ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় আবারো মুখোমুখি জাপার জামাই-শ্বশুর, ঝাড়ু মিছিল

Slider জাতীয় বাংলার মুখোমুখি


ব্রাহ্মণবাড়িয়া: জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটিতে রেজাউল ইসলাম ভূইয়াকে অতিরিক্ত মহাসচিব হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করার প্রতিবাদে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় বিক্ষোভ ও ঝাড়ু মিছিল করেছে জেলা জাতীয় পার্টির নেতাকর্মীরা। আর এতে নেতৃত্ব দেন রেজাউল ইসলামের শ্বশুর জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় উপদেষ্টা ও জেলা কমিটির আহ্বায়ক সাবেক এমপি অ্যাডভোকেট জিয়াউল হক মৃধা।

রোববার দুপুরে জেলা জাতীয় পার্টির উদ্যোগে শহরের পৌর মুক্তমঞ্চের সামনে থেকে বের হয়ে একটি বিক্ষোভ মিছিল শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে। মিছিলে ঝাড়ু উঁচিয়ে ‘রেজাউলের দুই গালে জুতা মারো তালে তালে’সহ বিভিন্ন স্লোগান দেয়া হয়। পরে ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাবের সামনে এসে অনুষ্ঠিত হয় প্রতিবাদ সমাবেশ।

জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় উপদেষ্টা ও জেলা কমিটির আহ্বায়ক সাবেক এমপি অ্যাডভোকেট জিয়াউল হক মৃধার সভাপতিত্বে প্রতিবাদ সমাবেশে বক্তব্য রাখেন জেলা জাতীয় পার্টির সদস্য সচিব কাজী মানুনুর রশিদ, যুগ্ম-আহ্বায়ক দেলোয়ার হোসেন, ওয়াহেদুল হক ওয়াহাব ও কেন্দ্রীয় শিল্প ও বাণিজ্য সম্পাদক সদস্য জামাল রানা, মনির হোসেন দেলোয়ার প্রমুখ।

প্রতিবাদ সভায় আগামী ১০ দিনের মধ্যে জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় কমিটি পুনর্গঠনের দাবি জানিয়ে বক্তারা বলেন, কেন্দ্রীয় কমিটি পুনর্গঠন করা না হলে কঠোর কর্মসূচি দেয়া হবে এবং তৃণমূল জাতীয় পার্টি গঠন করা হবে। এ সময় রেজাউল ইসলাম ভূইয়ার বিরুদ্ধে বিভিন্ন অভিযোগ এনে তাকে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় অবাঞ্ছিত ঘোষণা করা হয়।

রেজাউল ইসলামের শ্বশুর অ্যাডভোকেট জিয়াউল হক মৃধা বলেন, জাতীয় পার্টি মরা গরুতে পরিণত হয়েছে। একে শকুন, কুকুর, কুত্তা, বিড়াল খাওয়ার পর এখন পিপীলিকাও খাওয়া শুরু করেছে। কেন্দ্রে কিছুকিছু নেতা খানকা খুলে বসেছেন। দান-খয়রাত পেয়ে তারা সুপারিশ করে পদ পাইয়ে দেন যাকে-তাকে।

তিনি বলেন, জেলা জাতীয় পার্টির মতামত উপেক্ষা করে রেজাউল ইসলাম ভূইয়াকে অতিরিক্ত মহাসচিব ও নাসিরউদ্দিন খানকে সদস্য করা হয়েছে। এখানে তৃণমূলের মতামতের যথাযথ মূল্যায়ন করা হয়নি।

অন্যান্য বক্তারা বলেন, রেজাউল ইসলামের বিরুদ্ধে অনেক অপকর্মের অভিযোগ থাকার পরেও তার কিভাবে জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় কমিটিতে জায়গা হয় তা নিয়ে তৃণমূল নেতাকর্মীদের মনে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। তিনি দ্রুত সময়ের মধ্যে কেন্দ্রীয় কমিটি থেকে তাকে বহিষ্কারের দাবি জানান।

উল্লেখ্য, রেজাউল ইসলাম ভূইয়া ও তার শ্বশুর জিয়াউল হক মৃধা একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মহাজোটের মনোনয়ন নিয়ে ব্যাপক সমালোচনার মুখে পড়েন। নির্বাচনে ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ (সরাইল-আশুগঞ্জ) আসনে রেজাউল ইসলাম তার শ্বশুর জিয়াউল হক মৃধা দুজনেই মহাজোটের মনোনয়ন চান। এসময় জামাই মহাজোটের মনোনয়ন পাওয়ার খবর ছড়িয়ে পড়লে জিয়াউল হক মৃধা রেজাউল ইসলামের বিরুদ্ধে আন্দোলনে নামেন। বিষয়টি দেশজুড়ে ব্যাপক আলোচিত ছিল।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *