পাপিয়া সব ধর্মেই ছিলেন!

Slider জাতীয় বিচিত্র


ঢাকা: নরসিংদী জেলা যুব মহিলা লীগের সাধারণ সম্পাদক শামীমা নূর পাপিয়াকে নিয়ে আলোচনার শেষ নেই। এবার আলোচনায় এসেছে তার ধর্ম পালন। এক র‌্যাব কর্মকর্তা জানান, পাপিয়া শিবলিঙ্গের পূজা করতেন, কালী পূজা করতেন নিয়মিত। আবার খ্রিস্টান ধর্মের প্রতীক ক্রুসও ব্যবহার করতেন। কাবা শরিফের লোগোও নিজের কাছে রাখতেন। খাজা মঈনুদ্দিন চিশতীর (রহ) নামের অদ্যাক্ষর দিয়ে নিজেদের দেহে ট্যাটুও করিয়েছেন তিনি। ধারণা করা হচ্ছে, অবৈধভাবে অর্থ আয়ের জন্য প্রতিটি ধর্মের লোকদের বিশ্বাস স্থাপন করতে এটা তার কৌশল। এমনটায় জানিয়েছেন ওই র‌্যাব কর্মকর্তা।

শুধু তাই নয়, পাঁচ তারকা হোটেলের বিশালবহুল কক্ষ থেকে শুরু গাড়ি বাড়ি কোনো কিছুর অভাব ছিলো না তার।
খরচ করতেন কোটি কোটি টাকা। হোটেল বয়দের টিপস দিতেন ১০-১২ হাজার টাকা। সবই করতেন নগদে। তবে এসব টাকার উৎস পায়নি র‍্যাব। তাদের ধরাণা মাদক-অস্ত্র চোরাচালান, জমি দখল করিয়ে দেয়া, হোটেলে নারীদের দিয়ে যৌন বাণিজ্য থেকে মোটা অঙ্কের অর্থ আসত ক্ষমতাসীন দলের সহযোগী সংগঠনের বহিস্কৃত এই নেত্রীর হাতে।

এসব অভিযোগে ভারত যাওয়া সময় বিমানবন্দরে গ্রেপ্তার হন পাপিয়া, তার স্বামী নরসিংদীর সাবেক ছাত্রলীগ নেতা মফিজুর রহমান ওরফে সুমন চৌধুরী ওরফে মতি সুমন এবং তাদের সহযোগী আরও দু’জন। ভারতে যাওয়ার সময়ও পাপিয়া ওয়েস্টিন হোটেলের প্রেসিডেনসিয়াল স্যুইটের বুকিং বাতিল করেননি বলে জানিয়েছেন র‌্যাব-১ এর উপ অধিনায়ক সাফাত জামিল ফাহিম। যার একটি কক্ষের প্রতি দিনের ভাড়া ২০ হাজার টাকার বেশি। গত বছরের ১২ই অক্টোবর সে প্রথম হোটেল ওয়েস্টিনের প্রেসিডেন্টসিয়াল স্যুইটটি ভাড়া নেয়। গ্রেপ্তারের পূর্ব মুহূর্ত পর্যন্ত তার নামেই ছিল এই স্যুইট। তবে মাঝে বেশ কিছুদিন ছিলেন না। সাফাত জামিল জানান, এই স্যুটের মোট চারটি কক্ষ। তবে আরও দুটো কক্ষ ভাড়া নেয়া ছিল পাপিয়ার নামে।

গ্রেপ্তারের পর পাপিয়ার বিরুদ্ধে যে মামলাগুলো হয়েছে, তার বিবরণ অনুযায়ী মোট ৫১ দিন ওই কক্ষ ছিলেন শামীমা নূর পাপিয়া ওরফে পিউ। আর এ জন্য বিল মিটিয়েছেন ৮১ লাখ ৪২ হাজার ৮৮৭ টাকা। এই সময় অবস্থানকালে বার বার ব্যবহারের জন্য ব্যয় করেছেন এক কোটি ২৭ লাখ ৫০ হাজার টাকা। প্রতিদিন হোটেল বেয়ারাদের টিপস দিতেন ৮-১০ হাজার টাকা। এই বিল পাপিয়া নগদেই মেটাতেন জানিয়ে র‌্যাব কর্মকর্তা ফাহিম বলেন, তিনি কোনো চেক কিংবা ডেবিট বা ক্রেডিট কার্ড ব্যবহার করেননি। বিশাল অঙ্কের এই অর্থের উৎস কী, তার খোঁজ র‌্যাব কর্মকর্তারাও করছেন। তারা এটুকু নিশ্চিত এই অর্থ বৈধ পথে আসেনি। পাপিয়ার বিরুদ্ধে জাল মুদ্রা, অস্ত্র ও মদ উদ্ধারের ঘটনায় মোট তিনটি মামলা হয়েছে। ওই মামলায় তাকে ১৫ দিনের পুলিশ রিমান্ডেও পাঠিয়েছে আদালত।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *