শ্রীপুরে গৃহবধূকে পিটিয়েছে পুলিশ

Slider গ্রাম বাংলা ফুলজান বিবির বাংলা

নিজস্ব প্রতিনিধি গাজীপুর: গাজীপুরের শ্রীপুরে জমি কেনার কারণে নূরুল ইসলাম নামে এক ব্যক্তিকে মারধর ও অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করার অভিযোগ পাওয়া গেছে শ্রীপুর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) নাহিদ হাসানের বিরুদ্ধে। এসময় বাধা দেয়ার তার স্ত্রীকে দুই গালে চড়-থাপ্পর দেওয়ারও অভিযোগ করেন ওই ব্যক্তি।

পরে স্থানীয়দের তোপের মুখে পুলিশের ওই এসআই ও তার সাথে থাকা পুলিশ সদস্যরা দ্রুত ঘটনাস্থল ত্যাগ করে।

শুক্রবার রাত সাড়ে ৭টায় শ্রীপুর পৌরসভার বেড়াইদেরচালা (২নং সিএন্ডবি) এলাকার নূরুল ইসলাম বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে।

নূরুল ইসলাম জানান, একই এলাকার আব্দুল কুদ্দুছের ছেলে নছ মিয়া তিন-চার বছর আগে তাঁর আপন চাচাতো ভাইয়ের কাছে থেকে সাব কবলা দলিল মূলে ৭শতাংশ জমি কিনেন। গত সোমবার (১৭ই ফেব্রুয়ারী ) নছ মিয়া উক্ত জমিটি ২৬ লাখ ৫০ হাজার টাকায় বেড়াইদেরচালা গ্রামের মোহাম্মদ আলী ছেলে নুরুল ইসলামের সাথে রেজিষ্ট্রি বায়না করে। পরে নুরুল ইসলাম ওই জমির চারপাশে সীমানা প্রাচীর নির্মাণ কাজও শেষ করে।

এ ঘটনায় শুক্রবার রাত সাড়ে ৭টায় শ্রীপুর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) নাহিদ হাসানের নেতৃত্বে একদল পুলিশ তার বাড়িতে যায়। পরে পুলিশ তার কাছে ওই জমি কেনার কারণ জানতে চায়। কিছু বলার আগেই পুলিশের ওই উপ-পরিদর্শকের সাথে থাকা পুলিশ সদস্যরা তার শার্টের কলার ধরে টানা-হেচড়া শুরু করে চড় থাপ্পড় মারেন। এর প্রতিবাদ করলে তার স্ত্রীর দুই গালেও চড়-থাপ্পর মারেন পুলিশের সদস্যরা।

পরে তার চিৎকারে আশেপাশের লোকজন জড়ো হয়। এসময় তারা ওই পুলিশ কর্মকর্তার কাছে নারীকে চড় দেওয়ার কারণ জানতে চায়। কোন সদুত্তর দিতে না পেরে পুলিশ স্থানীয়দের তোপের মুখে ঘটনাস্থল থেকে দ্রæত ত্যাগ করে।

এদিকে জমি বিক্রেতা নছ মিয়া জানান, গত তিন-চার বছর আগে তার আপন চাচাতো ভাই কামাল হোসেনের কাছ থেকে সাব-কাওলা দলিল মূলে ৭ শতাংশ জমি ক্রয় করে। ওই জমি সে স্থানীয় নূরুল ইসলামের কাছে গত শনিবার (১৫ ফেব্রæয়ারী) রেজিষ্ট্রি বায়না করে দেয়। তবে তাদেরকে মারধর করার খবর শুনে ঘটনাস্থলে গেলে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে দ্রæত চলে যায়।

শ্রীপুর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) নাহিদ হাসান জানান, ওই জমি নিয়ে বিরোধ থাকায় স্থানীয় রাজু মিয়ার ছেলে হুমায়ুন ভাইয়ের অভিযোগের ভিত্তিতে তিনি আদালতের আদেশ (১৪৪ ধারা) জারি করতে গিয়েছিলেন। তবে মারধর, টানা-হেচড়া ও নারীকে চড়-থাপ্পর মারার ঘটনা অস্বীকার করে সাংবাদিককে থানায় গিয়ে দেখা করতে বলেন।

শ্রীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) লিয়াকত আলী জানান, আমি এখনো ঘটনা শুনি নাই। তবে খোঁজ নিয়ে দেখে আপনাকে বিষয়টা জানাচ্ছি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *