ডেস্ক: করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে গোটা ইউরোপসহ বিশ্ব যখন কাঁপছে তখন প্রশ্ন দাঁড়ায় বাংলাদেশ কী প্রস্তুতি নিয়েছে এটি মোকাবেলার জন্য। যে জায়গায় বাংলাদেশের এমপি-মন্ত্রীদের আস্থা নেই দেশের চিকিৎসা ব্যবস্থার ওপর, একটু অসুস্থ হলেই বিদেশে গিয়ে চিকিৎসা করাতে চান, সেই দেশে কী করে সম্ভব করোনা ভাইরাসে আক্রান্তদের সুচিকিৎসা দিয়ে সুস্থ করে তোলা! যে দেশে একটি ভ্যাকসিন আবিষ্কার করার জন্য পর্যাপ্ত চিকিৎসাসরঞ্জাম নেই, যে দেশের সাধারণ রোগীরা হৃদরোগে আক্রান্ত হলে ক্যান্সারে আক্রান্ত হলে
সুচিকিৎসার অভাবে প্রতিনিয়ত মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ছে। যেখানে রোড এক্সিডেন্ট এর নামে প্রতিনিয়ত প্রাণ দিতে হয় সাধারণ নাগরিককে, যেখানে রোগীর তুলনায় হাসপাতাল বা বা চিকিৎসার সরঞ্জাম পর্যাপ্ত না। যে দেশে ভয়াবহ ডেঙ্গু মহামারী রূপ নেয়ার পরও এর নিধনের ঔষুধ বিদেশ থেকে আনতে গড়িমসি করে সিটি করপোরেশনগুলো । যে দেশের বিমানবন্দরগুলোতে পর্যাপ্ত স্ক্যানিং মেশিন নেই করোনা ভাইরাসটিকে সনাক্ত করার জন্য। তাই সাধারণ জনগণের প্রশ্ন? চীন ছাড়িয়ে বিশ্বব্যাপী এখন করোনা ভাইরাস উদ্বেগ; মারাত্মক সংক্রামক এই ভাইরাস নির্ণয়ে সত্যিই কতটা পদক্ষেপ নিতে পারছে বাংলাদেশ ? চীনের রাষ্ট্রদূত লি জিমিং বাংলাদেশের করোনা ভাইরাস সনাক্তকরণ প্রক্রিয়াকে অবৈজ্ঞানিক এবং করোনা ভাইরাস স্ক্রিনিং পরীক্ষা পর্যাপ্ত নয় জানিয়েছেন। এতে কি টনক নড়লো কর্তৃপক্ষের। ইতিমধ্যে ভারতে দ্রুত ছড়াচ্ছে করোনা ভাইরাস।এখনও পর্যন্ত প্রায় আঠাশ জন আক্রান্ত হয়েছেন বলে জানা যায় ।
কেমন করে বাঁচবেন এই মরণঘাতি করোনা ভাইরাসের হাত থেকে। কী বলছে সরকার? ভারত থেকে ভাইরাস কি ছড়াতে পারে প্রতিবেশী দেশ আমাদের বাংলাদেশে ? করোনা আতঙ্ক কমার কোনও সম্ভাবনাই দেখা যাচ্ছে না। ইউরোপে মৃতের সংখ্যা বাড়ছে। এশিয়ায় ভাইরাস আরও ছড়াচ্ছে। চীনে মৃত্যু ছাড়াল তিন হাজার, ইতালিতে মৃত ১০৭, অ্যামেরিকায় আক্রান্ত একশরও বেশি মানুষ। ইরানে আক্রান্ত দেশের ভাইস প্রেসিডেন্ট এবং ডেপুটি স্বাস্থ্যমন্ত্রী সহ ২৩ জন সংসদ সদস্য । ফ্রান্সে এই ভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা ২৮৫ এবং মৃত্যু হয়েছে ৪ জনের। জার্মানিতে এখন পর্যন্ত ২৬২ জন এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে। স্পেনে এই ভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা ২২৮ এবং মৃত্যু হয়েছে ২ জনের।
বাংলাদেশ এ পর্যন্ত করোনা ভাইরাস রোধে যে প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে তা নিয়ে কথা হয় ফ্রান্সের একজন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের সাথে । নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ওই চিকিৎসক বলেন ইতালিতে একজন বাংলাদেশী আক্রান্ত হয়েছেন,সিঙ্গাপুরে দুজন আক্রান্ত হয়েছেন তিনি জেনেছেন এবং ইউরোপের বিভিন্ন দেশে প্রবাসী বাংলাদেশীরা আতঙ্কিত হয়ে হাসপাতালে ছুটে আসছেন কিন্তু তাদের প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে আক্রান্ত না হওয়াতে ফেরানো সম্ভব হচ্ছে। কিন্তু এই প্রবাসীরা আতঙ্কিত বাংলাদেশে তাদের পরিবার পরিজনদের নিয়ে । যদি করোনাভাইরাস বাংলাদেশ আক্রান্ত হয় তাহলে তাদের পরিবার-পরিজন বাংলাদেশের চিকিৎসা ব্যবস্থার বর্তমান যে ব্যবস্থা তাতে কী চিকিৎসা পাওয়া সম্ভব হবে? ইউরোপের বিভিন্ন দেশের বেশ কিছু প্রবাসীদের সাথে কথা হয় মানবজমিনের প্রতিবেদকের। প্রবাসীরা বলেন, বাংলাদেশের চিকিৎসা ব্যবস্থা দুর্বল সেটা আমরা জানি তাই মহান আল্লাহ তালার কাছে প্রার্থনা করি করোনা ভাইরাসের মতো মহামারী যেন বাংলাদেশ না ছড়ায়। বাংলাদেশের মন্ত্রী মিনিস্টার ওরা এদেশের জনগণকে নিরাপত্তা দিতে পারবে না।