খাস পুকুরের মাটি বিক্রি! নীরব প্রশাসন !

Slider গ্রাম বাংলা

রাতুল মন্ডল শ্রীপুর: গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলার মাওনা ইউনিয়নের সিংগাদিঘী গ্রামে মান্দাই খাস পুকুর খননের নামে মাটি বিক্রি করার অভিযোগ উঠেছে এক ইউপি সদস্যের বিরুদ্ধে। ঐ ইউপি সদস্য মতিউর রহমান (মতি) শ্রীপুর উপজেলার মাওনা ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ড সদস্য।

(১৭ ফেব্রুয়ারী সোমবার) দুপুরে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, সরকারী খাস পুকুরটিকে বেশ গভীর করে ইতিমধ্যে অনেক মাটি কেটে নিয়ে গেছে। আর এভাবে চলতে থাকলে কয়েকদিনের মধ্যে পুকুরের পারসহ পুকুরের অস্তিত্ব বিলিন হয়ে যাবে।

স্থানীয় সূত্রে জানাযায়, বেশ কয়েকবছর ধরে মাওনা এলাকার মান্দাই পুকুর সরকারী ভাবে লিজ দেয়া হচ্ছে না। আর লিজ না দেয়ার কারণে বর্তমানে পুকুরটি মৃত প্রায়। এই সুযোগে ইউপি সদস্য মতিউর রহমানসহ এলাকার বেশ কয়েকজন প্রভাবশালী মিলে কয়েকদিন ধরে রাতের আঁধারে ভেকু দিয়ে শত শত ড্রাম ট্রাকে করে পার্শ্ববর্তী কাওরান বাজার এলাকায় এগ্রোটেক নামক একটি কোম্পানির কাছে বিক্রি করছে। আর বিক্রিকৃত খাস পুকুরের মাটি দিয়ে ঐ কোম্পানি রাতের আঁধারে বনের জায়গা দখল করে ভরাট করছে। ঘটনাস্থলে গিয়ে এগ্রোটেক কোম্পানির তেমন কাউকে পাওয়া যায়নি।

এলাকাবাসী জানান, সন্ধ্যার পর থেকে শত শত ড্রাম ট্রাকে করে মাটি বিক্রি করে সরকারী পুকুর নষ্ট করে দিচ্ছে।
আর বেশি ওজন সম্পন্ন ড্রাম ট্রাক চলাচলের কারণে আমাদের রাস্তাঘাট ভাঙন শুরু হয়েছে। এতে করে বর্ষকালে এলাকার মানুষের চলাচলের অনেক ভোগান্তিতে পড়তে হবে। তাই এলাকাবাসীর মনে করেন যত তাড়াতাড়ি সম্ভব মাটি বিক্রি বন্ধ করে দিলে এলাকার রাস্তাঘাট ভালো থাকবে।
মাটি বিক্রি ও ড্রাম ট্রাক চলাচলে এলাকাবাসী বাঁধা প্রধান করলে তাদের প্রকাশ্যে হুমকি দেয়া হচ্ছে। এনিয়ে এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে।
অভিযুক্ত ইউপি সদস্য মতিউর রহমান মতি বলেন, দীর্ঘ সময় থেকে এই খাস পুকুরটি ভরাট হয়ে রয়েছে, তাই মাটি খনন করে পুকুরটিকে আগের অবস্থায় ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করছি। আর সামন্য টাকা মসজিদের উন্নয়নের জন্য নেয়া হচ্ছে।

শ্রীপুর রেঞ্জের শিমলা পাড়া বিট কর্মকর্তা মো. মোশাররফ হোসেন মুঠোফোনে বলেন, বনের জায়গায় মাটি ফেলে ভরাট করার সংবাদ পেয়ে, আমিসহ আমার সহকর্মীরা ঘটনাস্থলে গিয়ে মাটি ভরাটের জন্য এগ্রোটেক কোম্পানির কতৃপক্ষে বাঁধা প্রধান করি। এবং আমার উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি অবহিত করি। তিনি আরোও জানান, পরবর্তীতে সার্ভেয়ার দ্বারা সিমানা নির্ধারণ করা হবে। যদি ঐ কোম্পানির বনের জায়গা দখল করে ভরাট করে থাকে তাহলে ঐ কোম্পানির বিরুদ্ধে বন আইনে মামলা করা হবে।

শ্রীপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শেখ শামসুল আরেফিন বলেন, বিষয়টি আমাদের জানা নেই। তবে খোঁজ খবর নিয়ে যথাযথ আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *