নিজস্ব প্রতিনিধি: গাজীপুরের শ্রীপুরে উপজেলার তেলিহাটি ইউনিয়নের ২০নং টেপিরবাড়ি সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি নির্বাচন হুমকির মুখে স্থগিত করেছে স্কুল কর্তৃপক্ষ।
জানা যায়, পূর্বের নির্ধারিত সময় অনুযায়ী ১৫ ফেব্রæয়ারি গতকাল শনিবার টেপিরবাড়ি সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি নির্বাচন করার কথা ছিল।
কিন্তু স্থানীয় সরকার দলীয় কিছু সংখ্যাক নেতা স্কুলে এসে সভাপতি নির্বাচন বন্ধ করার জন্য প্রধান শিক্ষককে ভয়-ভীতি ও হুমকি প্রদর্শন করে। যার কারণে প্রধান শিক্ষক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তার কথা ভেবে উপজেলা শিক্ষা অফিসের পরামর্শে সভাপতি নির্বাচন স্থগিত করেছেন।
কমিউনিটি পুলিশের তেলিহাটি ইউনিয়ন শাখার সাধারণ সম্পাদক মো: হায়দার আলী শেখ জানান, স্কুল পরিচালনা পর্ষদের সাবেক সভাপতি জয়নাল আবেদিন পিওর ও স্কুলের প্রধান শিক্ষক কাজল রেখা মিলে রাতের আঁধারে এলাকার কিছু সংখ্যক বিএনপি মনা লোক দিয়ে ১১ সদস্য বিশিষ্ট পরিচালনা পর্ষদের সদস্য নির্বাচন করেন। যার কারণে আমারা আওয়ামিলীগের নেতাকর্মীরা বাঁধা দেই। স্বাধীনতা বিশ্বাসী মুক্তি মনা মানুষদের বিদ্যালয়ের পরিচালনা পর্ষদে আসা দরকার।
এছাড়াও তিনি অভিযোগ করে বলেন, বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক তফসিল গোপন রেখে অভিভাবক সদস্য নির্বাচনে অংশ নেয়া থেকে বিরত থাকার জন্য। তাই তড়িঘরি করে প্রকৃত আওয়ামীলীগের লোকজন মনোনয়ন দাখিল ক্রয় করতে পারেনি।
বিদ্যালয় পরিচালনা পর্ষদের সাবেক সভাপতি জয়নাল আবেদীন পিওর জানান, যথাযথ নিয়ম মেনে বিদ্যালয়ের পরিচালনা পর্ষদের ১১জন সদস্য নির্বাচিত হয়। পরে তাদের মতামতে সভাপতি নির্বাচন ঠিক করা হয়। তবে কিছু সংখ্যক আওয়ামীলীগের নেতাকর্মী ক্ষমতার প্রভাব দেখিয়ে নির্বাচন বন্ধ করতে বাধ্য করে।
টেপির বাড়ী সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক কাজল রেখা জানান, যথাযথ কর্তৃপক্ষের অনুমতি নিয়ে বিদ্যালয়ের পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি নির্বাচন করার জন্য সভা ডাকা হয়। সকল সদস্য বৃন্দ যথা সময়ে সকল উপস্থিত হলেও স্থানীয় আওয়ামীলীগের কিছু সংখ্যক নেতাকর্মীদের বাঁধার মুখে সভাপতি নির্বাচন করা যায়নি।এছাড়া পরবর্তী সময়ে সভাপতি নির্বাচন না করতে আমাকে ভয়-ভীতি দিয়ে আওয়ামীলীগ নেতা মনজুরুল হক মোড়ল আমাকে খাগড়াাছড়ি পাঠিয়ে দেয়ার হুমকি দেন।
শ্রীপুর উপজেলা শিক্ষা অফিসার মো.কামরুল হাসান বলেন, বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মুঠোফোনে আমাকে বিষয়টি জানিয়েছেন। কোনো অপ্রীতিকর ঘটনার আশঙ্কায় পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি নির্বাচন স্থগিতের নির্দেশ দিয়েছি। পরবর্তীতে সকলের উপস্থিতিতে বিদ্যালয়ের সভাপতি নির্বাচন করা হবে।
উল্লেখ্য: ২০১৯ সালের ১৪ ডিসেম্বর সদস্য নির্বাচনের জন্য তফসিল ঘোষণা করা হয়। মনোনযয়ন দাখিলের শেষ সময় ছিল ১৭ডিসেম্বর প্রত্যাহারের শেষ সময় ছিলো ১৯ডিসেম্বর যাচাই-বাছাই২১ ডিসেম্বর সর্বশেষ ২৮ ডিসেম্বর বিনা প্রতিদ্ব›িদ্বতায় দুজন পুরুষ দুজন নারী অভিভাবক সদস্য ও একজন প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক প্রতিনিধি নির্বাচিত হয়। পদাধিকার বলে ছয়জনসহ মোট ১১ জন সদস্য নির্বাচিত হয়।