন অ্যারাইভাল ভিসা বন্ধ করে দিয়েছে সরকার। একই সঙ্গে বৃটেন ছাড়া ইউরোপের সব দেশ থেকে বাংলাদেশে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা দেয়া হয়েছে। বন্ধ করে দেয়া হয়েছে সব স্থল বন্দর।

বাংলাদেশের সঙ্গে যেসব দেশ যোগাযোগ বন্ধ করে দিয়েছে ওই সব দেশের নাগরিকদেরও আর বাংলাদেশে আসতে দেয়া হবে না। গত রাতে সরকারের উচ্চ পর্যায়ের বৈঠকে এসব সিদ্ধান্ত হয়। বৈঠক শেষে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন, স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক ও পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম সংবাদ সম্মেলনে বিস্তারিত তথ্য তুলে ধরেন।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী জানান, আগামী ৩১শে মার্চ পর্যন্ত সব অন অ্যারাইভাল ভিসা বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। এছাড়া বৃটেন ছাড়া ইউরোপের কোন দেশ থেকেই কেউ বাংলাদেশে আসতে পারবে না। করোনা সংক্রমণ ঠেকাতে বন্ধ থাকবে দেশের সব স্থলবন্দর। ভারতের মতো যেসব দেশ ইতোমধ্যে বাংলাদেশিদের প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে ওইসব দেশের নাগরিকদেরও বাংলাদেশে আর প্রবেশ করতে দেয়া হবে না।

এর আগে দুপুরে সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ে আন্ত:মন্ত্রণালয় বৈঠক হয় রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন পদ্মায়। দুই ঘণ্টাব্যাপী ওই বৈঠকে ইউরোপের সঙ্গে বিমান যোগাযোগ বন্ধসহ বেশ কিছু সিদ্ধান্তের খসড়া করা হয়। পরে সন্ধ্যায় গণভবনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে বৈঠক করে তা চূড়ান্ত করা হয়। দ্বিতীয় দফা বৈঠক শেষে রাতে ফের পদ্মায় সংবাদ সম্মেলন করা হয়। এতে পররাষ্ট্র মন্ত্রী জানান, আপাতত দুই সপ্তাহের জন্য সিদ্ধান্তগুলো নেয়া হয়েছে। পরিস্থিতি দেখে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেয়া হবে। সংবাদ সম্মেলনে স্বাস্থ্য মন্ত্রী জাহিদ মালেক জানান, প্রথম আক্রান্ত তিন জনের দুই জন সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরে গেছেন। তৃতীয় জনও সুস্থ হয়ে উঠেছেন। তাকেও বাড়ি পাঠিয়ে দেয়া হবে। তিনি বলেন শনিবারই নতুন করে দুই জন আক্রান্ত হওয়ার বিষয় নিশ্চিত হওয়া গেছে। তাদের হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। তারা এখন ভাল আছে। ইতালি এবং জার্মানি থেকে দেশে ফেরার পর তারা সেলফ কোয়ারেন্টিনে ছিলেন।
এদিকে দিনে দিনে করোনার বিস্তৃতি বাড়ায়, অভ্যন্তরীণ ও আন্তর্জাতিক কয়েকটি ফ্লাইট বাতিল করেছে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স। গতকাল সৌদি আরব, নেপাল, থাইল্যান্ড, যশোর, রাজশাহী রুটে এসব ফ্লাইট বাতিল করা হয়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *