মাথা ঠান্ডা রাখুন, জানুন

Slider জাতীয় সামাজিক যোগাযোগ সঙ্গী


ফেসবুক ডায়রী: আমি একটু আগে পলাশী বাজার গিয়ে দেখি ভয়াবহ অবস্থা। মাস্ক আর হ্যান্ড স্যানিটাইজারের জন্য দোকানদারদের মাথা খারাপ করে ফেলছে লোকজন। বিশেষ করে ছাত্র ছাত্রীরা।
প্লিজ সবাইকে বলেন, মাস্ক আসলে দরকার নেই। শুধু আপনার নিজের জ্বর আর কাশি হলে (করোনার প্রথম লক্ষণ) মাস্ক পড়বেন। সেটাও অন্যরা যাতে সংক্রামিত না হয় সেজন্য।
হ্যান্ড স্যানিটাইজারের দরকার নাই। যে কোন সাবান দিয়ে ভালো করে হাত ধুলেই হবে।

হাত ধোবেন কমপক্ষে ২০ সেকেন্ড। আর মুখে কোনভাবেই হাত লাগাবেন না। শুধু এ দুটো কাজ করলে করোনা আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি বহুলাংশে কমে যাবে।
সাবান কি হাতে নিয়ে ঘুরবেন? দরকার হলে তা করবেন। ব্যাগে, পকেটে কোন কৌটায় সাবানের টুকরো রাখুন। ময়লা নোট বা বহুলভাবে স্পর্শ হয় (যেমন সিড়ির রেলিং, রিকশার হুড, বাসের হ্যান্ডেল) এমনকিছু ধরার পর হাত সাবান দিয়ে না ধোয়া পর্যন্ত কোনভাবে মুখে হাত স্পর্শ্ করবেন না। চুলকালে প্রয়োজনে হাতের বাহু বা অন্য কিছু ব্যবহার করুন।
করেনোর প্রাথমিক লক্ষণ সর্দিজ্বর বা যে কোন ধরনের ফ্লুর মতো। প্রায় ৭ দিন পর থেকে শুরু হবে শ্বাসকষ্ট। করোনার শ্বাসকষ্ট হলে হাসপাতালের আইসিইউতে যেতে হবে কষ্ট লাঘবের জন্য। করোনার কোন চিকিৎসা নেই। ৯৮ শতাংশ রুগী এমনিতে ভালো হয়ে যান।
করোনা নিয়ে তরুণরা বেশি টেনশন করবেন না। ইতিমধ্যে শ্বাসকষ্ট ধরনের রোগ না থাকলে ৩০ বছরের নীচেদের করোনা হলে মৃত্যুর হার প্রায় শুন্য শতাংশ। কিন্তু আক্রান্ত হলে ভোগান্তি ও ভীতি বাড়ে এবং অন্যরা সংক্রামিত হতে পারে। তাই আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি কোনভাবে নিবেন না।
এদেশে সরকার কি করে বা কি করতে পারে আপনারা সবাই জানেন। কাজেই নিজের ভালো নিজে বুঝে নিন। নিজে বাঁচুন অন্যকে বাঁচাতে সাহায্য করুন।
সতর্ক হোন, আতঙ্কিত নয়।
(লেখাটি অধ্যাপক আসিফ নজরুলের ফেসবুক পেজ থেকে নেয়া)

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *